উপকারী বাঁশঃ
..............................
বাঁশের বাঁশি রোজ বাজাতাম
নদীর ধারে বসে,
বাঁশির সুরে লাইলি হয়ে
হাসি বসলো পাশে।
বাঁশ বাগানে ঝোপের আড়ে
প্রেমটা জমে বেশ,
দিন গড়িয়ে রাত্রি বহে
বাঁশির থাকে রেশ।
অপকারী বাঁশঃ
.............................
সুজন মাঝি আমার চেয়ে
মধুর বাজায় বাঁশের বাঁশি,
তাইনা শুনে বাঁশটা দিয়ে
আমায় ছেড়ে গেলো হাসি।
উ.বাঁঃ
...............................
নির্বাচনে জেতার আগে
নিজ খরচে কাকু,
খালের উপর শক্ত করে
দিলো বাঁশের সাঁকো।
তাইনা দেখে গ্রামের মানুষ
কাকুকে দেয় ভোট,
ক'দিন বাদে টের পাইলাম
বাঁশের কি যে চোট।
অ.বাঁঃ
................................
কাকু আজো বাঁশের পিড়িত
ভুলতে পারে নাই,
নদীর উপর ব্রিজ বানাতে
বাঁশ দিয়েছে তাই।
কাকু এবার বাঁশ দিয়েছে
বহু তলা দালানে,
কোটি টাকা মাইরা দিছে
বাঁশ দিয়া চালানে।
ফ্লাইওভার আর বড় সেতু
আছে বাঁশের রেশ,
জনগন তাই বাঁশ খাইয়া
বলছে বেশ বেশ।
উ.বাঁঃ
...............................
নেতা সাহেব এসে গেছে
করবে সভা তাই,
শক্ত পোক্ত বাঁশ দিয়া
বড় গেট বানাই।
বাঁশের গেটে মুগ্ধ হয়ে
নেতা সাহেব কয়,
তোমরা থাকলে জিতে যাব
নাহি আমার ভয়।
অ.বাঁঃ
.............................
ক্ষানিক বাদে দুই গ্রুপে
তুমুল মারামারি,
একের চেয়ার অন্যে কেড়ে
মাথায় দিলো বারী।
গেট টা ভেঙে বাঁশ আনলাে
কি যে আজব কারখানা,
বাঁশের চোটে মাথা ফাটে
নেতাকে কেউ মানলো না।
উ.বাঁঃ
...............................
দাদু আমার বৃদ্ধ বলে
যায়না কোথাও একা চলে
তাইনা দেখে দাদুকে একটা
বাঁশের লাঠি দেই,
খুশি হয়ে দাদু বলে
সাব্বাস দাদু সেই!
অ.বাঁঃ
..................................
কি যেন এক ভুল করেছি
তাই দেখিয়া দাদু,
পিঠের উপর বাঁশের লাঠি
দেখি বাঁশের যাদু।
দাদুকে আমি বাঁশ দিছিলাম
শক্ত হবার তরে,
বাঁশটা দিয়ে আমার পিঠে
হাতটা শক্ত করে।
উ.বাঁঃ
............................
নতুন জামাই যাব বলে
বিরাট বাঁশের গেট,
বাঁশে লাকড়ির রান্না ছিলো
খেলাম ভরে পেট।
অ.বাঁঃ
...............................
পেট ভরিলাম ঠিকি আমি
পকেট হলো ফাঁকা,
মনে মনে ভাবছি বসে
বাঁশ ছিলো কি বাঁকা?
বিয়ের পড়েও বাঁশের ঝাড়ু
বউকে ছাড়ে না,
সারা জীবন বাঁশ কাব্যে
জ্বরে পুড়ে গা।
অ.বাঁঃ
...............................
বাঁশটা ছিল তেল মাখা তাই
বানর উঠে,
আর পরে যায়
কতো কঠিন অংক ছিল
ভেবে ভেবে সময় হলো পার,
কি করে যে অংক করি
ভেবে ভেবে অংক ছাড়ি
পরিক্ষাতে বাঁশ টা দিলো
গনিতের-
অভিজ্ঞ টিচার।
উ.বাঁঃ
............................
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা
হাতে নিয়ে বাঁশের বাঁশি।
ইঁদুর সবি দেই তাড়িয়ে
সবার মুখে ফুটে হাসি।
ইঁদুর গেল বাঁশির সুরে
শহর ছেড়ে অনেক দূরে তাই-
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা
শত মূদ্রার আবেদন জানাই।
অ.বাঁঃ
..............................
না পেয়ে তার পারিশ্রমিক
বাঁশ লইয়া নিজের ঘাড়ে,
উল্টা বাঁশির সুরে দেখো,
সকল শিশু শহর ছাড়ে।
কুদরতি বাঁশঃ
..........................
মুসা নবীর হাতে দেখ
বাঁশের লাঠির কুদরত,
বাঁশ ছাড়লে সাপ হয়ে যায়
সাফ করে দেয় শত বিপদ।
উ.বাঁঃ
..............................
জন্মেছিলাম যেদিন আমি
সেদিন ছিলো শীত,
বাঁশের আগুন জ্বেলে তখন
দাদু গাইলো গীত।
হাঁটতে প্রথম শিখেছিলাম
বাঁশটা ধরে ধরে,
বাঁশ ছিলো তাই অভয় ছিলো
যাইনি আমি পরে।
দরকারী বাঁশঃ
.............................
মরন কালে বাঁশের খাটে
বিনা রশি বাঁধা পাটে
চার কোনাতে চারজনাতে
রেখে আসবে কবরে,
উপরেতে বাঁশের চাটাই
চারিদিকে বাঁশের খুটি
বাঁশ লইয়াই চলে যাব
শেষ বিদায়ে পরপারে।
বৃদ্ধ বেলায় বাঁশের লাঠি
হাঁটতে হবে বাঁশের ভরে,
হিন্দু হলে বাঁশের আগুন
জ্বলবে চিতায় মরার পরে।
........................................
ছবি সূত্র: bdtimes365.com
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২৩