somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মার্কিন প্রেসিডেন্টের অন্যতম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা , নাসার গবেষক ড. আসিফ আজম সিদ্দিকী ।( একের ভিতর পাঁচ)

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


প্রবাসে বাংলাদেশের রক্তের উত্তরাধিকারী গুণীগন - পর্ব ১০৬ হইতে ১১০ ।


( এই পর্বে আরো আছেন -
** মালেয়শিয়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উপদেষ্টা , মালয়েশিয়া UCTECH বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাসুম বিললাহ ।
** ব্রিটিশ ‘ব্রডকাস্ট নিউজ রিপোর্টার অব দ্য ইয়ার’২০১০ বিজয়ী , ব্রিটেনের মূলধারার জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী -চ্যানেল ফোরের ইকোনোমিকস এডিটর ফয়সল ইসলাম ।
** আমেরিকায় নিউরো সাইন্সে এর ৮ বছরের স্থলে ৩ বছরে পিএইচডি অর্জনকারী সোনিয়া আফরোজ ।
** ফেসবুকের ‘চ্যাট প্রোডাক্ট' ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী বখত । )


১০৬/ মার্কিন প্রেসিডেন্টের অন্যতম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা , নাসার গবেষক ড. আসিফ আজম সিদ্দিকী ।




কপালে ভাঁজ নিয়ে চেয়ারে বসা খোদ নাসার প্রধান ইতিহাসবিদ ড. রজার ডি লনিয়াস । তাঁর বিপরীতে বসেছেন এক তরুণ । অঙ্গ ভঙ্গিতে কাঁচুমাচু ভাব থাকলেও চোখে বুদ্ধির ঝিলিক আর চেহারায় আত্মবিশ্বাসের ছাপ ।

তাঁদের কথোপকথনের শেষ অংশটি ছিল এ রকম-
ড. লনিয়াস : আমি জানি না তুমি পারবে কি না ।
তরুণ : আমি পারব ।

এরপর এই তরুণ দুই বছর লেগে থেকেছেন নাসার প্রধান ইতিহাসবিদের পিছু ।
নাম আসিফ আজম সিদ্দিকী । বাংলাদেশের ছেলে । নাসায় কাজ করতে ব্যাপক আগ্রহ তাঁর । মহাকাশ বিজ্ঞানে আগ্রহী যে কেউ নাসায় কাজ করার স্বপ্ন দেখেন । তাই বলে সবাই কি যোগ্য হয়ে উঠতে পারে ?

তবে কথাগুলো এই অচেনা অখ্যাত ইতিহাস গবেষককে শোনালেন না ড. রজার ডি লনিয়াস । বরং ছেলেটির বিপুল আগ্রহে কিছুটা উৎসাহ ঢেলে বিদায় দিলেন হাসিমুখে । জানালেন, পরে সুযোগ বুঝে কাজ দেবেন । আগ্রহে বিন্দুমাত্র ভাটা পড়ল না তরুণের । চলতে থাকল যোগাযোগ । এই নাছোড়বান্দা ছেলেটার হাত থেকে বাঁচতে বা তরুণ ইতিহাসবিদকে একটু বাজিয়ে নিতে ড. লনিয়াস একদিন ডাকলেন আসিফকে ।

সময়টা নব্বই দশকের মাঝামাঝি । গছিয়ে দিলেন কঠিনতম কাজ । সোভিয়েত ইউনিয়নের মহাকাশ গবেষণার আদ্যোপান্ত জানতে চায় নাসা ।
এর যাবতীয় ইতিহাস উদ্ধার করে বইয়ে লিপিবদ্ধ করতে হবে আসিফকে । সময়সীমা পাঁচ বছর। 'আমি পারব'- এটুকু বলেই সেদিন বিদায় নিয়েছিলেন বাংলাদেশি তরুণ । বছর পাঁচেক পর ২০০০ সালে বের হয় আসিফ সিদ্দিকীর 'চ্যালেঞ্জ টু অ্যাপোলো : দ্য সোভিয়েত ইউনিয়ন অ্যান্ড দ্য স্পেস রেইস (১৯৪৫-১৯৭৬)'। তাজ্জব বনে গেলেন ড. লনিয়াসসহ গোটা দুনিয়ার মহাকাশবিজ্ঞানীরা । আসিফের প্রথম বইটি মহাকাশ গবেষণার ইতিহাস বিষয়ে ইংরেজিতে লেখা সেরা ইতিহাস সংকলনের মর্যাদা পেল । মার্কিন ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মতে, মহাকাশ গবেষণাসংক্রান্ত সেরা পাঁচটি বইয়ের মধ্যে এটি অন্যতম ।

প্রথম বইয়ের মাধ্যমেই আসিফ বিশ্বকে উপহার দিলেন একটি মহামূল্যবান ঐতিহাসিক দলিল । এ বই প্রকাশ করে নাসার হিস্ট্রি অফিস । ২০০৩ সালে বইটিকে দুই খণ্ডের চেহারা দিয়ে ইউনিভার্সিটি প্রেস অব ফ্লোরিডা থেকে পুনর্মুদ্রণ করা হয় । এ দুই খণ্ডের নাম দেওয়া হয়- 'স্পুটনিক অ্যান্ড দ্য সোভিয়েত স্পেস চ্যালেঞ্জ' এবং 'দ্য সোভিয়েত স্পেস রেইস উইথ অ্যাপোলো' ।

বই দুটি স্নায়ুযুদ্ধের সময়কালে সোভিয়েত ইউনিয়নের মহাকাশ গবেষণার ইতিহাস বিষয়ের প্রথম প্রামাণ্য দলিল । ষাটের দশকে একের পর এক মহাকাশে যান পাঠানোর বিষয়টি জনগণের মধ্যে কিভাবে সাড়া ফেলে, সেগুলো তুলে আনা হয়েছে । বিশেষ করে ১৯৬১ সালে মহাকাশে প্রথম মানুষ ইউরি গ্যাগারিন এবং ১৯৬৩ সালে প্রথম নারী ভেলেন্তিনা তেরেসকোভাকে পাঠানো ছিল ব্যাপক সফলতা । ষাটের দশকে চাঁদে মানুষ পাঠানোতে আমেরিকার অ্যাপোলো প্রোগ্রামের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে সোভিয়েতের ব্যর্থতা ও এর কারণের বিশদ বর্ণনা রয়েছে বইয়ের মাঝামাঝিতে ।

প্রথম বইটি প্রকাশের পর এই তরুণ প্রতিভাকে লুফে নেয় নাসা । বর্তমানে ওয়াশিংটনের 'স্মিথসোনিয়ানস ন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস মিউজিয়াম'-এ এক বছরের জন্য যুক্ত হয়েছেন । নাসার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার নকশা তৈরির জন্য মার্কিন কংগ্রেসের গঠনকৃত 'কমিটি অন হিউম্যান স্পেসফ্লাইট'-এর সদস্য ড. আসিফ । এই কমিটি এ বছরই তাদের যাবতীয় রিপোর্ট কংগ্রেস, নাসা এবং প্রেসিডেন্ট ওবামার কাছে জমা দেবে ।

আসিফ মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘আমেরিকান ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিল (এনআরসি) এ প্রেসিডেন্টের মহাকাশ বিভাগের পরামর্শক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন ।

সেখানে ব্যস্ত সময় কাটছে তাঁর । এ ছাড়া নিউ ইয়র্কের ফোর্ডহ্যাম ইউনিভার্সিটির ইতিহাস বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিসেবে কর্মরত আসিফ । এ বিশ্ববিদ্যালয়ে মডার্ন ইউরোপিয়ান হিস্ট্রি, দ্য হিস্ট্রি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, সোভিয়েত হিস্ট্রি এবং সাউথ এশিয়ান হিস্ট্রি বিষয়ের শিক্ষক তিনি ।

রাশিয়ার প্রাতিষ্ঠানিক বিজ্ঞান গবেষণার খুঁটিনাটি ও এর ইতিহাস নিয়ে জ্ঞানী-গুণীদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ও আলাপচারিতার সুযোগ সৃষ্টির জন্য রাশিয়ান হিস্ট্রি ব্লগ নামে একটি ওয়েবসাইট রয়েছে । এর নিয়মিত ব্লগার আসিফ ।

২০০৪ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমি অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স বিভাগে ভিজিটিং স্কলার হিসেবে কাজ করেছেন । ২০০৮-৯ সাল পর্যন্ত তিনি ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) 'প্রোগ্রাম ইন সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড সোসাইটি (এসটিএস)'-এ ভিজিটিং স্কলার হিসেবেও দায়িত্বরত ছিলেন ।

তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজ্ঞান সাধনার সব প্রতিষ্ঠান, এর সঙ্গে কর্মরত বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তারা ও তাঁদের কার্যক্রম এবং এককথায় বিজ্ঞানচর্চায় শ্রমিক সংগঠনগুলোর প্রভাব আসিফের সাম্প্রতিক গবেষণার বিষয় ।

আপাতত 'সোভিয়েত সায়েন্স অ্যান্ড দ্য গুলাগ' শিরোনামে ভিন্নধর্মী এ গবেষণা নিয়ে বই প্রকাশের জন্য অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে । গুলাগ হলো সোভিয়েত ইউনিয়নের লেবার ক্যাম্প কাঠামো পরিচালনার সরকারি প্রতিষ্ঠান । এ ছাড়া ঔপনিবেশিক শাসন থেকে বেরিয়ে আসার পর ভারত মহাকাশ গবেষণায় কী অবদান রেখেছে, তা আজমের সাম্প্রতিক গবেষণার আরেকটি বিষয় । অপর প্রজেক্টটি চলছে মহাকাশ গবেষণার গ্লোবাল ইতিহাস বিষয়ে ।

আসিফের সাম্প্রতিক বইটি হলো 'দ্য রেড রকেটস গ্লেয়ার : স্পেস ফ্লাইট অ্যান্ড দ্য সোভিয়েত ইমাজিনেশন (১৮৫৭-১৯৫৭)' ।
ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে ২০১০ সালে প্রকাশিত এ বইয়ে উঠে এসেছে সোভিয়েত ইউনিয়নের মহাকাশ গবেষণার জন্মলগ্নের ইতিহাস । রাশিয়ার আনাচে-কানাচে চষে বেড়িয়ে এবং বিভিন্ন ব্যক্তিগত বা বেসরকারি সংগ্রহশালায় কয়েক বছর গবেষণা চালিয়েছেন বইটিকে পূর্ণতা দিতে । আসিফের গবেষণায় উঠে এসেছে, মহাকাশে স্পুটনিকের যাত্রার ঐতিহাসিক ঘটনা কিভাবে রাষ্ট্রের কল্যাণে বিজ্ঞানচর্চার প্রয়োজনীয়তায় রাজ্যগুলোকে এক সুতোয় গেঁথেছে, সেই বিষয়টি । এ সুবিশাল অঞ্চলের সমাজ, জ্ঞান-বিজ্ঞান, সংস্কৃতি এবং প্রযুক্তির বিকাশের ধারা একটি পথে আনতে স্পুটনিকের ভূমিকার বহুমাত্রিক অবদানের সমীকরণ করেছেন আসিফ ।

শুধু লিখছেন এমনই নয়; রাশিয়ার বিশ্বখ্যাত রকেট ডিজাইনার বোরিস চেরটোকের (১৯১২-২০১১) লেখা চার খণ্ডের বই 'রকেটস অ্যান্ড পিপল'-এর ইংরেজি অনুবাদের সম্পাদনা করেছেন আসিফ । বোরিসের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নাসার ইতিহাস বিভাগ থেকে বইটি প্রকাশ করা হয় ।


আসিফ আজম এর পিতা ড. হাফিজ জি এ সিদ্দিকী বাংলাদেশের প্রথম এবং অন্যতম সেরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় 'নর্থ সাউথ'-এর প্রথম উপাচার্য । মা নাজমা সিদ্দিকী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক । ১৯৬৬ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন আসিফ। তাঁর একমাত্র বোন ড. ডিনা সিদ্দিকী ।

ছোটবেলা থেকেই আকাশের প্রতি অমোঘ টান। গল্পের বই বলতে খুদে পাঠকের বইয়ের তাকে থাকত সব মহাকাশ বিজ্ঞানের বইয়ের ছড়াছড়ি । শিক্ষাজীবনেই মহাকাশবিজ্ঞানের ইতিহাস নিয়ে পড়াশোনার শুরু । ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সেন্ট জোসেফ স্কুল থেকে ১৯৮১ সালে এসএসসি পাস করেন । এরপর নটর ডেম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন ১৯৮৩-তে। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিষয়ে স্নাতক করেন ১৯৮৯ সালে । এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ১৯৯২ সালে অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেন । এর পরও মায়ের ইচ্ছা পূরণে করতে হয় ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস-আমহার্স্ট থেকে এমবিএ । ২০০৪ সালে পিএইচডি করেছেন কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটি থেকে ।

জন্মের প্রথম ১০ বছর ঢাকায় কাটিয়েছেন। বাবার চাকরির সুবাদে দুনিয়ার বহু স্থানে যেতে হয়েছে তাঁকে । ঢাকা থেকে আমেরিকার ব্লুমিংটন, ইন্ডিয়ানা হয়ে আবারও ঢাকা এবং এখান থেকে আবারও ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে । সেখানে কেটেছে বহু বছর ।


সুযোগ পেলেই নাড়ির টানে ছুটে আসেন বাংলাদেশে । তাঁর মতে, গরিব এ দেশে একদিন ঠিকই মহাকাশ বিজ্ঞানের চর্চা শুরু হবে ।
নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই দেখেছেন, উন্নত দেশগুলো এ বিজ্ঞানের পেছনে কেন এত অর্থ ঢালে ।

আমেরিকা বা রাশিয়া ১৫-২০ বছর পরের কথা চিন্তা করে আকাশ গবেষণায় মন দেয় । আমাদের দেশকেও যদি আগামী ৫০ বছর পরের কথা চিন্তা করতে হয়, তাহলে মহাকাশ বিজ্ঞানে উন্নতি করতে হবে । আমাদের দেশের বহু ছেলেমেয়ে সায়েন্স ফিকশন বই বা সিনেমার ভক্ত । সুযোগ পেলে অনেকেই মহাকাশবিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবে, এটা আসিফের আশা ।

সুত্র----------



১০৭ / মালেয়শিয়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উপদেষ্টা , মালয়েশিয়া UCTECH বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাসুম বিললাহ ।



এক সময়ে ছিলেন জেদ্দা ইসলামী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিতে ডিরেক্টর । সে কাজের সুযোগে জেদ্দায় তিনি গ্রোবাল ট্রেড এন্ড ইনভেসমেন্ট কো-অপারেশনে কাজ করতেন । এছাড়া ড. মাসুম বিললাহ ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, মালেশিয়ার ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক, এবং সৌদি আরবের কিং আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন । এছাড়া তিনি ফিন্যান্স, ইনভেসমেন্ট বিষয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্ধাপনা করেছেন । তিনি বর্তমানে মালয়েশিয়া UCTECH উনিভার্সিটির উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ।

ড. মাসুম বিল্লাহ দীর্ঘ দীন যাবত ‘মিডল ইসট বিজনেস ওয়ার্ল্ড’ গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন ।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে পিএইচডি ডিগ্রি ধারী লাভের পূর্বে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে মাইক্রো ফিন্যান্সে এমবিএ ডিগ্রি, মালোয়েশিয়া থেকে তুলনামূলক কর্পোরেট ল MCL, Hadith-Corporate Muoamalat বিষয়ে MCL ডিগ্রী প্রাপ্ত । এছাড়া তিনি ‘আইন’ বিষয়ে মালোয়শিয়া থেকেই স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন ।

বই লেখার ক্ষেত্রেও ড. মাসুম এর রয়েছে অসামান্য অবদান । তিনি প্রায় ৩৫ টি বই লিখেছেন । যার বিষয় ছিল আধুনিক ইসলামী ফলিত অর্থায়ন এবং অন্যান্য কর্পোরেট বিষয় । এসব বইয়ের মধ্যে অনেক গুলোই বিশ্বব্যাপি বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং বুদ্ধিবৃত্তিক অবদান হিসেবে পঠিত হয় ।

হার্ভার্ড, ক্যাম্ব্রিজ, অক্সফোর্ড, কিং আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ও বিভিন্ন কর্পোরেট সেক্টর, সরকারী-বেসরকারী ক্ষেত্রেও এই বইগুলো পঠিত হয় ।
তিনি বিভিন্ন জার্নালে নিয়মিত আর্টিকেল লিখে থাকেন । তার অসংখ্য আর্টিকেল বিশ্বের নামিদামি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে ।
এছাড়া তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলন-কর্মশালা ও সেমিনারে তিনশতাধিক গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেছেন । যেসব সম্মেলন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ড. মাসুম বিল্লাহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালের সম্পাদনা পরিষদে কাজ করছেন এবং বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় গবেষণা প্রজেক্টে নিরীক্ষক হিসেবে কাজ করছেন । এমনকি তিনি পিয়ার-রিভিউয়ার হিসেবে কিছু গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন যার মধ্যে কাতার জাতীয় গবেষণা ফাউন্ডেশন অন্যতম । এই গুনীজন ‘এক্সপার্ট পর্যবেক্ষক’ হিসেবে অর্থায়ন, বিনিয়োগ ও বাণিজ্য নীতি সম্পর্কে মালোয়শিয়া, সিঙ্গাপুর, ব্রুনেই,জাপান, চীন, ইন্দোনেশিয়া, উত্তর আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা, ফ্রান্সেও কাজ করেছেন ।

একজন প্রোফেশনার এক্সপার্ট হিসেবে তিনি বিশ্বব্যাপী ৩০ টির ও বেশি ফিনান্সিয়াল, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত । তিনি মালেয়শিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকেরও পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন । কাজ করেছে Qb NTUC income সিঙ্গাপুরে, দক্ষিণ আফ্রিকার আল-নহৃরে, লন্ডনের ICMIF সহ আরো অনেক জায়গায় ।

এর পাশাপাশি ড. মাসুম বিললাহ বিশ্বব্যাপী ইসলামিক ইনভেসমেন্ট , কর্পোরেট এবং ফিনান্সিয়াল এক্সপার্ট হিসেবে, উপদেষ্টা, লেখক, ভাষ্যকার হিসবেও সমাধিক পরিচিত ।
তিনি আধুনিক ইসলামী বিনিয়োগ, ব্যাঙ্কিং, অর্থায়ন, সমবায়ী ক্ষুদ্র অর্থায়ন, বেসরকারীকরণ, অর্থনৈতিক সংস্কার সহ নানা বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন । মাসুম বিললাহ মিডিয়ায় ও কাজ করছেন । তিনি স্থানীয়, আঞ্চলিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইসলামী অর্থায়নের উন্নয়ন, পুঁজিবাজার, বীমা, ব্যাবসা-বাণিজ্যের সমসাময়িক বিষয় নিয়েই মূলত মিডিয়ায় কাজ করে থাকেন ।

তিনি http://www.applied-islamicfinane.com/ & http://www.appliedtakaful.com/ নামক দুইটি ইসলামিক ফিন্যান্স বিষয়ক ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি http://www.cooperativemicrobank.blogspot.com , http://www.worldeconomicreform.blogspot.com সহ বিভিন্ন ব্লগে নিয়মিত ফিনান্সিয়াল সাবজেক্ট নিয়ে লিখে থাকেন ।

ড. মাসুম বিল্লাহ বুদ্ধিবৃত্তিক অনুশীলনের জন্য স্থানীয় ও আন্তজাতিক পর্যায়ে প্রচুর পুরস্কার পেয়েছেন । এর মধ্যে রয়েছে ২০০২ সালে বেস্ট পাবলিকেশন এওয়ার্ড, ২০০৩ সালে এক্সিলেন্ট রিসার্সার পুরস্কার ।


ড. মাসুম বিল্লাহ প্রবাসে থেকেও তার ভালোবাসার মাতৃভূমি বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশিদের ভবিষ্যৎ উন্নতি কল্পে সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখছেন । সেই জন্য এই বিশ্বায়নের জাগরণী মুহুত্বে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় আর্থ সামাজিক পরিবর্তনের লক্ষ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে লেখনী, বক্তব্য, আলোচনা এবং মিডিয়ার মাধ্যেমে চেষ্টা এবং অবদান রেখে চলেছেন ।

তিনি সব সময় বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে একটি ঊননত রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চান । দেশের অর্থনৈতিক উন্নিত দেখতে চান । আর বাংলাদেশ থেকে রাজনৈতিক সহিংসতা, হিংসা, বিদ্বেষ ভুলে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে উঠার স্বপ্ন দেখেন ।
আন্তর্জাতিক অর্থনীতিবিদ ও বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডঃ মোঃ মাসুম বিললাহ ১৯৬৮ সালে বাংলাদেশের বাগেরহাটে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ । বর্তমানে তিনি একজন মালোয়শিয়ান নাগরিক । বসবাসও মালয়েশিয়ায় ।

তাঁর বাবা জনাব মুফতি মাওলানা নূর মোহাম্মদ ছিলেন প্রসিদ্ধ ইসলামী চিন্তাবিদ । যিনি বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে ভারতবর্ষের বিখ্যাত দেওবন্দ মাদ্রাসা থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন । জনার নূর মোহাম্মদ ছিলেন তাফসীর, হাদীস, ফিকাহ্ সহ বিভিন্ন বিশেষায়িত জ্ঞানসম্পন্ন । এছাড়া তিনি তৎকালীন ‘ওলামা-ই-হিন্দ’ এর সদস্য ছিলেন । প্রফেসর মাসুম বিল্লাহর মাতাও ছিলেন সম্মানিত একজন নারী । যিনি ব্রিটিশ শাসনামলে খুলনা বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে জুনিয়র বৃত্তি লাভ করেন ।

সুত্র-----------------


১০৮ / ব্রিটিশ ‘ব্রডকাস্ট নিউজ রিপোর্টার অব দ্য ইয়ার’২০১০ বিজয়ী , ব্রিটেনের মূলধারার জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী -চ্যানেল ফোরের ইকোনোমিকস এডিটর ফয়সল ইসলাম ।



বিখ্যাত প্রাইভেট জায়ান্ট আইসল্যান্ডিক ব্যাংকিং লিহম্যান ব্রাদার্সের যখন পতন হয়, তখন ফয়সল সাড়া জাগানো সেই ব্যাংকিং ক্রাইসিসের উপর নাতিদীর্ঘ প্রতিবেদন করে ব্রিটিশ গণমাধ্যমে তোলপাড় ফেলে দেন । ওই সময় তিনি ব্যাংকটির ইন্ডিয়া, সিঙ্গাপুরসহ প্রেসিডেন্ট থেকে প্রাইম মিনিস্টারের ইন্টারভিউ করে তরুণ বয়সেই গণমাধ্যমের কেন্দ্রে চলে আসেন ।

তার কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১০ সালে ওয়ার্ক ওয়ার্ল্ড ফাউন্ডেশন তাকে ‘ব্রডকাস্ট নিউজ রিপোর্টার অব দ্য ইয়ার’-এ ভূষিত করে। ২০০৯ সালে আইসল্যান্ডিক ব্যাংকিং ক্রাইসিসের প্রতিবেদনের জন্য তাকে অসংখ্য পুরষ্কার দিয়ে সম্মানিত করা হয় ।
চ্যানেল ফোরে যোগ দেয়ার আগে ফয়সল ব্রিটেনের খ্যাতিমান প্রিন্ট মিডিয়া ‘দৈনিক অবজারভার’ পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে হাতে খড়ি নেন ।

ফয়সল ম্যানচেস্টার গ্রামার স্কুল, ট্রিনিটি কলেজ এবং ক্যামব্রিজে পড়ালেখা করেছেন । সিটি ইউনিভার্সিটি লন্ডন থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে নিউজ পেপার জার্নালিজমের উপর স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ফয়সল নিয়মিত চ্যানেল ফোর-এর ব্লগেও লেখালেখি করেন । ব্রিটেনের অন্যতম প্রভাবশালী পত্রিকা ‘গার্ডিয়ান’ ও ‘ডেইলি মেইল’-এও ফয়সল লেখালেখি করেন। তার সাম্প্রতিক কলাম, গত সপ্তাহের ডেইলি মেইলে প্রকাশিত ব্রিটিশ গ্যাস প্রাইস ও আনুষঙ্গিক বিষয় নিয়ে, মূলধারার সুধীমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে ।
( উনার বিস্তারিত ঠিকানা সংগ্রহ করা যায়নি )


সুত্র----------


১০৯ / আমেরিকায় নিউরো সাইন্সে এর ৮ বছরের স্থলে ৩ বছরে পিএইচডি অর্জনকারী সোনিয়া আফরোজ ।



সোনিয়া আফরোজ জন্মগত ভাবে বরিশালের সন্তান । তিনি গত জানুয়ারী ২০১৪ ইং এ স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক, ডাউন স্টেট মেডিকেল সেন্টার, ব্রুকলীন থেকে “নিউরো সাইন্সে” পিএইচডি অর্জন করেছেন ।

সোনিয়া আফরোজ এর “থিসেস ডিফেন্স” প্রেজেনটেশন ছিল (যাহা সকল ছাত্র/ ছাত্রী / শিক্ষক ও পিএইচডি কমিটির মেম্বার’দের জন্য উন্মুক্ত ছিল) যাহা পরিদর্শন শেষে পিএইচডি কমিটির ৬ জন মেম্বার তার পিএইচডি ওয়ার্ক সীটে সাক্ষর করেন ।
সাধারনতঃ পিএইসডি কমিটিতে বিভন্ন ইউনিভার্সিটির ৩ থেকে ৬ জন মেম্বার থাকেন ।

সোনিয়া আফরোজ তিন বছরে তার সমস্ত রিসার্চ /প্রোজেক্টের কাজ সম্পন্ন করে এই ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করেন । যেখানে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে এ্যাভারেজে (গড়ে) পিএইচডি কেন্ডিডেটরা ৫-৮ বছরে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন । কেউ কেউ ৯ বছরেও পিএইচডি অর্জন করে থাকেন ।

নিউরো সাইন্সে সোনিয়া আফরোজ এর রিসার্চের মুল ফিল্ড ছিল, “রিসার্চ অন নিউরো ডেভলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার, যেমন-এসকিজোফ্রেনিয়া, অটিজম এবং “ইনহিবিশনারি রেগুলেশন ইন ব্রেইন”। স্পেসিফিক্যাল্লি, “সি রিসার্চ অন হিপোক্যামপাস রিজিয়ন অন ব্রেইন”। “হিপোক্যামপাস ইজ দ্যা পার্ট অফ ব্রেইন দ্যাট ইজ ইনভলভড ইন মেমোরি ফর্মিং, অর্গানাইজিং এন্ড স্টোরিং ।
সোনিয়া আফরোজ উপরোক্ত মুল ফিন্ডের উপর রিসার্চ করে মস্তিস্কের অনুভুতি প্রকাশে বাধাগ্রস্ত অঞ্চলকে কিভাবে নতুন পন্থায় অনুভুতি প্রকাশে সক্ষম করা যায়, তার উপর রিসার্চ প্রজেক্ট সমপন্ন করে এই পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন ।

ব্রেইন এর মূল গবেষনার জন্য সোনিয়া আফরোজ সাব-ফিল্ড হিসাবে অর্থাৎ টেকনিকস হিসাবে নিন্মোক্ত টেকনিকগুলি ব্যবহার করেছেন -
(১) মলিকিউলার টেকনিক, (২) সেলুলার টেকনিক, (৩) ডেভলপমেন্টাল টেকটিক এবং (৪) মেডিকেল টেকনিক ।
সোনিয়া আফরোজ রিসার্চ এর উপর অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য হাইস্কুল এর ১১ গ্রেড থেকে বিভিন্ন বিষয়ের উপর রিসার্চ করা শুরু করেছিলেন ।

যার ফলশ্রুতিতে, তিনি আন্ডার গ্রাজুয়েট শেষ করেই সরাসরি পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ লাভ করে ছিলেন । অনেক ছাত্র/ছাত্রী অবশ্য আন্ডার গ্রাজুয়েট সমপন্ন করে পরবর্তি ২-৩ বছর রিসার্চ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করে, তারপর পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হন ।

সোনিয়া আফরোজ, সুনি ডাউন স্টেট মেডিকেল সেন্টার এর বাহিরে এমআইটি, বষ্টন থেকে রিসার্চ প্রোগ্রাম করেছেন, ইয়াল ইউনিভার্সিটির, ইয়াল মেডিকেল স্কুল, কানেকটিকাট থেকে রিসার্চ প্রোগ্রাম করেছেন এবং এন.ওয়াই.ইউ পলিটেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে রিসার্চ প্রোগ্রাম করেছেন ।

এখানে উল্লেখ্য, সোনিয়া আফরোজ ডাউন স্টেট মেডিক্যাল সেন্টার থেকে স্কলারশীপ সহকারে পিএইচডি এবং অন্য সকল কলেজ, ইউনিভার্সিটির শিক্ষা জীবনও স্কলারশীপ সহকারে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছেন ।
কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ক্রমে সে সুনি ডাউনস্টেট মেডিক্যাল সেন্টার এর গ্রাজুয়েট/আন্ডার গ্রাজুয়েট স্টুডেন্টদের রিসার্চ করা শিক্ষা দিতেন এবং একই সাথে নিজেও পিএইচডি প্রোগ্রাম করতেন ।

এজন্য কর্তৃপক্ষ তাকে বৎসরে ২৫০০০ ডলার প্রদান করতেন ।
সোনিয়া আফরোজ ২০১১-২০১২ ইং সুনি ডাউনস্টেট মেডিক্যাল সেন্টারের ‘গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট ইউনিয়ন’এর প্রেসিডেন্ট ছিলেন । তিনি ব্রুকলীন টেকনিক্যাল হাই স্কুলের ত্রৈ-মাসিক ম্যাগাজিনের চীফ এডিটর ছিলেন ।

সোনিয়া আফরোজ পিএইচডি করা অবস্থায় অনেক বার ইউনিভার্সিটির খরচে বার্ষিক আন্তর্জাতিক নিউরো সাইন্স কনফারেন্স যেমন-
(১) সোসাইটি ফর নিউরো সাইন্স কনফারেন্স ইন সান ডিয়াগো-২ বার (২০১০ ও ২০১৩ইং)
(২) সোসাইটি ফর নিউরো সাইন্স কনফারেন্স ইন ওয়াশিংটন ডিসি (২০১১ইং)
(৩) সোসাইটি ফর নিউরো সাইন্স কনফারেন্স ইন নিউ অর্লিনস (২০১২ইং)
রিসার্চ প্রোজেক্ট প্রেজেণ্ট করার জন্য যোগদান করেছেন ।

সোনিয়া আফরোজ শিক্ষাগত জীবনে বহু এসিভমেন্ট এওয়ার্ড/সার্টিফিকেট লাভ করেন । তার মধ্যে -

(১) জুনিয়র হাইস্কুলে ৭ম এবং ৮ম গ্রেডে ১০০% উপস্থিতির জন্য এ্যাটেনডেনস এওয়ার্ড ।
(২) বহুবার স্টুডেন্ট অব দ্যা মান্থ ।
(৩) প্রিন্সিপাল এওয়ার্ড ।
(৪) চ্যান্সেলর রোল অব অনার এওয়ার্ড ।
(৫) সপ্তম ও অস্টম গ্রেডে অনার রোল সার্টিফিকেট ।
(৬) সিনেটর এওয়ার্ড ।
(৭) এডিটর চয়েজ এওয়ার্ড ।
(৮) ফেমাস পয়েট সনদ পত্র ।
(৯) অনার সোসাইটি এওয়ার্ড ।
(১০)মাউন্টসিনাই স্কুল অব মেডিসিন, ম্যানহাটান থেকে এইচ.আই.ভি এবং টিবির উপর
রিসাচর্ প্রোগ্রাম সার্টিফিকেট ।
(১১)নিউইয়র্ক একাডেমী অব সাইন্স, নিউইয়র্ক সাইন্স ফেয়ার এওয়ার্ড উল্লেখযোগ্য ।

সোনিয়া আফরোজের জন্ম ১৯৮৮ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে । সে ১৯৯৪ ইং সালে ৫ বছর বয়সে নিউইয়র্কে আসেন এবং পিএস-১২, কুইন্স-এ প্রথম গ্রেডে ভর্তি হন । পাবলিক স্কুল শেষ করে সে আইএস-৭৩, কুইন্সে ৬ষ্ঠ-৮ম গ্রেড পর্য›ত পড়াশুনা করেন । পরে স্পেশালাইজড সাইন্স হাইস্কুল এ্যাডমিশন টেস্টের মাধ্যমে ব্রুকলীন টেকে ভর্তির সুযোগ লাভ করেন । ব্রুকলীন টেক থেকে বায়ো-ক্যামেস্ট্রিতে হাইস্কুল গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন এবং স্কলারশীপ সহকারে ব্রুকলীন কলেজে ভর্তি হন । সেখান থেকে বায়ো-ক্যামিস্ট্রিতে আন্ডার গ্রাজুয়েট সম্পন্ন করেন । পরে সুনি ডাউন স্টেট মেডিক্যাল সেন্টারে নিউরো সাইন্সে পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ লাভ করেন এবং ২০১৪ সালে জানুয়ারীতে নিউরো সাইন্সে পিএইসডি অর্জন করেন ।

সোনিয়া আফরোজ “ব্রেইন এর রোগের ঔষধ আবিষ্কারক” হতে চায় এবং রিসার্চের উপর চাকুরী করতে আগ্রহী ।
সোনিয়া আফরোজ এর জন্ম বরিশালে । পিতা এম. এ. ছালাম আকন্দ এবং মাতা মিসেস কামরুন নাহার ।

সুত্র-------------


১১০ / ফেসবুকের ‘চ্যাট প্রোডাক্ট' ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী বখত ।



সূচনাটা মেহেদীর জবানীতেই হোক -
'পড়াশোনা শেষ করে ২০১১ সালের শেষ দিকে চাকরি খোঁজা শুরু করি আমি । সে সময় ফেসবুক এতটা বড় প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠেনি । তাই চাকরির জন্য গুগল, আমাজন, মাইক্রোসফট, লিংকড-ইনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোতে চেষ্টা করতে থাকি । এরই মধ্যে ফেসবুক থেকে একদিন যোগাযোগ করা হয় আমার সঙ্গে । তারা জানতে চায় ফেসবুকে কাজ করতে আমার আগ্রহ আছে কি না । আগ্রহী হলে সাক্ষাৎকার দেওয়ার কথা বলে । ভেবে দেখলাম, সাক্ষাৎকার দিতে তো সমস্যা নেই । একাধিক পর্বে ফোন-সাক্ষাৎকার দিয়ে শেষে দিলাম “অনসাইট ইন্টারভিউ”।’

দুই সপ্তাহের মধ্যে ডাক এল ফেসবুক থেকে । সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দিলাম ফেসবুকের ‘মেসেজেস’ দলে । ‘চ্যাট প্রোডাক্ট ইঞ্জিনিয়ারিং’ নামেও পরিচিত এ বিভাগ । ফেসবুকের পরে আমার যেসব প্রতিষ্ঠানের প্রতি আগ্রহ ছিল, সেগুলোর প্রায় সবগুলো থেকেই ভালো পদে চাকরি করার সুযোগ পেয়েছিলাম।’


ফেসবুকের মানবসম্পদ বিভাগের শীর্ষ ব্যক্তিরা প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার আন্তর্জাতিক পর্ব থেকে সন্ধান পান মেহেদীর ।
প্রযুক্তির বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান যেমন মাইক্রোসফট, গুগল, ফেসবুক বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় দক্ষ কর্মীদের নিয়োগ দেয় । এসবের একটি পদ্ধতি হলো, কর্তৃপক্ষই মেধাবী তরুণদের খুঁজে বের করে । এমন প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ফেসবুকে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের মেহেদী বখত ।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) পড়ার সময় দুইবার এসিএম আন্তর্জাতিক কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার (আইসিপিসি) চূড়ান্ত পর্বে অংশ নিয়েছিলেন তিনি । পরে বুয়েট থেকে স্নাতক হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয় অ্যাট আরবানা-ক্যাম্পিংয়ে (ইউআইইউসি) পড়তে যান । এখান থেকেই নেটওয়ার্কিংয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন । ফেসবুকে মেহেদী বখত যোগ দেন ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ।



ঢাকায় জন্ম মেহেদী বখতের । মীর্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় ১১তম এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় তৃতীয় হন তিনি । এরপর বুয়েটে কম্পিউটার কৌশল বিভাগে পড়াশোনা শেষ করেন । বাবা অর্থনীতিবিদ জাহিদ বখত বর্তমানে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন । মা হালিমা জায়েদ গৃহিণী ।

মেহেদীর স্ত্রী কারিশমা মুনতাসির বুয়েট থেকে স্নাতক এবং ইউআইআইসিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে বর্তমানে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে একটি গবেষণা প্রকল্পে কাজ করছেন।

সুত্র ------------


প্রবাসে বাংলাদেশের রক্তের উত্তরাধিকারী গুণীগন - পর্ব ১ হইতে ১০০ , এখানে ।



সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৪
৩০টি মন্তব্য ৩০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

এখানে সেরা ইগো কার?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪






ব্লগারদের মাঝে কাদের ইগো জনিত সমস্যা আছে? ইগোককে আঘাত লাগলে কেউ কেউ আদিম রোমান শিল্ড ব্যবহার করে,নাহয় পুতিনের মত প্রটেকটেড বুলেটপ্রুফ গাড়ি ব্যবহার করে।ইগো আপনাকে কোথায় নিয়ে গিয়েছে, টের পেয়েছেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবং আপনারা যারা কবিতা শুনতে জানেন না।

লিখেছেন চারাগাছ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮

‘August is the cruelest month’ বিশ্বখ্যাত কবি টিএস এলিয়টের কালজয়ী কাব্যগ্রন্থ ‘The Westland’-র এ অমোঘ বাণী যে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এমন করে এক অনিবার্য নিয়তির মতো সত্য হয়ে উঠবে, তা বাঙালি... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মার্কিন নির্বাচনে এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪


আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×