তিস্তা ইস্যুতে যে পরিমান জলঘোলা হয়েছে- সে ফিরিস্তি ভারত-বাংলাদেশের কারো কাছে এখনো অজানা আছে- এমনটি ভাবার সুযোগ নেই। সুতরাং সেই কদর্য ইস্যুটি নিয়ে আবার কথা বলা শুধুই সময়ের অপচয়!
শুধু একটি কথা না বললেই নয়, তা হলো- শরীরে বড় হলেই যেমন বড় মনের মানুষ হওয়া যায়না; তেমনি সৌভ্রাতৃত্ব আর সৌহার্দের কথা বলে ঠোঁটের কোন ফেনা তুললেই নিজেদেরকে ভ্রাতৃত্বের আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা যায় না। অনেক ক্ষেত্রে ছোটরাই বড়বেশি ত্যাগের আদর্শ হয়ে প্রতিভাত হয়- তিস্তা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থানই তার জাজ্বল্যমান দৃষ্টান্ত।
তবে সব শেষে এই ইস্যুতে আমার ব্যক্তিগত এক উপসংহার, তা হলো-
পরপর ভারতের দুজন ঝানু প্রধানমন্ত্রী যেভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে নিজদেশের একজন মূখ্যমন্ত্রীর কাছে ধরাশায়ী হলো- তা এক কথায় প্রধানমন্ত্রীগণ কর্তৃক রাজ্যসরকার প্রধান মমতা ব্যানার্জির কাছে অসহায়ভাবে চূড়ান্ত আর নির্লজ্জ্ব আত্মসমর্পণ !
যেদেশে প্রধানমন্ত্রীদের দশা এইরূপ; তাদের জন্য গর্বিত বাঙালি হিসেবে করুনা ছাড়া আর কী করা যায়!
সুতরাং এই কথাই বলতে হয়, জল চাইনা ভারত তোমার ইজ্জত বাঁচাও!
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৩৮