প্রবাসে বাংলাদেশের রক্তের উত্তরাধিকারী গুণীগন - পর্ব ১৪১ হইতে ১৪৫ ।
এই পর্বে আরও আছেন-
১৪২ / বিশ্বের সর্ববৃহৎ তেল কোম্পানির শ্রেষ্ঠ কর্মী বাংলাদেশি মাসুম
১৪৩ / গিনেস রেকর্ড ভাঙলেন বাংলাদেশী শেফ টিপু
১৪৪ / ইতালির জনপ্রিয় চলচ্চিত্র তারকা পায়েল ঠাকুর ।
১৪১ / যুক্তরাষ্ট্রে আলোচিত উপন্যাসের লেখিকা নুসরাত সুলতানা ।।
মার্কিন প্রবাসী ১৬ বছরের বাঙালি মেয়ে নুসরাত সুলতানা ‘ব্লিড’ নামের একটি উপন্যাস লিখেছেন । সে উপন্যাসটি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রেরই একটি মূলধারার প্রকাশনা।
ইতিমধ্যে বইটি বোদ্ধা মহলে ব্যাপক আলোড়ন তুলতে সক্ষম হয়েছে । একটি মেয়ের ফ্যান্টাসির জগতকে কেন্দ্র করে উপন্যাসটির আখ্যান ভাগ গড়ে উঠেছে।
উপন্যাসের গল্পাংশে বলা হয়েছে, ১৫ বছরের মেয়ে আমারিলিস রক্সেনের সুন্দর জীবনটা হঠাৎ কেমন যেন ওলোট-পালোট হয়ে গেল যখন সে জানতে পারল সে একজন দত্তক কন্যা। এখন তার কাছে অস্তিত্বহীন জগতের এক অদ্ভূত বালককে নিয়ে রহস্যময় ও অগোছালো নানা স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিতে থাকে এবং একজন মানুষের পক্ষে যা সম্ভব নয়, সেভাবেই তার জীবনযাত্রা বদলে যেতে থাকে। আমারিকে এখন তার অস্তিত্ব এবং জীবন রহস্যকে উন্মোচিত করতেই হবে। অতি বিলম্বের কারণে তাকে মৃত্যু পরিকল্পনাও বাতিল করতে হবে।
চমৎকার বইটি পড়তে চাইলে আগ্রহীরা আমাজন ডটকমে সার্চ দিতে পারেন ।।
সুত্র- ********
১৪২ / বিশ্বের সর্ববৃহৎ তেল কোম্পানির শ্রেষ্ঠ কর্মী বাংলাদেশি মাসুম
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রম বাজার সৌদি আরব। এখানে প্রায় ২৫ লাখ বাংলাদেশি বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত। এখানকার বাংলাদেশিরা তাদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছেন প্রতিনিয়ত। তাদেরই একজন ঢাকার নবাবগঞ্জের ওয়াহিদুর রহমান খান মাসুম।
সৌদি আরবে পরিচালনাধীন বিশ্বের সর্ববৃহৎ তেল কোম্পানি আরামকো বাংলাদেশি ওয়াহিদুর রহমান খান মাসুমকে একজন শ্রেষ্ঠ কর্মী হিসেবে পুরস্কৃত করেছ। সৌদি আরবে আরামকো’র আল খুরাইস প্রজেক্ট এলাকায় এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কোম্পানি ম্যানেজার আব্দুল মহসিন মুখাইলিদ তার হাতে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট তুলে দেন। কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯সাল থেকে মাসুম ওই কোম্পানিতে প্রজেক্ট ম্যানেজার হিসাবে সততা, দক্ষতা এবং আন্তরিকতার সাথে কাজ করে আসছেন।
পুরস্কার প্রাপ্তির পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মাসুম বলেন, এই পুরস্কার আমার তথা সকল প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিরাট পাওয়া। তিনি আরো বলেন, সাম্প্রতিক ছোটখাট কিছু ঘটনায় যখন সৌদি আরবে বাংলাদেশিরা ইমেজ সংকটে ভুগছেন সেসময়ে এ ধরনের পুরস্কার বাংলাদেশিদের জন্য সত্যি আনন্দের।
মাসুম তার সাফল্য ধরে রাখার জন্য সবার দোয়া চান। ওয়াহিদুর রহমান মাসুম বিগত ১৫বছর যাবত সৌদি আরবে আছেন। তিনি ঢাকার নবাবগঞ্জ জেলার আগলা ইউনিয়নের উত্তর চৌকিঘাটা গ্রামের আহমদ আলী খান এবং রাহিমা খাতুনের দ্বিতীয় ছেলে। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।
সুত্র #########
১৪৩ / গিনেস রেকর্ড ভাঙলেন বাংলাদেশী শেফ টিপু
বিশ্বের উঁচু পাপাডাম টাওয়ার তৈরির গিনেস রেকর্ড এখন বাংলাদেশিদের। কয়েক বছর ধরে উচ্চতম পাপাডাম টাওয়ার তৈরির রেকর্ড ভাঙা গড়ায় মত্ত সব শেফকে ডিঙিয়ে ১১ অক্টোবর গিনেস বুক অব রেকর্ডে নাম লিখালেন ব্রিটেনপ্রবাসী বাংলাদেশি টামারিন্ড রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী শেফ টিপু রহমান। ব্রিটেনের বাংলাদেশি রেস্টুরেন্টের স্টাটার বা সূচনা খাদ্য হিসেবে খুবই জনপ্রিয় পাপাডম। আর এই পাপাডমকে নিয়ে রেস্টুরেন্টগুলোর শেফরা সব সময় প্রতিযোগিতায় মেতে থাকতেন, কিভাবে স্বপ্নের গিনেস বুকে নিজের নামটা স্থান পাবে।
পাপাডাম টাওয়ার তৈরি যখন গিনেস বুকে স্থান পায় তখন থেকেই শেফদের মধ্যে প্রতিযোগিতা আরও বেড়ে যায়। পাকিস্তানি শেফ নাঈম ইসলামের গড়া রেকর্ড ১.৫৭ মিটার টাওয়ারটি একটা সময় পর্যন্ত ছিল বিশ্বের উঁচুতম পাপাডম টাওয়ার। কিন্তু সেই স্বপ্নের টাওয়ারটির পুরনো রেকর্ড ভেঙে ১.৭২ বা ৫ ফুট ৮ ইঞ্চির নতুন পাপাডম টাওয়ার গড়ে গিনেস বুকে স্থান করে নেয় প্রবাসী বাঙালি ইন্টারন্যাশনাল শেফ অফ দ্য এয়ার-খ্যাত টিপু রহমান।
নতুন রেকর্ডটি গড়তে সময় নেন এক ঘণ্টা ৫২ মিনিট। এ সময় গিনেস বুকের প্রতিনিধি ও স্থানীয় লর্ড মেয়রসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ব দৃষ্টি দিবস উপলক্ষে বিশ্বব্যাপী অন্ধত্বের চিকিৎসায় নিবেদিত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সাইটসেভারস্-এর সাহায্যার্থে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন টিপু। এছাড়া দিনটি ছিল জাতীয় কারি (ঝোল) সপ্তাহের মধ্যে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নর্দাম্পটনের মেয়র কাউন্সিলর ডেভিড নারকেউইজ ও তার পত্নী। প্রতিযোগিতাটি স্পন্সর করে বিমান বাংলাদেশ, কোবরা বিয়ার, কিংফিশার বিয়ার, ব্র্যাক সাজন, মোজা, প্রাণ ও ইউরোফুডস। পাঁপড় সরবরাহ করে ক্রাউন ফার্ম।
সুত্র - **************
১৪৪ / ইতালির জনপ্রিয় চলচ্চিত্র তারকা পায়েল ঠাকুর ।
পুরো নাম আল এমরান ,ডাক নাম পায়েল। পারিবারিক পদবি ঠাকুর। সোলেমান ঠাকুরের ছেলেটি ডাকনামের সঙ্গে পারিবারিক পদবি মিলিয়ে নাম নিলেন পায়েল ঠাকুর। এই নামেই এখন তাঁর পরিচিতি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে স্কুলজীবন শেষ করে ভর্তি হয়েছিলেন ঢাকা আইডিয়াল কলেজে।
উচ্চমাধ্যমিক পাস করে প্রথমবার পাড়ি জমিয়েছিলেন ইতালি। ভাষা না জানায় সেখানে যুত করতে পারেন নি , তিন মাস পরেই ফিরে আসেন দেশে । ফিরে এসে ভর্তি হন তেজগাঁও কলেজে। সেখানে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে আবার ইতালি যান।
দ্বিতীয়বার ইতালি গিয়ে প্রথমেই একটি ভাষা শিক্ষা কোর্সে ভর্তি হন। মোটামুটি কাজ চালিয়ে নেওয়ার মতো ভাষা শিখে চাকরি নেন একটি বারে। এর ঠিক উল্টো দিকেই ছিল একটি থিয়েটার স্কুল। এই স্কুলের ছাত্র-শিক্ষকেরা মহড়া শেষে আড্ডা দিতে আসতেন বারে। অধিকাংশই তরুণ। পায়েলের সঙ্গে তাঁদের ভাব জমে উঠল অল্প দিনেই।
ওদের সঙ্গেই কখনো-সখনো মঞ্চনাটক দেখতে যেতেন। নাটক দেখে ফিরে আসার পরও সেই ঘোর থেকে মুক্তি মিলত না। সারা দিনের খাটাখাটুনির পর রাতে বিছানায় গেলে কখনো স্বপ্নের ভেতর নিজেকেও যেন সেই মঞ্চে দেখতে পেতেন। কিন্তু দিনের বেলা প্রচণ্ড কাজের মধ্যে চাপা পড়ে যেত সেই স্বপ্ন।
টানাপোড়েনের দিনগুলোতে বন্ধুরা তাঁকে উদ্বুদ্ধ করল তাঁদের সঙ্গে থিয়েটার স্কুলে ভর্তি হতে। সাতপাঁচ না ভেবে ভর্তি হয়ে গেলেন পায়েল। বছর খানেক চলল থিয়েটার স্কুলে পাঠ নেওয়া ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ। পিয়ের পাওলো সেপে, হোসাইন তাহেরির মতো নাট্যকার-নির্দেশকদের কাছে হাতে-কলমে পাঠ নেওয়ার অভিজ্ঞতা অনেক দূর এগিয়ে দিল তাঁকে।
প্রথম সুযোগ পেলেন ২০০২ সালে ফ্রান্সেসকা গার্সেয়া নির্দেশিত একটি নাটকে, যার নাম বাংলা অনুবাদ করলে দাঁড়ায় আমরা কেউ কাউকে চিনি না। এরপর একে একে বেশ কিছু মঞ্চনাটকে অভিনয় করেছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য মিরর অব বাটারফ্লাই, রোমানি প্রভৃতি।
মঞ্চে কিছুটা খ্যাতি পাওয়ার পর ডাক এল টেলিভিশন নাটকে। পায়েলের অভিনীত টিভি নাটকগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো দ্য টিম, এ ডক্টর ইন এ ফ্যামিলি, দ্য ক্যারাবিনিয়েরি, অল ক্রেজি ফর লাভ, পুলিশ স্টেশন প্রভৃতি। এর মধ্যে ক্যারাবিনিয়েরি নাটকে পায়েল সহ-অভিনেতা হিসেবে পেয়েছিলেন উপমহাদেশের খ্যাতিমান চলচ্চিত্রাভিনেতা কবির বেদীকে।
প্রথমবার ইতালি গিয়ে ব্যর্থ মনোরথে ফিরে এসেছিলেন পায়েল। সেটা ১৯৯৯ সাল। মাত্র তিন মাস ছিলেন সেবার। বিদেশ-বিভুঁইয়ে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার মতো কর্মসংস্থান করে উঠতে পারেননি তিনি। মূল সমস্যা ভাষা। ইতালীয় ভাষাটা কিছুতেই রপ্ত হচ্ছিল না। সেই ব্যর্থতা ছাইচাপা আগুনের মতো বুকের ভেতর ছিলই।
দ্বিতীয়বার তাই আর পেছন ফিরে তাকাননি। ইতালীয় ভাষা তো রপ্ত করলেনই, উপরন্তু সেই ভাষায় চলচ্চিত্র ও নাটকে অভিনয় করে ভেতরের আগুনটা দেখালেন সবাইকে। আজ পায়েল ঠাকুর ইতালির মঞ্চ ও টিভি নাটক এবং চলচ্চিত্র অঙ্গনে পরিচিত মুখ। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হচ্ছে রিটুরনেল্লা, আকুয়াডোট্রো সিলভিও, দ্য ইমিগ্র্যান্ট প্রভৃতি। তার বহুল প্রশংসিত ছবি লেটারা ডা মাদ্রাজ ।
আইরিশ বাসছি পরিচালিত লেটারা ডা মাদ্রাজ (মাদ্রাজের চিঠি) ছবিতে নায়ক হিসেবেই অভিনয় করেছেন তিনি। দর্শক-সমালোচকদের প্রশংসাও পেয়েছেন। ছবিটি প্রদর্শিত হয়েছে কান চলচ্চিত্র উৎসব, রোম ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ও ইরাকের কুহক চলচ্চিত্র উৎসবের মতো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রের বড় আসরগুলোতে।
পায়েল ঠাকুরের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলায় ।
সুত্র - ০০০০০০
১৪৫ / ভিক্ষুকের মেয়ে নন্দিনী যিনি নিজেও বাবার সাথে ভিক্ষা করেছেন ; তিনি এখন জার্মানির এমপি ।
একই সাথে তিনি সোস্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ জার্মানি দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ।
নন্দিনী সৃষ্টি করলেন ইতিহাস, এটা কোন নাটক কিংবা সিনেমার গল্প নয় বাস্তবের নন্দিনী অনেক বেশী সৃজনশীল. এই নন্দিনী কাপাচ্ছে সমগ্র ভারতবর্ষ, বাংগালী মেয়ে নন্দিনী জন্ম উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে,এই রায়গঞ্জ এবং দুর্গাপুরে নন্দিনীর বেড়ে ওঠা, নন্দিনীর বাস্তব সত্য পথের প্যাচালীর অপু দুর্গা কেও হার মানিয়েছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ হাসপাতালের ঠিক একটু পিছনে নন্দিনীদের বাড়ি,নন্দিনীর বাবা সমৃদ্ধ কোন ব্যবসায়ী কিংবা চাকুরিজীবী নয়, নেই কোন পৈত্রিক সম্পত্তির বৈভব. নন্দিনীর বাবা হরিনাথ ফকির ছিলেন স্থানীয় একটি মন্দিরের দায়িত্বে,প্রতিদিন মন্দিরের আশেপাশের বাড়িগুলো থেকে চাউল তুলতেন মন্দিরের জন্য,সেই চাউলের একটি অংশ মন্দিরে দিতেন আর একটি অংশ তিনি নিজে রাখতেন।
মাঝেমধ্যে নন্দিনী তার বাবার সাথে গ্রামে গ্রামে ঘুরতেন চাউল সংগ্রহ করার জন্য। নন্দিনীর বয়স যখন ছয় বছর তখন তিনি ভর্তি হন দুর্গাপুর স্কুলে এখান থেকে ভালো ফলাফল করে নন্দিনী আসেন রায়গঞ্জ কলেজে ।
নন্দিনীর বয়স যখন আঠারো বছর তখন হরিনাথ ফকির ইহলোক ত্যাগ করেন,নন্দিনীর আর কোন ভাই বোন ছিলেন না,নন্দিনী তার মাকে নিয়ে খুব বেকায়দায় পড়েন কিন্তু হাল ছাড়েনি ব্যাপক প্রতিকুলতার মাঝে নন্দিনী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্য ভর্তি হন,কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা কালীন নন্দিনী একটি ছোট্ট পত্রিকায় খন্ডকালীন চাকরি পান মডারেটর হিসেবে.
নন্দিনী বেশ সফলতার সহিত তার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে থাকেন কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাসে আবারো বাধ সাধে বিধাতা ।
মারা জান নন্দিনীর মা । এক অসহায় অবস্থায় নন্দিনী দিশেহারা হয়ে পড়েন ।
দৃঢ় মনোবলে আবার এগিয়ে যেতে থাকেন তিনি । কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবাই কে অবাক করে নন্দিনীর ফলাফল । ইতিহাস ঐতিহ্য এবং ভাষা ও সংস্কৃতিতে উচ্চতর গবেষণার জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বৃত্তি নিয়ে পাড়ি জমান সুদূর জার্মানিতে ।
জার্মানির সারলান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি ।
সারলান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশী শিক্ষার্থীরা তাদের ফান্ড বৃদ্ধির জন্য একসময় আন্দোলন করেন । নন্দিনী সেই আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিলেন,সবার দৃষ্টি পড়ে নন্দিনীর উপর । এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন নন্দিনী জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে । সোস্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ জার্মানি দলের সাথে নন্দিনীর সখ্যতা ক্রমেই বাড়তে থাকে ।
একসময় এই পার্টিতে নন্দিনীর অবস্থান হয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে । সেই সাথে এই পার্টি থেকে প্রকাশিত পত্রিকার মুল সম্পাদনার দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন ।
গতবছরের নভেম্বরে সারলান্ডের আনাট্রপলি অঞ্চলের উপনির্বাচনে নন্দিনী তার পার্টি থেকে নমিনেশন পান এবং সিডিএফের প্রার্থী জন্টস কে তিন শত দুই ভোটের ব্যাবধানে হারান ।
নন্দিনী ইতোমধ্যে বিয়ে করেছেন সারলান্ড অঞ্চলের স্বনামধন্য ব্যাবসায়ী বেঞ্জামিন কে । নন্দিনী বেঞ্জামিন দম্পতির দুই ছেলে ।
নন্দিনীর পিতার আদি নিবাস বাংলাদেশের দিনাজপুরে ।
সুত্র - ****************
প্রবাসে বাংলাদেশের রক্তের উত্তরাধিকারী গুণীগন - পূর্বের সকল পর্বের লিঙ্ক এখানে ।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৩