প্রবাসে বাংলাদেশের রক্তের উত্তরাধিকারী গুণীগন - পর্ব ১৩১ হইতে ১৩৫ ।
এই পর্বে আরও আছেন-
১৩৩/ যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী প্রকৌশলী হাবিব শাহীন তরফদারের উদ্ভাবন : গাড়ি চালনায় বাংলায় দিক নির্দেশনা
১৩৪ / যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা, বিশ্বসেরা চিকিৎসক ড. রায়ান সাদী ।
১৩৫/ ব্রিটেনে পারসনালিটি অব দ্য ইয়ার পুরস্কার জয়ী সেলিম হোসেন ।
১৩১/ মিশিগানে বাংলাদেশী তরুণী সুবহা হানিফ এর “কিপার অফ দি ড্রীম” পদক লাভ
সুবহা হানিফ, বাংলাদেশে জন্ম গ্রহনকারী তরুণী, ওকল্যান্ড ইউনিভার্সির অভিজাত পদক “কিপার অপ দি ড্রীম” লাভ করেছেন । আমেরিকান সিভিল রাইট নেতা র্মাটিন লুথার কিং এর মানবতাকামী স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষে ওকল্যান্ড ইউনিভার্সিটি গত ২০ বছর থেকে ইউনিভার্সিটির শিক্ষা ও সমাজ সেবায় নিয়োজিত উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থীকে এই পদক এবং পদকের সাথে পাঁচ হাজার ডলারের বৃত্তিও প্রদান করা হয় । পদক প্রদান অনুষ্ঠান ইউনিভার্সটির উচ্চমানের কার্যক্রমের একটি ।
সুবহা হানিফকে শিক্ষাক্ষেত্রে উৎকর্ষতা, ক্যাম্পাসে ছাত্র প্রতিনিধিত্বকারী কংগ্রেস ও সিনেটে কর্তব্য পালন, ছাত্র সংগঠনে নেতৃত্ব প্রদান ও কমিউনিটিতে সেবা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এ পদকের যোগ্য বিবেচনা করা হয়েছে । সুবহা তৃতীয় বর্ষে বায়োলজী বিষয়ে পড়াশুনা করছেন এবং ভবিষ্যতে পাবলিক হেলথে কাজ করার জন্য প্রস্থত হচ্ছেন।
সুবহা হানিফ মিশিগানের রচেষ্টার হীল্সএ পিতামাতা আবুবক্কর হানিফ, সাদেকা হানিফ ও ছোট বোন ফারহা হানিফের সাথে বসবাস করেন।
সুবহা জন্ম বাংলাদেশের সিলেট সদর উপজেলায় । তার দাদা আম্বরখানার মরহুম মোহাম্মদ শফিকুর রহমান ও নানা গোপশহরের মরহুম নূরুল ইসলাম ধলা মিয়া ।
সুবহা ভবিষ্যতে পাবলিক হেলথ বিষয়ে বাংলাদেশে কাজ করার স্বপ্ন দেখছেন।
সুত্র --------
১৩২ / লেবার থেকে ইঞ্জিনিয়ার ; অষ্টম শ্রেণী পাশ নুরুল আবছার খান মামুন , যিনি দুবাইয়ের মোবাইল কোম্পানি 'ঢু'এর নিজস্ব ভবনের আর্কিটেক্ট ।
নুরুল আবছার খান মামুন , একজন বাঙালি তরুণ । কর্মগুণে লেবার থেকে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে চমকে দিয়েছেন আমিরাতকে । সেইসাথে চমকে গেছে গোটা দুবাইয়ের বাঙালি সমাজ । প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা মাত্র অষ্টম শ্রেণি হলেও নিষ্ঠা ও মেধায় লেবার থেকে আর্কিটেক্ট ইঞ্জিনিয়ারের পদ দখল করে নিয়েছেন দুবাই মিউনিসিপালিটির জেনারেল ম্যানেজারের ব্যক্তিগত কোম্পানী লোতাহ গ্র“প অব কোম্পানীতে ।
মামুনের বাড়ি ফেনীর উত্তর ধলিয়াতে । একদম গরীর ঘরের ছেলে সে । সেই শৈশবে বাবা আব্দুল আউয়াল খানকে হারিয়েছেন । বাবাকে খুন করেছে সন্ত্রাসীরা । দুই ভাই, দুই বোন নিয়ে মামুনের মা মাজেদা বেগম অনেক কষ্ট করে দিন কাটিয়েছেন । তখন তারা সবাই ছোট । একবেলা দু’মুঠো ভাত জুটলেও আরেকবার ভাত জুটেনাই তার ভাগ্যে ।
এমন কষ্ট করে বড়ভাই আবু ছুফিয়ান খান এইচএসসি পাস করলেও অভাব অনটনের সংসারে মামুনের ৯ম ক্লাস পড়েই নেমে যেতে হয় জীবন যুদ্ধে । সেই থেকে একটা প্রতিজ্ঞা ছিল মনে একদিন ইঞ্জিনিয়ার হয়ে ওঠবেন । সময় পেলেই কাগজ-কলমে যুদ্ধে লেগে যেতেন । করে ফেরতেন অসাধারণ ড্রয়িং ।
তখন দেশে নির্বাচনের উত্তাল সময় । ফেনীতে আসলেন স্থানীয় এমপি মোশারফ হোসেন । মামুন উনার কাছে গিয়ে তাদের দুর্দশার কথা বললে তিনি সময়-সময় মামুনদের আর্থিক সাহায্য করে যান । নির্বাচনের দুই বছর ওই এমপিকে আকুতি করে মামুন বিদেশ পাঠানোর জন্য ।
এমপি তার বেইস্টার্ন লি. এর মাধ্যমে মামুনকে দুবাই পাঠানোর সব ব্যবস্থা করলেন । আর অর্ধেক টাকায় তাকে দুবাই পাঠালেন । শুরু হয় মামুনের স্বপ্নগড়ার সংগ্রাম । লেবার হয়ে কাজ করলেও চোখ মামুনের ইঞ্জিনিয়ারিং এর দিকে । ৫ বছর লেবার জীবন চলতে থাকে । এরই মাঝে আমিরাতের মোবাইল কোম্পানী ‘ডু’ তার নিজস্ব ভবনের জন্য ডিজাইন আহবান করলে মামুন এখানে একটা ড্রয়িং জমা দেন ।
বিখ্যাত আর্কিটেক্ট ইঞ্জিনিয়ার দের পাঠানো অসংখ্য ডিজাইনের ভিতর মামুনের ডিজাইনের নান্দনিকতায় মুগ্ধ হন 'ঢু' কতৃপক্ষ ! নির্বাচিত করা হয় মামুন কে । সুসংবাদবাহী পত্রটি আসে তার নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান লোতাহ কোম্পানীর এমডি’র কাছে ।
তাজ্জব বনে জান এমডি ! সসন্মানে ডেকে পাঠান মামুনকে । সুসংবাদবাহী পত্রটির সাথে ধরিয়ে দেন আরও একটি পত্র ! '' আজ থেকে আপনাকে লোতাহ কন্সট্রাকশান কোম্পানীতে সহকারী ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হল ।''
সেই সাথে বেড়ে যায় মামুনের বেতনভাতাও । নতুন পদে অল্প কয়েকদিনের মাঝেই সে ড্রয়িং ডিজাইন করে বিভিন্ন কোম্পানীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে । মামুন আরো এগিয়ে যেতে চায় । চায় সকলের দোয়া । প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকার পরও মেধা বলে এগিয়ে এসেছে বলে খোদার কাছে সে কৃতজ্ঞ ।
অভিনন্দন নুরুল আবছার খান মামুন ! গো এহেড !!
সুত্র--
১৩৩/ যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী প্রকৌশলী হাবিব শাহীন তরফদারের উদ্ভাবন : গাড়ি চালনায় বাংলায় দিক নির্দেশনা
যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত বাংলা ভাষাভাষী চালকরা এবার গাড়ি চালানোর সময় জিপিএস (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম) পদ্ধতিতে বাংলা কণ্ঠে শুনতে পাবেন প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা । বাংলা ভাষাভাষী গাড়িচালকদের জন্য অভাবনীয় সাফল্য বয়ে এনেছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত নিউজার্সি প্রবাসী প্রকৌশলী হাবিব শাহীন তরফদার ।
তার এ উদ্ভাবনের ফলে প্রবাসী বাংলাদেশীরা সাবলীল কণ্ঠে প্রমিত বাংলা ছাড়াও সিলেট, চিটাগাং, নোয়াখালী, বরিশাল, পুরান ঢাকা, পাবনাসহ দশটি ভিন্ন কণ্ঠ যে কেউ সুলভে ডাউনলোড করতে পারবেন জিপিএসবাংলা.কম থেকে । পরে তা ব্যবহার করতে পারবেন জার্মিন জিপিএস-এ । জ্যাকসন হাইটসে ওয়ান ডট নেটের অফিসে গিয়েও এটি ইন্সটল করা যাবে ।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত রাষ্ট্রগুলোতে ট্রাফিক সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বর্তমানে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য এবং বিজ্ঞানসম্মত উপায় হলো জিপিএস নেভিগেশন সিস্টেম । এ প্রযুক্তির সাহায্যে কোনো নতুন শহরে আপনার গতিপথ নির্ণয়, ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা, সড়ক দুর্ঘটনা এমনকি গাড়ি চুরি ঠেকানো যায় । আমাদের দেশে পুলিশ সদস্যরা চুরি হওয়া গাড়ি খুঁজে পেতে মাঝে মাঝে এ প্রযুক্তি কাজে লাগাচ্ছে ।
প্রায় দু’দশক আগে শাহীন তরফদার উচ্চ শিক্ষার্থে যুক্তরাষ্ট্রে গেলেও এখনও নাড়ির টান অনুভব করেন প্রতিটিক্ষণ । ‘জিপিএস-এ ইংরেজিতে যে কণ্ঠটি আসে সেটি সাধারণত খুব যান্ত্রিক । আমি চেষ্টা করেছি মানবিকতা যোগ করতে, কেউ পার্সোনালি আমাকে ডিরেকশন দিচ্ছে, সেটি যেন মনে হয়-যতটুকু সম্ভব সেদিকে খেয়াল রেখেছি’-বললেন তিনি । এই কণ্ঠটি শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, কানাডা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়াসহ যেখানেই জার্মিনের সার্ভিস রয়েছে সেখানেই বাংলা কণ্ঠগুলো ব্যবহার করা যাবে ।
আদিবাড়ি যশোর শহরে, পড়াশোনা করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছাত্রাবস্থায় আবদুল্লাহ আল-মামুন, ফেরদৌসি মজুমদারসহ অন্যদের সঙ্গে থিয়েটারের ব্যানারে নিয়মিত নাটক করতেন মহিলা সমিতি মঞ্চে । পরে স্কলারশিপ নিয়ে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং -এ স্নাতক ডিগ্রি শেষ করবার জন্য ।
প্রথমে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ওহাইও এবং ইলিনয়ে কাজ করলেও পরে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং-এ আকৃষ্ট হন এবং প্রফেশন বদলে ফেলেন । এখন আমেরিকার অন্যতম হিউম্যান রিসোর্স কোম্পানি ‘এডিপি’তে বিজনেস ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টে কাজ করছেন ডিরেকটর পজিশনে ।
তার উদ্ভাবিত জিপিএস-এ প্রমিত বাংলা নির্দেশনায় কণ্ঠ দিয়েছেন লুত্ফুন্নাহার লতা এবং শাহিন তরফদার নিজে । পাবনার আঞ্চলিক ভাষায় কণ্ঠ দিয়েছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, সিলেটি ভাষায় নিউইয়র্ক প্রবাসী শিল্পী তাজুল ইমাম, নোয়াখালী ভাষায় কণ্ঠ দিয়েছেন অভিনেত্রী তরু মোস্তফা ।
সুত্র----
১৩৪ / যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা, বিশ্বসেরা চিকিৎসক ড. রায়ান সাদী ।
বিশ্বের চিকিৎসা-বিজ্ঞান জগতে সেরা ১০০ ব্যক্তিত্বের অন্যতম হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন বাংলাদেশি-আমেরিকান ড. রায়ান সাদী ।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্যাথলিন সেবিলিয়াসের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যপদ লাভ করেছেন । উল্লেখ্য, এ বছর বিশ্বের শিল্প এবং কর্পোরেট জগতের শীর্ষ মুখপাত্র 'ফার্মা ভয়েস' এর মনোনীত বিশ্বসেরা '১০০ জন সেরা' লাইফ সায়েন্স বিশেষজ্ঞের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশি ড. রায়ান সাদী ।
স্বাস্থ্যসেবায় কর্মকৌশল উদ্ভাবনে বিশেষ কৃতিত্ব দেখানোর জন্য তিনি এই মর্যাদা লাভ করেন । চিকিৎসা বিজ্ঞান বা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কমান্ডারস অ্যান্ড চিফ, এন্টারপ্রিনিউর, চেঞ্জ এজেন্ট, রিসার্চার অ্যান্ড সায়েন্টিস্ট, ক্লিনিক্যাল স্পেশালিস্ট, মার্কেটার্স, টেকনোলজিস্ট এবং পেশেন্ট অ্যাডভোকেট এই আটটি ক্যাটাগরিতে ১০০ জনের তালিকা তৈরি করা হয় । ড. সাদী 'চেঞ্জ এজেন্ট' হিসেবে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন ।
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার শাহাপুর গ্রামের অধ্যক্ষ তৈয়ব হোসেন এবং অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা আসমা বেগমের একমাত্র পুত্র রায়ান সাদী । কুষ্টিয়া জিলা স্কুল ও কুষ্টিয়া কলেজ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এসএসসি ও এইচএসসি পাসের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন । এরপর স্বাস্থ্যনীতি, স্বাস্থ্য অর্থনীতি এবং এপিডিমিওলজিতে উচ্চতর ডিগ্রি গ্রহণের জন্য পরের বছর কানেকটিকাটে বিশ্বখ্যাত ইয়েল ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনে ভর্তি হন ।
সেখান থেকে ডিগ্রি নেওয়ার পর নাভাদায় হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় চাকরিতে যোগদান করেন । সেখানকার ফ্যালোন সিটিতে চার্চিল হাসপাতালে ডিপার্টমেন্ট অফ এপিডিমিওলজি, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড মেডিকেল কেয়ার কো-অর্ডিনেশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তার মধ্যে কৌতূহল জাগে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে । সেই সঙ্গে ইনস্যুরেন্স কোম্পানি, ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনার চাকরিও করেছেন তিনি । এ ছাড়াও কয়েক বছর কাজ করেন লন্ডন ও প্যারিসেও ।
ড. সাদী ফার্মাসিউটিক্যাল, বায়োটেকনোলজি এবং মেডিকেল ডিভাইস প্রতিটি সেক্টরে উচ্চতর ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন । পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে স্বাস্থ্যসেবা সেক্টরকে এগিয়ে নেওয়ার কর্মকৌশল প্রণয়নে ড. সাদীর অসামান্য কৃতিত্ব তাকে বিশ্বজুড়ে খ্যাতির শীর্ষে পেৌঁছে দিয়েছে ।
(ড. সাদীর ছবি পাওয়া যায়নি , ব্যবহৃত ছবিটি প্রতীকী)
সুত্র---
১৩৫/ ব্রিটেনে পারসনালিটি অব দ্য ইয়ার পুরস্কার জয়ী সেলিম হোসেন ।
তরুণ বাংলাদেশী ব্যবসায়ী সেলিম হোসেন পেলেন ব্রিটেনের এশিয়ান কমিউনিটির পারসনালিটি অব দ্য ইয়ার পুরস্কার ।
ব্রিটেনে ২০০৫ সাল থেকে ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ড চালু হয়ে আসছে । এবারের অনুষ্ঠানে পারসনালিটি অব দ্য ইয়ার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন । তিনি পারসনালিটি অব দ্য ইয়ার হিসেবে সেলিম হোসেনের নাম ঘোষণা করেন । এ বছর ব্রিটেনে ৬টি বাংলাদেশী ও ৪টি ভারতীয় রেস্টুরেন্ট দেশসেরা রেস্টুরেন্টের পুরস্কার পায় ।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী রন্ধনশিল্পী কেকা ফেরদৌসিকে কারি শিল্প তুলে ধরার অবদানের জন্য বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয় । অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কর্মসংস্থান ও পেনশন মিনিস্টার ক্রিস গেলিং এমপি, রোশনারা আলী এমপি, এ্যানমেই এমপি, নিকি মরগেন এমপি, কনজারভেটিভ পার্টির কোচেয়ার সাঈদা ওয়ার সি, সাবেক ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত আনোয়ার চৌধুরী ।
অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা ও পরিচালনা করেন জাস্টিন আলী এবং লন্ডনের মেয়র বরিস জনসন।
সুত্র--
প্রবাসে বাংলাদেশের রক্তের উত্তরাধিকারী গুণীগন - পর্ব ১ হইতে ১০০।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৪