হৃদয় জুড়ে আছো তুমি-
“বট বৃক্ষের” মত,
গড়েছো এমনে মোর শক্ত স্থান;
কান্ড থেকে নেমে আসা শিকড় আছে যত।
কত শতবার হৃদয় থেকে
উপড়ে ফেলছো দূরে ,
“দূর্বাঘাসের” মতো ও’ হৃদয় মাটি
ধরেছিলাম শক্ত করে।
ব্যাথা পেলে তুমি আমিও পেয়েছি
ঠিক যেন পরগাছা,
“খেজুর বৃক্ষের” পরাশ্রয়ী হয়ে
তোমাতেই মরা বাঁচা ।
কষ্টগুলো তোমার দু’ হাতে সরিয়ে-
নিয়েছি এ অন্তরে,
“তুলসি পাতা” সম অসুখ সারিয়ে
রেখেছি যতন করে ।
“পাতাবাহারের” মত হয়ে আছি
ঘরের কোনে ফুলদানিতে,
তোমার খুশির জন্য যেন-
জন্ম আমার দুনিয়াতে।
“রঙ্গন গাছের” মত কেটেছ আমায়
নিরবে সয়েছি প্রতিদিন,
কি প্রতিদান দিলে বলো তার
জমা যে অনেক ঋণ ।
“অ্যালোভেরার” মত ভেতরটা খুবলেছো
করিনি কোন প্রতিবাদ,
এমন কি চেয়েছিলাম তোমার কাছে -
জীবনটা করে দিলে বরবাদ ?
আমিও সুযোগ পেলে -
“ফলবান বৃক্ষের” মত ভরে ফুলে ফলে,
তোমাকে হৃষ্ট পুষ্ট করে-
শোভা পেতাম হৃদয়ের ডাইনিং টেবিলে ।
“কচি ডাবের” মতো ভেতরটা ফুটো করে
শুষে নিয়েছো সব ভালোবাসা,
কি করে জীবন বয়ে বেড়াব বলো-
মনে আর বাকী নেই আশা ।
ফরমালিন দিয়ে “আম” পাকানোর মতো
অল্প বয়সে পাকিয়েছো আমায়,
কবেই তো মরে যেতাম প্রিজারভেটিভ” ছাড়া
পড়ে আছি পৃথিবীর মায়ায় ।
আমিতো “বাঁশবৃক্ষ” সম লম্বা হয়ে
তোমার আকাশে চাঁদ ছুতে চাইনি,
মনের বাগানে ফুল হতে চেয়েছি-
সে সুযোগ আমাকে দাওনি ।
আমি কি “আমড়া” কাঠের ঢ়েঁকি ?
করেছো যে কত গালাগালি,
ভিটামিনে ভরা ফলগুলো সব
খেয়েছো তো দিয়ে হাতে তালি।
“পাট” কাঠির মত আগুনে পুড়েছো
কি যে আনন্দ করে ,
আমার আঁশের পাপোশ বিছিয়ে
পৈচাশিক আনন্দ দিয়েছ মোরে ।
আমাকে পার যত দুঃখ দাও
সবি আমি মেনে নিলেম,
তোমাতে আমি বিলাবো ভালবাসা
হৃদয়ের শত “বৃক্ষসম প্রেম” ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪২