আড়াই বছরের মত আমি আছি সামুতে এই আড়াই বছরে অনেক কিছুই ত দেখলাম ব্লগের, মাঝে মাঝে এমনও মনে হয়েছে এই বুঝি আমার প্রিয় ব্লগ টা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু না সামহোয়্যার ইন (সামু) তার আপন মান ইজ্জত ঠিকই রাখতে পেরেছে, আর তাই এখনো প্রাণচঞ্চল ভাবে লক্ষ ব্লগার নিয়ে বাংলাদেশের ১নং জনপ্রিয় ব্লগ হিসাবে সব ব্লগারদের অন্তরে স্থান করে নিয়েছে। আমি নিজে ও তেমন ব্লগ লিখার সময় পাইনা এখন।
দেশের বাহিরে কাজ করে ব্লগ লিখার মত ব্লগার আসলেই অনেক কম। তবে সময় পেলেই লগ ইন করি এখনো এখানে। সামু আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে, অনেক মূল্যবান লেখাও এখানে এসেছে যা আমার কাজের ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করেছে আর তাই তো সময় পেলে এখনো সর্টকার্ট পোস্ট দিতে চেষ্টা করি। আজকের লিখাটা লিখার কারন হলঃ নিচের কপি পেস্ট পোস্ট টা পড়লেই বুঝতে পারবেন সবাই।
ছবিটি দেখুনঃ “সত্য কখনও চাপাথাকেনা”
প্রথমেআপনাদেরসাথেপরিচয়করিয়েদেয়াযাকএইদুইঘনিষ্টদোস্তদের।একজনহচ্ছেএদেশের চরম ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক ব্লগার আসিফ মহিউদ্দীন, আর অন্যজন হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহকারী সচিব (মিডিয়া) জনাব মাহবুব উল হক শাকিল।
ছবি দেখে প্রতিয়মান যে, একেই বলে গলায় গলায় দোস্তি। সাধারনভাবে পরিচিত দুই ব্যক্তি কখনও গলায় হাতদিয়ে ছবি তোলেনা বিশেষ সম্পর্ক ছাড়া।কারো সাথে সম্পর্ক থাকা অন্যায় নয়,চিন্তার বিষয় হচ্ছে ঐদুই ব্যক্তির অবস্থান কোথায় এবং তারা কি ধরনের দায়িত্বে নিয়োজিত।
আসিফ হচ্ছে মোসাদের মনস্তাত্তিক বিশেষজ্ঞ অরিল্ড ক্লোকারহৌগ এর পেইড ব্লগার। অরিল্ডের দায়িত্ব হচ্ছে সামহোয়্যার ইন (সামু) ব্লগের মাধ্যমে যুবসমাজকে মগজধোলাই করে নাস্তিক বানানো। এই কারনে সে তার ছবির মত দেশ নরওয়ে ছেড়ে আমাদের দেশে এসে “জানা” নামের এক নাস্তিক মেয়েকে বিয়ে করে খুব দ্ক্ষতার সাথেই তার কাজ করে যাচ্ছে আমাদের মৃতপ্রায় গোয়েন্দাবাহিনীর চোখের সামনে।
আসিফ হচ্ছে তার ঐ চরিত্রহীন নাস্তিক প্লাটুনের একজন সক্রিয় সদস্য। সে যে শুধু নাস্তিক তাই না, সে হচ্ছে চরম ইসলাম বিদ্বেষী এবং চরিত্রহীন। বাংলাদেশের প্রথম শিশুপর্নোগ্রাফীর সে ফাউন্ডার এডমিন।মহান আল্লাহপাক এবং ইসলামের বিরুদ্ধে তার লিখনীসমগ্র আপনারা দেখতে পাবেন এখানে।
অরিল্ড তার মগজধোলাই কার্যক্রম পরিচালনা করতে কোটি কোটি টাকা একদল একনিষ্ট ব্লগার গ্রুপ তৈরী করছে।সেই সাথে তার অন্য কাজটি হলো সমাজে বুদ্ধিজীবি হিসেবে পরিচিত মিডিয়া পার্সোনালদের ও টাকার বিনিময়ে কিনে ফেলা।আসিফকে যখন দেশদ্রোহী কর্মকান্ডের জন্য পুলিশ গ্রেফতার করে তখন রাতভর তাকে পুলিশ থেকে ছড়ানো এবং তাকে যেন মারপিট করা না হয় সে জন্য ব্যস্ত ছিলো জাফর ইকবাল এবং সুলতানা কামালের মত মিডিয়া নাস্তিকেরা।
এটা আমাদের ধারনার বাইরে ছিলো যে অরিল্ড তার মগজধোলাই কার্যক্রমের নেটওয়ার্ক প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় পর্যন্ত বিস্তৃত করতে সক্ষম হয়েছে। সে বৃটিশ গোয়েন্দা হেমপারের চেয়ে কোন অংশেই কম দক্ষ নয়। যে হেমপার পবিত্র ইসলাম ওয়াহাবী ফিৎনার জন্ম দিয়েছিল সৌদিআরবে দীর্ঘ ২৫ বছর সময় নিয়ে।
ইন্টারনেটে অনেক ঘাটাঘাটি করে আমরা এখন নিশ্চিত যে ইসলাম ধর্ম এবং হুজুরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে পৃথিবীর কোন দেশে এত বিকৃতভাবে কটুক্তি করা হয়নি যা হয়েছে ৯৮ভাগ মুসলমানের এই বাংলাদেশে। তাও আবার আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে। এই সরকারের আমলে যত নিরীহ মুসলিম মেয়ে ধর্ষিত হয়েছে হিন্দুদের দ্বারা তা এক চরম দুঃখজনক ইতিহাস হয়ে থাকবে বাংলাদেশের জন্য।
মহানবীর বিরুদ্ধে কটুক্তিকারীদের সনাক্ত এবং শাস্তির ব্যবস্থা করতে যে কমিটি গঠন করেছেন তার সভাপতি হচ্ছে চরম কটুক্তিকারী আসিফের দোস্ত। আপনারাই বলুন ঐ শাকিল তার দোস্তদের কি সনাক্ত করবে? ইংরেজীতে এটাকেই বলে “আই ওয়াশ”। আর এ কারনেই হাইকোর্টের রীট এর পরও গত একবৎসর সরকার ঐসব নাস্তিকদেরকে নির্বিঘ্নে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করার সুযোগ করে দিয়েছে। যদি এত দ্রুততম সময়ে সামহোয়্যার ব্লগকে ব্যান করা না হয়, মগজধোলাই বিশারদ অরিল্ডকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা না হয় এবং ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক ব্লগারদের শাস্তির ব্যবস্থা না করা হয় তবে দুঃখভারাক্রান্ত মনে এবং নিশ্চিতভাবে ধরে নিতে হবে যে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ই হচ্ছে এদেশে নাস্তিকতার সুতিকাগার।
“A picture is worth a thousand words.”
মূল লিখাটা এইখানে দেখেন।
http://www.facebook.com/faatihul