প্রবাসে বাংলাদেশের রক্তের উত্তরাধিকারী গুণীগন - পর্ব ১৩৬ হইতে ১৪০ ।
এই পর্বে আরও আছেন-
১৩৭ / নতুন প্রজাতির গম আবিস্কার করে অস্ট্রেলিয়ায় আলোড়ন তুলেছেন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক বিজ্ঞানী ড. নিজাম উদ্দিন ।
১৩৮ / বিশ্বের শীর্ষ চিত্রশিল্পীদের কাতারে বাংলাদেশি তরুণী মুর্শিদা আরজু আল্পনা ।
১৩৯ / চারবার শঙ্কর আন্তর্জাতিক চিত্র পদক বিজয়ী প্রবাসী সেলিনা করিম
১৩৬ / যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন ডিজাইন কোম্পানী “ভিনটেজ মারভিন” এর স্বত্বাধিকারী বাংলাদেশী শারিন সারওয়ার ।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন এবং ডিজাইন জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র বাংলাদেশী শারিন সারওয়ার ।
ভিজুয়াল ডিজাইন এবং ষ্টাইলে দক্ষ শারিন সারওয়ার ২০০৮ সালে আর্ট এবং ডিজাইন বিভাগে মায়ামী ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফ্যাশন উপর উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেন ।
২০০৬ সালে শারিন সারওয়ার ওয়াশিংটন ডিসির জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স এ বিএ ডিগ্রী লাভ করেন ।
ছোটবেলা থেকেই ফ্যাশন এবং ডিজাইনে আগ্রহী শারিন সারওয়ার নিউইয়র্কে ডলস এন্ড গাভান, ভোগ, টিন ভোগ ওমেনস ওয়ার ডেইলি সহ বিভিন্ন কোম্পানীতে সাথে ফ্যাশন, ডিজাইন ও মডেল হিসাবে দক্ষতার স্বাক্ষর রাখেন ষ্টাইলিষ্ট ও ভিজুয়াল ডিজাইনার হিসাবে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডাস্খ মায়ামী বীচে নিজস্ব ফ্যাশন ডিজাইন কোম্পানী “ভিনটেজ মারভিন” নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ।
২০০৯ সালে নিজস্ব ষ্টাইল ও ডিজাইন নিয়ে তৈরী করা মহিলাদের জন্য নির্মিত বিভিন্ন ধরনের ফ্যাশন ওয়ার নিয়ে তিনি “ভিনটেজ মারভিন” ফ্যাশন ষ্টোর শুরু করেন ।
বাংলাদেশী শারিন সারওয়ার মায়ামীতে অস্খানকালে লাটিন আমেরিকান ভোগ ম্যাগজিনে দক্ষতার সাথে কাজ করেন । ফ্যাশন ডিজাইনার, ষ্টাইলিষ্ট হিসাবে শারিন সারওয়ার যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও ম্যাগাজিনে নিয়মিত ইন্টারভিউ দিয়ে থাকেন ।
উৎস -
১৩৭ / নতুন প্রজাতির গম আবিস্কার করে অস্ট্রেলিয়ায় আলোড়ন তুলেছেন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক বিজ্ঞানী ড. নিজাম উদ্দিন ।
নতুন প্রজাতির গম আবিস্কার করে অস্ট্রেলিয়ায় আলোড়ন তুলেছেন বাংলাদেশী বিজ্ঞানী ড. নিজাম উদ্দিন । অস্ট্রেলিয়ার গম উৎপাদন ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে এই বাংলাদেশীর আবিস্কার ।
গম আর ভূট্টার জিনকে ডাবলড হ্যাপ্লয়েড পদ্ধতিতে (Doubled haploid breeding) সন্নিবেশিত করে তুলনামূলক অধিক প্রোটিন আর ফলনের গমের নতুন জাত উদ্ভাবিত হয়েছে । স্পিটফায়ার প্রজাতির নতুন গমের বীজ উদ্ভাবিত হয়েছে । উদ্ভাবিত গমের বীজ দিয়ে এই গবেষণার স্পন্সর কোম্পানি মাঠ পর্যায়ে গমচাষীদের হাতে তুলে দিয়েছেন এই বীজ, পেয়েছেন ঈর্ষনীয় সাফল্য । যা বদলে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার গম চাষের পুরনো সবকিছু ।
নতুন জাত আবিস্কারে বাংলাদেশের ড. নিজামের আগে অনেক বৈজ্ঞানিকরাই কাজ করেছেন । কিন্তু সাফল্য লাভ করতে পারেননি। তাছাড়া নতুন জাতের বীজ উদ্ভাবন গবেষণায় যেখানে ১০ বছর লেগে যায়, সেখানে ১০ বছরের সময়সীমাকে তিনি নামিয়ে এনেছেন ৭ বছরে । অস্ট্রেলিয়ার সেরা জাতের গম ছিল অস্ট্রেলিয়ান প্রাইম হার্ড এ আবিষ্কারের আগ পর্যন্ত । কিন্তু নতুন এই জাতটি প্রাইম হার্ডের চেয়ে উন্নত ফলনশীল ।
আর তাই ড নিজামের উদ্ভাবন যে কোন জেনেটিক আবিষ্কারের ক্ষেত্রে সৃষ্টি করেছে নতুন একটি রেকর্ড । অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন স্পন্সর কোম্পানির অর্থায়নে নানা গবেষণার কাজ চলে । নতুন এই গমবীজের ফলন ও এর ফসলের প্রোটিনগত সমৃদ্ধির কারনে অস্ট্রলিয়ার জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে ড নিজামের খ্যাতি । আসছে তার পক্ষে নতুন নতুন স্পন্সরের প্রস্তাব ।
এই সুখ্যাতির আড়ালে এই বাংলাদেশীর রয়েছে নিরব আক্ষেপ । বাংলাদেশের এই সন্তানের সাফল্যগাথা সম্পর্কে এখনো জানে না এদেশের মানুষ । ড. নিজাম অস্ট্রেলিয়া থাকতে চাননি । চেয়েছিলেন দেশে থেকে দেশে কিছু করার । কিন্তু সেই সুযোগ তিনি পাননি ।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউটে পেশা জীবন শুরু করেন ড নিজাম ।
অস্ট্রেলিয়া সরকারের একটি বৃত্তি নিয়ে উচ্চতর পড়াশুনা-গবেষনার জন্য আসেন । এখানে পড়াশুনা শেষে দেশে ফেরতও গিয়েছিলেন নিজের দেশেই কাজ করবেন এই ইচ্ছা নিয়ে । কিন্তু ড নিজাম দেশে ফেরত গেলেও ক্ষমতাসীন সরকার তার কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউটের চাকরি ফেরত দেয়নি । ভগ্নমনোরথে তিনি ফিরে যান অস্ট্রেলিয়া । তাঁকে লুফে নেয় সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় ।
ছোটখাটো গড়নের লাজুক স্বভাবের ড নিজামের তাই এসব নিয়ে আলাদা উচ্ছ্বাস নেই । এই জেনেটিক সায়েন্টিস্টর বাড়ি চাঁদপুরের মতলবে । সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব এগ্রিকালচার, ফুড অ্যান্ড ন্যাচারাল রিসোর্সেস এর অধীনে রিসার্স ফেলো হিসাবে কাজ করছেন ড. নিজাম । সেখানে টার্গেটকৃত সময়েরও আগেই তার বিরল আবিষ্কারে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশেষ খুশি । গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির প্রধান এজন্য ড.নিজাম এবং বাংলাদেশ নিয়ে গর্বিত হিসেবে নিজের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ।
ড নিজাম মনে করেন বাংলাদেশে বিশ্বমানের অনেক গবেষক-বিজ্ঞানি আছেন । অভাব পৃষ্ঠপোষকতা আর স্পন্সরের । আর তা সম্ভব হলেই মেধা পাচার বন্ধ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন ।
উৎস
১৩৮ / বিশ্বের শীর্ষ চিত্রশিল্পীদের কাতারে বাংলাদেশি তরুণী মুর্শিদা আরজু আল্পনা ।
সৃজনশীল চিত্রকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্বের শীর্ষ চিত্রশিল্পীদের কাতারে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশি তরুণী মুর্শিদা আরজু আল্পনা ।
আল্পনা’র অনবদ্য চিত্রকর্ম জার্মানির প্রখ্যাত কবি রেইনহার্ড ফুকস সম্পাদিত ‘উইমেন ইন আর্ট : মাস্টারপিসেস অব ভিজ্যুয়াল আর্ট, দ্য গ্রেট ফিমেল আর্টিস্ট ফ্রম দ্য মিডেল এজেস টু দ্য মডার্ন ইরা’ নামে বিশ্বসেরা নারী শিল্পীদের আঁকা চিত্রকর্মের ভলিউমে স্থান করে নিয়েছে ।
সম্পাদক চিত্রকর্ম সংগ্রহের বইটিতে হাজার বছরের ইতিহাসের নারী শিল্পীদের অঙ্কিত সেরা সব চিত্রকর্ম সঙ্কলন করেছেন । এই সঙ্কলনের সংগ্রহগুলো http://www.women-in-art.com এই ওয়েবসাইটে গিয়ে উপভোগ করতে পারেন শিল্পপ্রেমীরা । ওয়েবসাইটটির আর্টিস্ট বিভাগে গিয়ে আল্পনার- A অথবা মুর্শিদার-M ক্লিক করলে তাঁর চিত্রকর্ম দেখতে পাওয়া যাবে ।
এছাড়া আল্পনা’র ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট http://www.arzu-alpana.com এ গিয়েও দেখা যাবে তাঁর অঙ্কিত সব চিত্রকর্ম । প্রসঙ্গত, জার্মানির বার্লিনের বাসিন্দা আল্পনার কিছু চিত্রকর্ম আহসান মঞ্জিল জাদুঘর ও জাতীয় জাদুঘরেও প্রদর্শিত হচ্ছে ।
উৎস
১৩৯ / চারবার শঙ্কর আন্তর্জাতিক চিত্র পদক বিজয়ী প্রবাসী সেলিনা করিম
আমেরিকায় বাংলাদেশী বংশোদূত সেলিনা করিমের চিত্রকর্ম চারবার শঙ্কর আন্তর্জাতিক চিত্র পদক পেয়েছে । তার এই সাফল্য বাংলাদেশের ইতিবাচক ইমেজ গড়তে সহায়তা দিচ্ছে ।
বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় তিনি চিত্রকর্মের উপর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা খুব সামান্যই নিতে পেরেছিলেন ।
ব্রিটেনে আসার পর ওই বছরই তিনি পদার্থ বিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন । কিন্তু তিনি একজন পেশাদার চিত্রশিল্পী হতে চেয়েছিলেন । আর এ কারণেই তিনি শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিত্রশিল্পের উপর দুই সেমিস্টারের একটি কোর্স সম্পন্ন করেন ।
এরপর তিনি জাপানে গিয়ে কাঠের উপর প্রাচীন শিল্পকর্ম খোদাই শিখেন । তিনি একমাস কোস্টারিকায় থেকে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকর্মের উপর প্রশিক্ষণ নেন । পরবর্তীতে একে একে তিনি পেরু, স্পেন, মরক্কো, মিশর এবং তুরস্ক ভ্রমণ করে বিভিন্ন ধরণের চিত্রশিল্পের উপর তার জ্ঞান আহরণ করেন ।
তার প্রথম সাফল্য আসে ১৯৭৯ সালে টেক্সাসের একটি শিল্পকর্ম প্রতিযেগিতা অনুষ্ঠানে । টেক্সাসের ওডেসার ওই প্রতিযোগিতায় তার চিত্রকর্ম শ্রেষ্ঠ শিল্পকর্মের পুরস্কার পায় । এটাই হলো তার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট । পরবর্তীতে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।
১৯৯৪ সালে তিনি পান অন্যরকম এক স্বীকৃতি । ওই সময় ন্যাশনাল ওয়াটার মিডায়া শোতে তার চিত্রকর্ম স্থান পায় বিশ্বের শ্রেষ্ঠ চিত্রশিল্পীদের সঙ্গে ।
২০১০ সালে লাভল্যান্ড জাদুঘর ও গ্যালারিতে তিনি তার চিত্রকর্মের উপর দক্ষতা দেখাতে সক্ষম হন । বর্তমানে তিনি ওই জাদুঘরে চিত্রকর্মের শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ।
করিমের বহু চিত্রকর্ম প্রকাশিত হয়েছে চিত্রকর্মের বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন ‘ইন্টারন্যাশনাল আর্টিস্ট’-এ । এছাড়াও বহুবছর ধরে তার চিত্রকর্ম প্রকাশিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্ষুদ্রকায় শিল্প প্রদর্শনীতে, কলম্বিয়া কলেজে এবং ওয়াশিংটন গ্যালারিতে । একটি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রায় ৭০০ টি শিল্পকর্মের মধ্যে তিনি সেরা ১০০ জনের মধ্যে ছিলেন । ২০০৬, ২০০৮, ২০০৯ এবং ২০১০ সালে তার শিল্পকর্ম কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটির শিল্প ও বিজ্ঞান প্রদর্শনীতে স্থান পায় ।
বর্তমানে করিম লাভল্যান্ডের কাছে আর্টওয়ার্ক স্টুডিওতে জলরং ও প্রিন্টম্যাকিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন । করিম তার কাজ সম্পর্কে বলেন, ‘প্রকৃতির সঙ্গে আমার যে ভালবাসা ও আধ্যাত্মিক সম্পর্ক রয়েছে তাই প্রাশ পায় আমার কাজে । এবং এই কাজের মাধ্যমেই আমি নিজেকে খুঁজে পাই । আমি প্রকৃতি থেকেই আমার কাজের ধারণা ও উৎসাহ পেয়ে থাকি । আমার চিত্রকর্মগুলো আমার অতীত ও বর্তমানকে ধারণ করে ।’
উৎস
১৪০ / একশো’র বেশী অসাধারণ গাড়ির ডিজাইনার বাংলাদেশের লিপু
তার নাম নিজাম উদ্দীন আউলিয়া ডাক নাম লিপু । বাবা কাজী গোলাম আউলিয়া রিয়াদে আমেরিকান দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা ।
ঢাকায় রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল থেকে নবম শ্রেণী পাসের পর লিপু বাবা-মায়ের সাথে সৌদি আরবে চলে যায় । রিয়াদ থেকে এসএসসি পাস করে। ভর্তি হয় রিয়াদস্থ এক কলেজে । ছোটবেলা থেকে গাড়ির প্রতি ঝোঁক ছিল লিপুর । নতুন গাড়ি দেখলেই চড়তে ইচ্ছে করত । ছেলের আগ্রহ দেখে বাবা সৌদি আরবেই লিপুকে ড্রাইভিং শেখার সুযোগ করে দিলেন ।
সৌদি আরবে গাড়ি চালানোর লাইসেন্স পেল লিপু । এক সময় আবার বাংলাদেশে ফিরে এল সে । পড়াশোনার চেয়ে গাড়িই তাকে আকৃষ্ট করতে থাকল বেশি । একদিন জিগাতলার বাসায় গাড়ির কলকব্জা নিয়ে খুটখাট শুরু করল । ব্যস ঐ যে শুরু আজও চলছে.. !
নব্বইয়ের দশকের শুরুতে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত ইত্যাদি অনুষ্ঠানে লীপু প্রথম সবার নজর কাড়েন । কোনো মেশিনে নয় খালি হাতে শুধু হাতুরী-বাটাল দিয়ে (discovery-এর ভাষায় ''বাংলা স্টাইলে'' 82 মডেলের হোন্ডা সিভিক গাড়িকে ফেরারি কোইজিন টেসটারোসাতে রুপান্তর করে টাসকি খাইয়ে দেন সবার ……।।
গত বছরের মাঝামাঝি সময় মার্কিন দর্শকেরা দেখেছেন বাংলাদেশি গাড়ি ডিজাইনার নিজামউদ্দিন আউলিয়ার টিভি শো । এই নিজামউদ্দিন আউলিয়া বিশ্বজুড়ে লিপু নামে পরিচিত । অনুষ্ঠানটির নাম ছিল ‘লিপু অ্যান্ড পিটবুল’। সে সময় এ নিয়ে খবর ছড়িয়েছিল অনেক ।
‘লিপু অ্যান্ড পিটবুল’ অনুষ্ঠানটি মূলত একটি রিয়েলিটি শো । এতে বাংলাদেশি গাড়ি ডিজাইনার লিপু যুক্তরাষ্ট্রের মাস্টার ম্যাকানিক ও একটি অটোগ্যারেজ শপের মালিক স্টিভ পিটবুল ট্রিমবোলির সঙ্গে এক হয়ে গাড়ির মেকওভার বা রূপ বদল করে থাকেন । পুরোনো গাড়িকে ভেঙেচুরে নতুন রূপে তৈরি করেন ।
একদিকে পিটবুল গাড়ির ভেতরের যন্ত্রাংশ ঠিকঠাক করে পুরোনো গাড়িকে আধুনিক রূপ দেন, অন্যদিকে লিপু গাড়ির বাইরের চেহারা বদলে দেন তাঁর চিন্তা ও কল্পনা দিয়ে ।
পিটবুল যেখানে বেশ গোছানো কায়দায় গাড়ির ভেতরের কলকবজাকে এক করে গাড়ি পুনর্নির্মাণ করেছেন, সেখানে লিপু চলেছেন একেবারে ভিন্ন পথে । সাধারণত গাড়ি ডিজাইনাররা প্রথমে কাগজে নকশা এঁকে তারপর লোহালক্কড় ভেঙে তৈরি করেন গাড়ির বডি । কিন্তু অনুষ্ঠানে লিপু বলেন, ওসব নকশা আঁকিবুঁকিতে আগ্রহ নেই তাঁর ।
বুক ফুলিয়েই বলেন, ‘বাঙালি ওয়ে’তে কাজ করেন তিনি । বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাওয়া তাঁর হাতুড়ি, রেঞ্চ দিয়ে পিটিয়ে লোহার পাতকে নানা রূপ দেন । লিপুর এসব পাগলামি বিস্মিত করেছে অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া বাকি মার্কিন গাড়ি বিশেষজ্ঞদেরও ।
এর আগে লিপু ‘চপ শপ: লন্ডন গ্যারেজ’ এবং ডিসকভারি চ্যানেলে ‘বাংলা ব্যাংগার্স’ নামে দুটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন ।
উৎস
প্রবাসে বাংলাদেশের রক্তের উত্তরাধিকারী গুণীগন - পর্ব ১ হইতে ১০০।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৯