রবীন্দ্রনাথের হৈমন্তীর মত কোন এক অপুর ঘটনা জেনে মাথাটা বিকল হয়ে গেল। ঈশ্বর মা জাতীকে কিভাবে সৃষ্টি করেছে জানিনা। ঈশ্বর যেন কখনো আমাকে মা চরিত্রে না পাঠান। কারন শুধু বিলিয়ে দিয়ে যার একান্ত পাওয়া, আমি তার মধ্যে নেই। কোন এক দেশে, মনে হয় জাপান; এক বলিষ্ঠ সামর্থ্য সন্তান তার মাকে কোলে করে নিয়ে যাচ্ছিল কোন এক সুদূর পাহাড়ে, যেখানে শুধুমাত্র বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের বাস। সেই সন্তান , যাকে অপুই বলি, যেন মাকে বিসর্জন দিচ্ছিল জাপানের প্রচলিত নিয়ম পালনের জন্য। বার্ধক্য যেন সমাজের কুষ্ঠ। মা যেন তার দূর্ভেদ্য নিয়ম। নিজের অস্তিত্ত্বই যেন তার অজানা। যেতে হয়েছিল কোন এক বনের মধ্য দিয়ে। অপু লক্ষ্য করছিল তার মা (রক্তের মা, নাড়ির মা, শ্বাসের মা, দুগ্ধদাত্রী মা, স্নেহময়ী মা, অন্তর্যামী মা, স্বার্থহীনা মা...) তার কোলে থেকেই আনমনে গাছের পাতা ছিঁড়ছিল যাবার সাথে সাথে। ছেলে মহাবিরক্ত হয়ে জিজ্ঞেস করছিল “মা তুমি পাতা ছিঁড়ছ কেন?” হায়রে মা...! কি আর বলবে ...! আজও ছেলে তার মাতৃত্বাবিষ্কার করল না। মা নিষ্কপট বললেন, “বাবা, আমাকে তুমি অনেক দূরে রেখে আসবে।যাবার সময় তুমি যেন পথ ভুলে না যাও। তাই চিহ্ন রাখছিলাম”। যে কোলে অপুর শৈশব কেটেছে, সেই কোলই যেন আবার মায়ের বিয়োগান্তক সফর। কোন এক অনিশ্চয়তায়...!!
হে সকল মা, যত দিন আমার এই দেহ, আত্মা, মন, এসবের অস্তিত্ব থাকবে ততদিন আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাইছি......ক্ষমা কর আমাকে...অপুকেও।