প্রবাসে বাংলাদেশের রক্তের উত্তরাধিকারী গুণীগন - পর্ব ১১৬ হইতে ১২০
( এই পর্বে আরো আছেন -
** নিউ ইয়র্কে ম্যারাথনে দৌঁড়ে গোল্ড মেডেল বিজয়ী সাবারি হক ।
** ব্রিটেনে বৃটিশ বাংলাদেশী বিজনেস এ্যওয়ার্ড বিজয়ী রাত্রি চৌধুরী হাসিনা
** যুক্তরাজ্য সরকারের ‘কুইনস ইয়াং লিডারস’ পুরস্কার বিজয়ী বাংলাদেশি তরুণ শামির শিহাব ।
** বিশ্বের আট লাখ প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে , গুগল প্রজেক্ট-২০১৫ বিজয়ী বাংলাদেশী সোহেল হোসেন )
১১৬ / ব্রিটেনে বৃটিশ বাংলাদেশী বিজনেস এ্যওয়ার্ড বিজয়ী রাত্রি চৌধুরী হাসিনা
ব্রিটেনে “শ্রেষ্ঠ নারী ব্যবসা উদ্যোক্তা” ক্যাটাগরিতে বৃটিশ বাংলাদেশী বিজনেস এ্যওয়ার্ড জিতেছেন বাংলাদেশের মেয়ে রাত্রি চৌধুরী হাসিনা । এক ঝাকঝমকপূর্ণ বর্ণিল অনুষ্টানের মাধ্যমে বৃটেনে বসবাসরত বাঙ্গালী ব্যবসায়ীদের এই এ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে স্বীকৃতি প্রদান করা হয় ।
দেশ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে অনুষ্টিত এ আড়ম্ভরপূর্ণ অনুষ্টানে বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনসহ বৃটেন ও বাংলাদেশ থেকে বেশকয়েকজন ভিআইপি অতিথি অংশ গ্রহণ করেন ।
প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন তার বক্তব্যে বলেন, ব্রিটেনের অর্থনীতিতে বাংলাদেশী কমিউনিটির অবদান অনস্বীকার্য । এখানকার কয়েক লক্ষ বাংলাদেশী সরাসরি এ দেশের অর্থনীতিতে যোগান দিয়ে যাচ্ছেন । তিনি ব্রিটিশ বাংলাদেশীদের আরো ভালো ভালো কাজের সাথে সম্পৃক্ত হবার আহবান জানিয়ে বলেন, ব্রিটেনে আগামী দিনে ব্রিটিশ বাংলাদেশীদের মধ্য থেকেও প্রধান মন্ত্রী নির্বাচিত হবেন । এছাড়া সম্প্রতি বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ দল ইংল্যান্ডকে পরাজিত করায় তাদের কোন দুঃখ নেই উল্লেখ করে ক্যামেরন বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমকে অভিনন্দন জানান । তিনি ব্রিটিশ বাংলাদেশী বিজনেস এ্যাওয়ার্ড এর মতো আয়োজন এদেশে বেড়ে উঠা আগামী প্রজন্মকে উৎসাহিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেন ।
ইতিপূর্বে বিভিন্ন এ্যাওয়ার্ড অর্জনের মাধ্যমে বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জলকারী রাত্রি চৌধুরী হাসিনার জন্ম হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচঙ্গ উপজেলার বাগজুর গ্রামের চৌধুরী বাড়িতে । তাঁর পিতা মরহুম আব্দুল মন্নান চৌধুরী ।
তথ্য সুত্র----
১১৭ / যুক্তরাজ্য সরকারের ‘কুইনস ইয়াং লিডারস’ পুরস্কার বিজয়ী বাংলাদেশি তরুণ শামির শিহাব ।
পরিবেশ নিয়ে কাজের স্বীকৃতি হিসাবে যুক্তরাজ্য সরকারের ‘কুইনস ইয়াং লিডারস’ পুরস্কার গ্রহণ করলেন বাংলাদেশি তরুণ শামির শিহাব । বাংলাদেশ ইয়ুথ এনভায়রনমেন্টাল ইনিশিয়েটিভ নামের একটি সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি ।
গেল জানুয়ারিতে পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন শামির। আর সম্প্রতি ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি ।
সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশভুক্ত দেশগুলোর জোট কমনওয়েলথের প্রধান হিসাবে রানী এলিজাবেথের ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কুইন এলিজাবেথ ডায়মন্ড জু্বিলি ট্রাস্ট, কমিক রিলিফ ও দি রয়্যাল কমনওয়েলথ সোসাইটি এই পুরস্কারের প্রবর্তন করে । ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণদেরই এ পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করা হয় ।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বাংলাদেশ কতোটা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে তা অনুধাবন করে পরিবেশ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে ২০০৯ সালে ‘বাংলাদেশ ইয়ুথ এনভায়রনমেন্টাল ইনিশিয়েটিভ’ গড়ে তোলেন শামির । এ সংগঠনটি এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে, যাতে তারা পরিবেশগত সমস্যা নিয়ে কাজ করতে পারে। সেই সঙ্গে পরিবেশ নিয়ে উচ্চতর শিক্ষায় যেন তারা আগ্রহী হয়ে ওঠে ।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষার্থী শামির বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করছেন ।
১১৮ / নিউইয়র্কে ম্যারাথনে দৌঁড়ে গোল্ড মেডেল বিজয়ী সাবারি হক ।
নিউ ইয়র্কে ম্যারাথন দৌঁড়ে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করলেন প্রবাসী তরুণী সাবারি হক । নিউইয়র্কের সেন্ট্রাল পার্কে ১৫ মাইলের হাফ ম্যারাথনে গোল্ড মেডেল ছিনিয়ে নেন সাবারি ।
৪২ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা আর ৪০ মাইল বেগে দমকা হাওয়া আর হালকা বৃষ্টির প্রচণ্ড বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেই ম্যারাথন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে প্রতিযোগীদের ।
গোল্ড মেডেল প্রাপ্তির পরবর্তীতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় নিউইয়র্ক সিটির ২৬ দশমিক ২ মাইলের ম্যারাথনে প্রথম একশ জনের মধ্যে একজন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন সাবারি হক ।
সাবারি নিউইয়র্ক সিটি ম্যারাথনে প্রথম বাংলাদেশি মেয়ে । বাংলাদেশের মেয়ে সাবারি এর আগে তিনবার এই নিউইয়র্ক ম্যারাথনে অংশ নিয়েছেন । এবার নিয়ে চতুর্থবারের মতো সাবারি নিউইয়র্ক সিটি ম্যারাথনে অংশ নেন । এর আগে সাবারি শিকাগো ম্যারাথনেও একবার অংশ নিয়েছিলেন ।
লেখাপড়ায় অত্যন্ত মেধাবী সাবারি হক হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারন্যাশনাল ল’ বিষয়ে মাস্টার্স করছেন । এর আগে তিনি স্কলারশিপ পেয়ে দুটি বিষয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে অনার্স শেষ করেন । অনার্স শেষ করেই এত তরুণ বয়সেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সরকারি উচ্চ পদে দায়িত্ব পালন করছেন সাবারি ।
সাবারির বাবা প্রফেসর এতেশামুল হক ।
সুত্র-
১১৯ / বিশ্বের আট লাখ প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে , গুগল প্রজেক্ট-২০১৫ বিজয়ী বাংলাদেশী সোহেল হোসেন
গুগল প্রজেক্ট-২০১৫ জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত সোহেল হোসেন । যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় গুগল সদর দফতর থেকে এক চিঠির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে । সোহেলের দেয়া প্রজেক্ট 'অসাধারণ' বলে জানিয়েছে গুগল কর্তৃপক্ষ । এ নিয়ে সোহেলকে দুটি অভিনন্দন বার্তা পাঠায় গুগল কর্তৃপক্ষ ।
বার্তায় বলা হয়, 'প্রজেক্টে প্রয়োগকৃত আপনার দেয়া বর্ণনা, সৃষ্টিশীলতা ও দক্ষতার প্রত্যেকটি স্তর আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি । আমাদের ভালো লেগেছে ।'
'নেক্সাস ওয়াচ' নামের গুগলের ওই প্রজেক্টে অংশ নেন বিশ্বের ৮ লাখ ৪৩ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী । এর মধ্যে পাঁচজনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় । এ পাঁচজনের একজন হয়ে বাংলাদেশীদের জন্য বিরল সম্মান আনলেন সোহেল ।
গুগল প্রতি বছর এ ধরনের প্রজেক্টের আয়োজন করে থাকে । এতে বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থী ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর তাদের নতুন ভাবনা, পদ্ধতি ও নকশা পাঠিয়ে থাকেন। সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য বিষয়টিকে গ্রহণ করে এক বা একাধিক ব্যক্তিকে পুরস্কৃত করা হয় । বিজয়ীর পুরস্কার হিসেবে গুগলের পক্ষ থেকে নতুন ও সীমিত এডিশনের নেক্সাস-৭ পেয়েছেন সোহেল ।
বাংলাদেশের এ কৃতী সন্তানের স্থায়ী বাড়ি নরসিংদী জেলার শিবপুর থানার পাড়াতোলা গ্রামে । তিনি মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনের ছেলে ।
সুত্র -
১২০ / টুইটারে কর্মরত একমাত্র বাংলাদেশি বিজ্ঞানী আসিফ হক , যিনি সানফ্রান্সিসকো সাবওয়ে সিস্টেমে ভুল বের করেছেন ।
বাংলাদেশের ছেলে আসিফ হক একজন গেম থিওরিস্ট ও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার । তিনি টুইটারের একজন ডাটা বিজ্ঞানী । সানফ্রান্সিসকো সাবওয়ে বা বার্ট (BART) এর ট্রেনে যারা যাতায়াত করেন তিনিও ছিলেন তাদের একজন । ট্রেনে চড়ার সময় বার্টের ভাড়া নেয়ার সিস্টেমের অদক্ষতা খেয়াল করেন আসিফ হক । তারপর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভাড়া কমানোর জন্য নতুন এক সিস্টেম আবিষ্কার করেন । সূক্ষ্ম গনিতের সহায়তায় যে বার্টের সিস্টেম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তিনি সেই বিষয়টি তুলে ধরেন ।
বার্ট ট্রেনের যাত্রীরা মূলত ট্রেনে ওঠার সময় টিকেট কাউন্টার থেকে একটা টিকেট বা প্লাস্টিক ক্লিপার কার্ড সংগ্রহ করেন । তারপর যে স্টেশনে তারা নামেন সেখানে গিয়ে কার্ডটি পাঞ্চ করেন । পাঞ্চ করার সাথে কার কত টাকা ভাড়া হয়েছে তা দেখানো হয় । একজন লোক কোথা থেকে উঠল এবং কোথায় নামলো তার উপর নির্ধারণ করেই ভাড়া নির্ধারণ করা হয় ।
একটি উদাহরণের মাধ্যমে আসিফ হকের হ্যাকিং সিস্টেমটি বর্ণনা করা যায় । একজন লোক মিলব্রা স্টেশন থেকে অ্যামবার্কাডেরো স্টেশনে যাবেন, যার ভাড়া হল ৪.৫ ডলার । আরেকজন যাত্রী গ্ল্যান পার্ক থেকে বার্কলে যাবেন, যার ভাড়া ৪.২ ডলার । ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে মিলব্রা থেকে এবং যাত্রা শেষ হয় বার্কলিতে ।
মাঝখানে অ্যামবার্কাডেরো ও গ্ল্যান পার্ক । মিলব্রা থেকে বার্কলিতে যেতে ভাড়া লাগে ৫.১০ ডলার । এখন যদি প্রথম ব্যাক্তি মিলব্রা থেকে বার্কলির একটি টিকেট নিয়ে নেন তাহলে তার ভাড়া পড়ছে ৫.১০ ডলার । দ্বিতীয় ব্যাক্তি যদি অ্যামবার্কাডেরোতে নেমে প্রথম ব্যাক্তির কাছ থেকে টিকেটটি নিয়ে নেন তবে দুই জনের বেঁচে যাবে ১.৭৫ ডলার । অর্থ্যাৎ, মাঝ পথে দু'জন যাত্রী যদি তাদের টিকিটটি বিনিময় করে নেন, তাহলে দু'জনেরই লাভ ।
আমার তথা সামহোয়্যার ইন ব্লগের পাঠকদের জন্য বিষয়টি আরেকটু খুলে বলা যেতে পারে । যাদের সাবওয়ে সম্পর্কে ধারনা আছে, তারা জানেন যে, এর স্টেশনগুলো এমনভাবে তৈরী করা থাকে যে, টিকিট না কিনে প্রবেশ করা যায় না । এবার ধরুন, আপনি ট্রেনে করে ধানমন্ডি থেকে টঙ্গি যাবেন । এবং আপনার বন্ধু উত্তরা থেকে মহাখালি আসবেন । পুরটাই একই পথে ।
এখন আপনি ধানমন্ডি থেকে উঠে যদি মাঝ পথে আপনার বন্ধুটির সাথে টিকিটটি বিনিময় করে নেন (যে উঠেছিল উত্তরা থেকে), তাহলে কী দাড়ালো ? আপনি যখন ট্রেন থেকে নামবেন, আপনার কাছে আছে আসলে আপনার বন্ধুটির টিকিট, আর তার কাছে চলে গেছে আপনার টিকিট । ফলে, আপনি যখন ট্রেন থেকে নামবেন, ট্রেনের কম্পউটার সিস্টেম বুঝবে, আপনি আসলে উত্তরা থেকে টঙ্গি গিয়েছেন, ধানমন্ডি থেকে নয় । এবং আপনাকে উত্তরা থেকে টঙ্গির ভাড়া কেটে রাখবে । এভাবেই ট্রেনের টিকিটিং সিস্টেমকে বোকা বানিয়ে সকল যাত্রী লাভবান হতে পারেন । শুধু জানতে হবে, কে কার সাথে টিকিট বিনিময় করে নিবে । আর স্মার্টফোনের একটি অ্যাপ খুব সহজেই এই কাজটি করতে পারে ।
আসিফ হক এমন একটি সিস্টেম তৈরির কথা বলেছেন যার মাধ্যমে কে কখন কোথায় যাবেন ও কোথায় নামবেন এবং কোন ট্রেনটি কখন কোথায় থামবে তা তিনি বুঝতে পারবেন । তার এই সিস্টেমের মাধ্যমে ৪৬৬৬ জন লোক প্রতিদিন কমপক্ষে ১ ডলার করে ভাড়া ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ পেতে পারে । স্মার্টফোনের মাধ্যমে এই সিস্টেমটিকে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে ।
আসিফ হক তার একটি গবেষণা পত্রে এই বিষয়টি তুলে ধরেন । এবং যদি সত্যি সত্যি এই ধরনের একটি সফটওয়্যার/অ্যাপ তৈরী করা যায়, তাহলে মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে সানফ্রান্সিসকো সাবওয়েকে ।
আমেরিকার বিভিন্ন মিডিয়াতে আসিফের এই গবেষণা পত্রটি নিয়ে লেখালেখি হচ্ছে । আসিফ হকের মূল গবেষণা পত্রটি এই লিংক থেকে পাওয়া যাবে - http://arxiv.org/pdf/1401.8030v1.pdf
উল্লেখ্য, আসিফ হক বর্তমানে টুইটারে কর্মরত একমাত্র বাংলাদেশী ।
সুত্র ---
এই বছরে এটাই শেষ পোস্ট , নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হব আগামী বছর ২০১৬ সালে (ইনশাল্লাহ)।
সকল সুহৃদের জন্য রইল নতুন বছরের শুভেচ্ছা ।
প্রবাসে বাংলাদেশের রক্তের উত্তরাধিকারী গুণীগন - পর্ব ১ হইতে ১০০ , এখানে ।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৭