১ /
একটা মেয়ে অনেকগুলি তৈজসপত্র নিয়ে বাসায় ঢুকছে । কোন ফেরিওয়ালির মাইয়া টাইয়া হবে হয়তো !
ফাঁকে একটি গল্প সেরে নেই -
এক দর্শনের অধ্যাপক গেটের সামনে একটা বাচ্চাকে একা কাঁদতে দেখে বাসায় নিয়ে এলেন ।
গিন্নীকে বললেন , গেটের সামনে একা একা কাঁদছে , দেখে বড় মায়া হল তাই নিয়ে এলাম । আজ থেকে ও আমাদের তিনটার সাথে খাবে, খেলবে , ঘুমাবে ।
গিন্নী মুখ ঝামটা দিয়ে বললেন - মিনসে , চোখে কি ছানি পড়েছে যে , নিজের ছেলেকেও চিনতে পারছো না ?
না না আমার চোখের অবস্থা এত খারাপ নয় ! ভালো করে চেয়ে দেখি কোন ফেরিওয়ালির মাইয়া টাইয়া নয় , আমার নিজেরই মাইয়া।
তৈজসপত্র গুলো স্কুলের বিজয় দিবসের বিভিন্ন ইভেন্টে তার প্রাপ্ত পুরস্কার ।
মেয়েটার ছয়টা ইভেন্টে পুরষ্কার প্রাপ্তিতে তার মাতা,পিতা যখন আনন্দ প্রকাশ করছে , তখন পরিবারের আরেক সদস্য খাটের কোনে বসে বড়ই নিরানন্দ বোধ করছে ।
আদর প্রাপ্তির বেলায় পাল্লাটা সব সময় তার দিকেই ঝুঁকে থাকে । এখন পাশার দান উল্টে যাওয়ায় সে বড়ই হতাশ ।
তার মা জিজ্ঞেস করলো - কিরে ওশান এমনে রইসস কেন ? তোর কি হইছে ?
ছেলে আমার সোজা মানুষ ! তাই ''সোজা মাইনসের সোজা কথা'' -
- প্লেট কয়টা নিয়ে এত লাফালাফির কি আছে ? ঘরে কি প্লেট নাই ? ''
২ /
গত পরশু আমার মেয়েটা অষ্টম শ্রেণীতে জিপিএ ৫ পেয়েছে । আবারও পরিবারে আনন্দের আবহ । তার নানা মিষ্টি এনেছে ।
আদর বর্ষণ কেন্দ্রে ওশানের অবস্থান নড়বড়ে । বিরাট মুড নিয়ে হাঁটাহাঁটি করছে ।
তার মা ডাক দিল - ওশান কইরে -- নে মিষ্টি খা ।
ছেলে বড়ই নির্লিপ্ত !
বলল - এখানে মিষ্টি খাওয়ার মত কি হইছে ?
এক ক্লাসের অনেকেই জিপিএ ৫ পায় , রোল ১; এক ক্লাসে একজনেরই হয় ! আমার বেলায় তোমাদের খবর থাকেনা !
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫১