প্রবাসে বাংলাদেশের রক্তের উত্তরাধিকারী গুণীগন - পর্ব ১২১ হইতে ১২৫
( এই পর্বে আরো আছেন -
**সমাজসেবার জন্য কানাডায় 'সিভিক অ্যাওয়ার্ড' বিজয়ী বাংলাদেশি শহীদুজ্জামান ।
**লন্ডনে নিউক্যাসেল চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকারী তাজওয়ার রাজিব
** ব্রিটেনে মিসেস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় তাহমিনা কবির ।
** যুক্তরাজ্যের রাজকীয় সশস্ত্র বাহিনীতে প্রথম বাংলাদেশী মাহমুদ শওকত আজাদ )
১২১ / বিশ্বের প্রথম সৌরচালিত হেলিকপ্টার এর আবিস্কারক বিজ্ঞানী হাসান শহীদ ।
কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে অভিনব এক পরীক্ষার প্রথম দিন । জ্বলে উঠেছে গবেষণাগারের হ্যালোজেন বাতি । সবার মধ্যে টান টান উত্তেজনা । কী হয় দেখার । ঘুরতে শুরু করল সোলারকপ্টারের চারটি পাখা । সব উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার অবসান ঘটিয়ে কয়েক মুহূর্তের মধ্যে উড়তে শুরু করে সোলারকপ্টার !
ডিসকভারি চ্যানেল বলছে,এটি বিশ্বের প্রথম সৌরচালিত হেলিকপ্টার ।
এই সৌরচালিত হেলিকপ্টার তৈরির অসাধারণ সাফল্যের পেছনে কাজ করে যাওয়া কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী হাসান শহীদ ।
পরের গল্প হাসান শহীদ এর মুখে -
হেলিকপ্টার নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে গবেষণা করছি, সেখান থেকেই সৌরচালিত হেলিকপ্টারের ভাবনা মাথায় আসে । সৌরচালিত বিমান ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে, তাহলে হেলিকপ্টার নয় কেন ? আশা ছিল, সাধারণ হেলিকপ্টারের যে সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তা আমরা জয় করতে পারব ।
‘এরপর শুরু করি সবাই মিলে কাজ, সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছার সাধনা । চ্যালেঞ্জ ছিল ব্যাটারি বা অন্য কোনো জ্বালানি ছাড়া শুধু সৌরশক্তি দিয়ে হেলিকপ্টার চালানো । এদিকে আরও উন্নয়ন ঘটাতে সোলার হেলিকপ্টার প্রকল্প মাস্টার্স পর্যায়ে নিয়ে আসা হয় । উদ্ভাবক দলে যোগ দেন আরও ছয়জন ছাত্র । আমার সঙ্গে সহতত্ত্বাবধায়ক হিসেবে আসেন অধ্যাপক অ্যান্টোনিও মুনজিয়া ।’
এই উদ্ভাবক দলের ধ্যানজ্ঞান বলতে গেলে ছিল একটাই । শুধু সূর্যের আলো দিয়ে হেলিকপ্টার ওড়ানো । গবেষণা আর কম্পিউটারে ডিজাইন চলতে থাকে একসঙ্গে ।
‘রোমাঞ্চকর একটা সময় পার করছিলাম আমরা । ভেবে দেখুন সফল হলেই তা হবে বিশ্বের এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রির জন্য যুগান্তকারী এক পদক্ষেপ ।’
শহীদ বলছিলেন । কাজের অগ্রগতি, সমস্যার খুঁটিনাটি এবং উত্তরণের উপায় খোঁজার মধ্য দিয়ে চলতে থাকে অভিযান । হালকা, মজবুত আর কম শক্তি ব্যয়—এই তিন লক্ষ্য সামনে রেখে চূড়ান্ত হয় ডিজাইনটি । পাঁচ মাসের অক্লান্ত চেষ্টায় তৈরি হয় এক কেজির কম ওজনের স্বপ্নের সৌরচালিত হেলিকপ্টার, যার নাম ঠিক হয় সোলারকপ্টার ।
সোলারকপ্টারটি ওড়ার ক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য তৈরি করা হয় হ্যালোজেন ল্যাম্পের সমন্বয়ে তৈরি সান সিমিউলেটর । দূরনিয়ন্ত্রকের (রিমোট কন্ট্রোল) মাধ্যমে অপারেশন শুরু করতেই ঘুরতে থাকে হেলিকপ্টারের চারটি পাখা । সবাইকে অবাক করে দিয়ে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ওপরে উঠে আসে সোলারকপ্টার !
গিজম্যাগ, ডিজাইনবুমসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি নামকরা প্রযুক্তিবিষয়ক ম্যাগাজিনে সোলারকপ্টারের খবর প্রকাশিত হয় । বিশ্বখ্যাত ডিসকভারি চ্যানেলের ‘ডেইলি প্লানেট শো’ অনুষ্ঠানে সোলারকপ্টারের ওপর প্রচারিত হয় একটি প্রতিবেদন । সেখানে সোলারকপ্টারকে ‘বিশ্বের প্রথম সৌরচালিত হেলিকপ্টার’ হিসেবে উল্লেখ করা হয় ।
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জের ছেলে হাসান শহীদ । ছোটবেলা থেকেই খুব চটপটে। এটা-সেটা যন্ত্রপাতি ভেঙে পরীক্ষা করা ছিল তাঁর নিত্যদিনের কর্ম । তবে বড় হয়ে শহীদ ভালো কিছু করবেন, সেই বিশ্বাস ছিল গ্রামের সবার !
বরিশাল ক্যাডেট কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসিতে দুই পরীক্ষাতেই মেধাতালিকার ওপরের দিকে জায়গা ছিল তাঁর । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অ্যাপ্লায়েড ফিজিকস, ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং’ বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম ।
১৯৯৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড ইউনিভার্সিটিতে পাড়ি জমান শহীদ । তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল রোবটের হাত নিয়ন্ত্রণ ।
২০০১ সালে পিএইচডি শেষ করে কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন হাসান শহীদ । এখন জ্যেষ্ঠ প্রভাষক হিসেবে রোবটিকস অ্যান্ড কন্ট্রোল, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স বিভাগে গবেষণা করছেন । সম্প্রতি ব্রিটেনের ১০০ প্রভাবশালী বাংলাদেশির (ব্রিটিশ বাংলাদেশি পাওয়ার অ্যান্ড ইন্সপিরেশন) তালিকায় উঠে এসেছে তাঁর নাম ।
ব্যস্ততার মধ্যেই চলে বিজ্ঞান ও সমসাময়িক বিষয়ে লেখালেখির কাজ। সময় প্রকাশন থেকে ২০০৭ সালে তাঁর বই এলিয়েন: সম্ভাবনা ও সন্ধান এবং ২০০৮ সালে মহাবিস্ময়ের মহাকাশ প্রকাশিত হয় । ইংল্যান্ডের স্প্রিংগার প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে যৌথভাবে লেখা তাঁর বই প্যারালাল কম্পিউটিং ফর রিয়েল-টাইম সিগন্যাল প্রসেসিং অ্যান্ড কন্ট্রোল ।
হাসান শহীদ জানালেন তাঁর আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কথা । নিয়ন্ত্রণ করা যায়, এমন ক্যাপসুল রোবট তৈরি করতে চান তিনি । সোলারকপ্টারের মতো এ বিষয়ে তাঁর অন্য একটি মাস্টার্স পর্যায়ের প্রকল্প রয়েছে । এই ক্যাপসুল রোবট প্রকল্প এরই মধ্যে কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ডের জন্য নির্বাচিত হয়েছে ।
বাংলাদেশ নিয়ে অনেক আশাবাদী হাসান শহীদ, তিনি বিশ্বাস করেন, বিপুল সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশ । বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম খুবই মেধাবী, তাঁদের দিয়ে অনেক অসম্ভবই সম্ভব হতে পারে ।
ব্রনেল বিশ্ববিদ্যালয়ে জেনেটিকস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি গবেষণারত মাহমুদা ফেরদৌসী হাসান শহীদএর সহধর্মিণী ।
সুত্র -
১২২ / সমাজসেবার জন্য কানাডায় 'সিভিক অ্যাওয়ার্ড' বিজয়ী বাংলাদেশি শহীদুজ্জামান ।
কানাডায় সমাজসেবার জন্য সম্মানিত হয়েছেন বাংলাদেশি শহীদুজ্জামান । রাজধানী অটোয়ার সিটি কাউন্সিল তাঁকে সম্মানজনক সিভিক অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করেছে । কমিউনিটির উন্নয়নে অবদানের জন্য তাঁকে এই স্বীকৃতি দেয়া হয় । এর আগে ২০০৪ সালে অটোয়া সিটি কাউন্সিল প্রথমবারের মতো শহীদুজ্জামানকে সমাজসেবার জন্য পুরস্কৃত করে । ২০০৫ সালে অটোয়া সিটির ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অটোয়ায় বসবাসরত পৃথিবীর নানা কমিউনিটির মধ্যে থেকে বাছাই করে অনাবাসী কয়েকজনকে সিটি কর্তৃপক্ষ সম্মান জানায় । তাঁদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম ।
কানাডায় অনাবাসীদের মধ্যে শহীদুজ্জামানই প্রথম, যিনি পরপর তিনবার অটোয়া সিটির সিভিক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন । কানাডাপ্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে তিনি সুপরিচিত সমাজসেবী ও কমিউনিটি নেতা ।
শহীদুজ্জামানকে ২০০১ সালে কারসনগ্লোভ এলিমেন্টারি স্কুল ডেডিকেটেড ভলেন্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড, ২০০৩ সালে ইউনিভার্সিটি অব অটোয়া বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ইন্ডিপেন্ডেন্স ডে অ্যাওয়ার্ড, ২০০৫ সালে টরেন্টো ফোবানা বেস্ট সোশ্যাল ওয়াকার্স এ্যাওয়ার্ড প্রদান করে ।
সুত্র --
১২৩/ লন্ডনে নিউক্যাসেল চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকারী তাজওয়ার রাজিব
লন্ডনের নিউক্যাসেল সিটি কাউন্সিল আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় নিউকাসেলের সব স্কুলের প্রায় ৬০০ বাছাইকৃত চিত্রশিল্পীদের মধ্যে ব্রিটিশ প্রবাসী বাংলাদেশী বংশদ্ভুত ছাত্র তাজওয়ার রাজিবের চিত্র প্রথম স্থান অধিকার করেছে । সিটি কাউন্সিল এবার সহ আগামী তিন বছর ক্রিসমাস এবং নিউ ইয়ারে তার আকা চিত্রেই শহরের প্রধান সড়ক গ্রে-স্ট্রিট লাইটিং এর মাধ্যামে আলোকিত করবে ।
তাজওয়ার রাজীব ৫ম শ্রেনীর ছাত্র এবং নিউক্যাসেল তাজ একাউন্টটেন্স এর একাউন্টেট এ.বি.এম রাজীব ও ফাহমিনা রাজিবের পুত্র ।
বৃটেনর বাংলাদেশিরা মনে করেন, ব্রিটিশ মুল ধারায় নতুন প্রজন্মের একের পর এক বিজয়গাথা আলোকিত করবে বাংলাদেশকে ।
সুত্র --
১২৪ / ব্রিটেনে মিসেস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় তাহমিনা কবির ।
বিশ্বনন্দিত মিসেস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় মনোনীত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ব্যারিস্টার তাহমিনা কবির ।
এ প্রতিযোগিতাটি মিস ওয়ার্ল্ড কিংবা মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার মতো নয় । মেধা এবং সৌন্দর্যের সংমিশ্রণের এ প্রতিযোগিতায় সৌন্দর্যের বিষয়টি আসে সবার পরে ।
মিসেস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতাটি মূলত একটি ফোরাম, যেটির এ বছরের আলোচ্য বিষয় ‘নো টু ডমেসটিক ভায়োলেন্স’ (No to domestic violence)। এ প্রতিযোগিতায় যেহেতু বিবাহিত নারীরা অংশ নেন- তাই উচ্চতা, ফিগার কিংবা ওজন নয়, বরং প্রতিযোগীর বিনয়, শালীনতাবোধকেই প্রাধান্য দেওয়া হয় । আর অংশ নেওয়া বেশিরভাগ নারীই উকিল, শিক্ষক, বিজ্ঞানী কিংবা ব্যবসায়ী ।
ব্যারিস্টার তাহমিনা কবির একজন আদর্শ মা, বিজ্ঞ সমাজকর্মী ও মেধাবী আইনজীবী । ‘হিউম্যান রাইট ফর দ্য ডিস্ট্রেস অ্যান্ড ভিকটিম অব ডমেস্টিক ভায়োলেন্স’ শীর্ষক কাজে দীর্ঘ অভিজ্ঞতার স্বাক্ষর রেখেছেন তাহমিনা । মূলত এজন্যই তিনি মিসেস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় মনোনীত হয়েছেন ।
দেশের বাইরে থেকেও বাংলাদেশের নারীদের প্রতিনিধিত্বকারি তাহমিনা বলেন - বাংলাদেশের মেয়েরা প্রগতিশীল হয়ে উঠছে । তারা দুরন্ত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে । সুতরাং তাদের পথ তারাই তৈরি করে নিতে পারবে । এ পৃথিবীতে কিছু মানুষ জন্মায় সমালোচনা করার জন্য । সেসব সমালোচকদের কথায় যেন থমকে না যায় তারা । দুরন্ত গতি যেন একটুও থেমে না যায় বাংলাদেশের মেয়েরা ।
ব্যারিস্টার অ্যাট ল’ ডিগ্রি সমাপ্ত করা তাহমিনা ২০০৩ সালে উচ্চতর পড়াশোনার জন্য লন্ডন পাড়ি জমান ।
সুত্র ---
১২৫ / যুক্তরাজ্যের রাজকীয় সশস্ত্র বাহিনীতে প্রথম বাংলাদেশী মাহমুদ শওকত আজাদ
লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজ অব প্রফেশনাল স্টাডিজের (বিপিপি ইউসি) মেধাবী বাংলাদেশী শিক্ষার্থী মাহমুদ শওকত আজাদ ক্যাম্পাসে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন ।
যুক্তরাজ্যের রাজকীয় সশস্ত্র বাহিনীতে (টেরিটোরিয়াল আর্মি রয়েল সিগন্যাল কোর) তিনিই প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে নিয়োগ পান ।
আজাদ সিগনালার হিসেবে দায়িত্ব (ইনফরমেশন কমিউনিকেশন সিস্টেমস অপারেশন্স ইউকে ওপিএস ক্লাস থ্রি) পালনকালে বহু পেশাগত দক্ষতাসম্পন্ন সার্টিফিকেট অর্জন করেছেন । বর্তমানে বিপিপি ইউসিতে তিনি মনোবিজ্ঞানের সঙ্গে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন । প্রথম বাংলাদেশী শিক্ষার্থী হিসেবে তিনি ছাত্র সংগঠন ও কর্তৃপক্ষের কাছ থেকেও ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছেন ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্ম গ্রহণকারী আজাদ ঢাকার মিরপুরে শৈশব কাটিয়েছেন । ঢাকার সেন্ট জোসেফ হাইস্কুলে তার শিক্ষাজীবন শুরু। ঢাকা কলেজ থেকে তিনি সাফল্যের সঙ্গে এইচএসসি পাস করেন । তার বাবা মোঃ শওকত আলী নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন সাবেক উপসচিব ছিলেন । যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিপিপি ইউসিতে ভর্তি হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে আজাদ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন
সুত্র ---
প্রবাসে বাংলাদেশের রক্তের উত্তরাধিকারী গুণীগন - পর্ব ১ হইতে ১০০ , এখানে ।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০