সৌদি আরবের বেশীর ভাগ বাংলাদেশীরাই এখনো... আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। যারা নতুন কাপিল এর কাছে পাসপুট জমা দিয়েছেন তারা ও আছেন ভীষণ দুঃচিন্তায়। এদের মধ্যে বেশীর ভাগই এখনো নতুন আকামা ও হাতে পান নাই। নতুন আকামা শেষ পর্যন্ত হাতে আসবে কি না এমন চিন্তায় আছেন অনেকে। আর দুই একজন যাদের নতুন মালিকের নামে ট্রাস্ফার হয়ে আকামা এসেছে-- তারাই জানেন যে কত রিয়ালের বিনিময়ে এই নতুন আকামাটি হাতে এসেছে। আসলে ঘুষ দিয়ে যারা কাজ করাচ্ছেন তাদের টাই আগে হচ্ছে।
এ দিকে সৌদি সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় ৩রা জুলাই এর মধ্যে আমার মনে হয় না যে সব অবৈধ শ্রমিক বৈধ হতে পারবে। নতুন কানুনটি এক দিকে যেমন ভাল হয়েছে, অন্যদিকে অনেক প্রবাসীদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এ জন্য বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া,ও পাকিস্তানের অনেক শ্রমিকরাই সৌদি আরব কে আল বিদা বলে চিরতরে চলে যাচ্ছেন নিজ নিজ দেশে।
নতুন আইন টি কি ভাবে কাল হল- যে শ্রমিকেরা বাহিরে কাজ করত, এরা সবাই যার যার কাজে দক্ষ ছিল। মাসে ৪ থেকে ৮,১০ হাজার রিয়াল এদের মাসিক ইনকাম ছিল। এর মধ্যে কাপিল কে মানে সবাই তাদের মালিককে মাসে ৪/৫ শ রিয়াল দিয়েই সন্তুষ্ট রাখতে সক্ষম হয়েছিল। আর এখন যে সব কোম্পানি তে শ্রমিক নিয়োগ নিচ্ছে মাসিক বেতন ৮০০-২০০০ রিয়াল। এতদিন যারা মাসে ৮-১০ হাজার রিয়াল ইনকাম করে ছিল, এখন তারা ২০০০/২৫০০ রিয়ালে কাজ করে ভাবে ঠিকে থাকবে।? এই দুই হাজার রিয়াল তো মাসিক খরচ হিসাবেই চলে যাবে।