আমি প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই; চাই সবাই সব হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সমানভাবে সোচ্চার হোক। চাই- না হোক হত্যাকে ঘিরে কোনো ঘৃণ্য রাজনীতি।
বিউটি
ধর্ষিতা বিউটি। বিউটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। বিউটি প্রথমবার ধর্ষিত হবার পর পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলো; সুবিচার পাবার আশা নিয়ে। কোনো বিচার পায়নি; ধর্ষকদের শাস্তি তো দূর অস্ত, কেউ গ্রেফতারও হয় নি।
তবে ধর্ষণের অভিযোগ করার প্রতিশোধ নিতে বিউটিকে হতে হয়েছে দ্বিতীয়বার ধর্ষণের শিকার, দিতে হয়েছে জীবন। মাঠের পাশে পরে থাকতে হয়েছে লাশ হয়ে।
ফেলানির কথা মনে আছে?
অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু- তা যেভাবেই হোক না কেন, সমান নিন্দনীয়। তবুও বলতে হয় ফেলানির ছিলো অপরাধী; ক্রস বর্ডার অপরাধী। বিএসএফ-এর অনাখাঙ্খিত নির্বুদ্ধিতার নির্মম পরিণতি ছিল ফেলানির মৃত্যু।
ফেলানির মৃত্যুতে প্রতিবাদ হয়েছিলো। আমিও প্রতিবাদ করেছি; জোড়ালো প্রতিবাদ। প্রতিবাদে সারা বাংলাদেশ জেগেছিলো; সারা ভারত জেগেছিলো; জেগেছিলো সারা বিশ্ব।
বিউটি হত্যায় বাংলাদেশ জাগছে না সেভাবে- যেভাবে জেগেছিলো ফেলানীর মৃত্যুতে।
কেন?
তবে এটাই কি ধরে নিয়ে হয় না যে, ফেলানী হত্যার প্রতিবাদে যারা সরব ছিলেন অথচ বিউটিতে মুখে কলুপ আঁটা- তারাও এক একটা ধর্ষক, নিদেন পক্ষে ধর্ষণের মৌণ সমর্থক?
তাই যদি না হবে- তবে তাদের কলম আজ নির্বাক কেন?
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪