মধ্যরাতে টিনের চালে ঝুপঝুপ বৃষ্টি-
নির্জন লগ্ন,
ঘুমটা ভাঙে শীতল হাওয়ায়
প্রিয়ার কথা স্মরণে তাই
কবিতায় মগ্ন!
ওভারব্রীজ ফুটপাতে যার ঠাঁই,
মাথা গোজার একটু জায়গা নাই।
কবিতা কি আসবে তখন মনে?
কাঁথা ছেড়া কম্বল
যার আছে যা সম্বল
চেয়ে দেখো কত কষ্ট তাদের এক জীবনে।
বর্ষাকালে শীতল জলে গা ভেজালে তাই,
অনন্দেতে আত্মহারা খুশির সীমা নাই!
খুপরি ঘরে ছোট্ট ছেলে ক্লাস ওয়ানে পড়ে,
বৃষ্টি জলে বই ভিজে তাই কতো কান্না করে।
বৃষ্টিতে কেউ আনন্দ পায় কেউ সীমাহীন কষ্ট,
কারো আবার শেষ সম্বল ভিজে হলো নষ্ট।
মাঘের শীতে মায়ের হাতে খাও মজাদার পিঠাপুলি,
বাংলাদেশের উত্তরে যাও দেখো তাদের কষ্টগুলি।
নাই সেথা নাই গরম কাপড় বেঁচে থাকার ঠাই,
তুমি বসে কাব্য করো পাঁচ তলাতে তাই!
নদীর ধারে শরৎকালে ঘন সাদা কাশফুলে
ভালোবাসার নরম ছোঁয়া সেথায় খুঁজে নাও!
নদীটা যার সব কেড়েছে
বসত রেখে গ্রাম ছেড়েছে
নীরব কান্না কাঁতরে মরে শুনতে কি তা পাও?
হেমন্তের ঐ নতুন ফসল
কবিতাতে করছো উসুল
এ যেন এক পরম তৃপ্তি মজার পৌষ মাস,
হাজার টাকা উৎপাদনে
আটশো টাকা কয় দোকানে
এতো কষ্টের ফসল তবু হলো সর্বনাশ।
...............................................
ছবি: গুগল থেকে...
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:১৯