প্রবাসে বাংলাদেশের রক্তের উত্তরাধিকারী গুণীগন - পর্ব ১০১ হইতে ১০৫ ।
১০১ / বিশ্বের সর্বাপেক্ষা প্রভাবশালী বৈজ্ঞানিক মেধা খেতাবধারীর তালিকায় ড. সাইদুর রহমান ।
বিশ্বের সর্বাপেক্ষা প্রভাবশালী বৈজ্ঞানিক মেধা খেতাবধারীর তালিকায় ড. সাইদুর রহমান নামের বাংলাদেশি এক তরুণ বিজ্ঞানীর নাম উঠে এসেছে। তিনি বর্তমানে মালয়েশিয়ার বিখ্যাত মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকৌশল বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপকের দায়িত্ব পালন করছেন।
নিউইয়র্কভিত্তিক বিজনেস ইনফরমেশন ফার্ম থমাস রয়টার্স কর্পোরেশন এ তালিকা প্রকাশ করেছে। প্রভাবশালী বৈজ্ঞানিক মেধা খেতাবধারী তালিকায় মালয়েশিয়ার দু’জন বিজ্ঞানী স্থান পেয়েছেন। তারা হলেন সাইন্স মালয়েশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আবদুল লতিফ এবং কেবাংসান বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ইশাক হাসিম।
ড. সাইদুর রহমান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে বিএসসি অর্জন করেন। ২০০১ সালে শুরু হবার পর তৃতীয় বাবের মত এ তালিকা প্রকাশ হলো। একটি প্রেস রিলিজে গবেষণার জন্য সর্বাধিক উদ্ধৃত প্রবন্ধ এর গবেষকদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
ড. সাইদুর রহমান মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে পিএইচডি সমাপ্ত করেন। তিনি বাংলাদেশের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে বিএসসি অর্জন করেন । মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে তিনি অধ্যাপকের দায়িত্ব পালন করছেন । ড. সাইদুর এর রয়েছে প্রায় ২ হাজার ৫৮০টি সাইটেশন এর মধ্যে ২৮টি এইচ-ইনডেক্স। তিনি আন্তর্জাতিকভাবে প্রায় ২৫০টি পেপার প্রকাশ করেছেন এবং প্রায় ১৫০টির বেশি পেপার উপস্থাপিত করেছেন আন্তর্জাতিক সেমিনারে । এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যায়ে তিনি অন্যতম আইএসআই পেপার প্রকাশক।
উল্লেখ্য, তালিকায় প্রায় ৩২০০ জন গবেষকের নাম রয়েছে যাদের প্রকাশিত “রিসার্চ পেপার” ২০০২ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ; উদ্ধৃত হয়েছে। নিউইয়র্কের প্রতিষ্ঠানটি গত ১১ বছর এর অনুসন্ধান শেষে ফলাফল থেকে এ তালিকা প্রকাশ করে।
তথ্য - এখানে
১০২ / লন্ডনে বিশেষ সম্মাননায় ভুষিত হলেন সাজিয়া স্নিগ্ধা ।
ব্রিটেনে বাঙ্গালী কমিউনিটির কল্যানে কাজ করে , কমিউনিটির প্রিয়মুখ,জনপ্রিয় মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব ও সাংস্কৃতিক সংগঠক সাজিয়া সুলতানা স্নিগ্ধা লন্ডনে বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন । টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের ডেপুটি মেয়র সাজিয়ার হাতে এ বিশেষ এওয়ার্ড তুলে দিতে গিয়ে বলেন,বাঙ্গালী কমিউনিটিতে সাজিয়া স্নিগ্ধা তার মননশীলতা,পরিশ্রম আর মেধার দ্যুতিতে স্বকীয় অবস্থান গড়ে নিয়েছেন । অর্জন করেছেন মানুষের ভালবাসা । আর এ পদক প্রাপ্তির মাধ্যমে তিনি মানুষের তথা কমিউনিটির কল্যানে আরো উদ্যমী হবেন বলেই আমরা মনে করছি ।
উল্যেখ্য যে সাজিয়া একজন সৃজনশীল লেখিকা ও ব্লগার ।
প্রবাসের মাটিতে বাঙ্গালী ঐতিহ্য সমুন্নত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত কারী সাজিয়ার জন্য শুভ কামনা ।
তথ্য এখানে -
১০৩ / জিয়া হায়দার রহমান , যার প্রথম বইয়ে বিশ্ব মাত ।
প্রথম উপন্যাস ‘ইন দ্য লাইট অব হোয়াট উই নো’ দিয়েই পশ্চিম মাত করে দিয়েছেন জিয়া হায়দার রহমান । বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বইটির রিভিউ ছেপেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস বুক রিভিউ, নিউ ইয়র্কার, গার্ডিয়ান, সানডে টাইমস, কারকাস রিভিউ, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মতো বনেদি পত্রিকা ।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সমালোচনা সাহিত্য পড়ান জেমস উড । ‘দ্য নিউ ইয়র্কার’ সাময়িকীর এই স্টাফ রাইটার সাহিত্য সমালোচক হিসেবেও ভীষণ প্রভাবশালী । মার্কিন সাপ্তাহিক পত্রিকার জগতে ‘দ্য নিউ ইয়র্কার’ সাময়িকীকে বলা হয়ে থাকে সাহিত্যের সর্দার । জেমস উড যখন কোনো কিছু নিয়ে কথা বলেন, পশ্চিমা সাহিত্যদুনিয়া সেটা গুরুত্ব দিয়েই শোনে ।
এই ব্যক্তিই একটি বই নিয়ে লিখলেন পুরো চার পৃষ্ঠা, চার হাজার শব্দে ! শুধু এটাই নয়, বইটি নিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস আলোচনা ছাপাল পুরো আধা পৃষ্ঠা ! ‘ইন দ্য লাইট অব হোয়াট উই নো’ (আমরা যা জানি তার আলোকে) বইটি ছাপানোর তিন মাসের মধ্যেই এত আলোড়ন !!
জিয়া হায়দার রহমান সিলেটের এক অজপাড়াগাঁয়ে জন্ম গ্রহন করেন । সেখানেই কেটেছে শৈশব । মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্য চলে যায় রহমান পরিবার । ঠিকানা হয় লন্ডন শহরে দুস্থদের জন্য সরকার পরিচালিত এক পরিত্যক্ত ভবনে ।
লন্ডনে তাঁর বাবা বাস কন্ডাক্টরের কাজ করতেন । স্কুল ফাঁকি দিয়ে প্রায় চলে জেতেন বাবার বাসে । বাবার অনুপস্থিতিতে বাসের কন্ডাক্টরীও করতেন । তাঁর স্কুল ফাঁকি দেওয়াটা ছিল নিয়মিত অভ্যাস । ফাঁকিবাজ হলেও মেধার কোনো কমতি ছিল না । এই মেধার জোরেই একের পর এক ডিঙিয়ে গেলেন সিঁড়ি ।
একপর্যায়ে ভর্তি হলেন অক্সফোর্ডের প্রসিদ্ধ ব্যালিওল কলেজে । প্রথম শ্রেণির স্কলাশিপসহ জুটে গেল আরো কয়েকটি স্কলারশিপ । এরপর জার্মানির মিউনিখ । সেটা নিজের গণিত প্রীতির কারণে, নিলেন গণিতে স্নাতক ডিগ্রি । এরপর ক্যাম্ব্রিজে ঢুকে গণিতে এমফিল । অর্থনীতি বিষয়ে নিজেকে আরো ঝালিয়ে নিতে ঢুঁ মারলেন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে ।
ওয়াল স্ট্রিটের এক বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান নিজে থেকে টেনে নিল তাঁকে । সেখানে তিনি ছিলেন একজন ব্যাংকার । কিন্তু এক কাজ নিয়ে বসে থাকার লোক নন জিয়া । দু বছর পর পরই বদলেছেন চাকরি । এর মধ্যে একটা স্কলাশিপ পেয়ে আইনের ওপর ডিগ্রি নেন । হয়ে যান আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ের আইনজীবী ।
সুত্র -
১০৪ / অস্ট্রেলিয়ায় “কমিউনিটি ভলেন্টার এওয়ার্ড-২০১৪” পুরস্কার বিজয়ী মোঃ আবুল কালাম আজাদ খোকন
নিজ কর্ম ও আন্তরিকতায় সিডনিতে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করে চলছেন নারায়নগঞ্জের কৃতি সন্তান আবুল কালাম আজাদ খোকন । একজন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ায় একজন প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক হিসেবে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে ।
সম্প্রতি সিডনির ক্যানটারবারী সিটি কমিউনিটি সেন্টারে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে ল্যাকাম্বার প্রভাবশালী এমপি ও স্যাডো মন্ত্রী রবার্ট ফোরোলো প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বাংলাদেশী জনাব আজাদকে কমিউনিটি কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ “কমিউনিটি ভলেন্টার এওয়ার্ড-২০১৪” পুরস্কার প্রদান করেন ।
আজাদ সিডনি থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজপেপার নবধারা এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক এবং সুপ্রভাত সিডনির প্রাক্তন সাংবাদিক। তিনি বর্তমানে নিউ সাউথ ওয়েলস স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত ।
তিনি এযাবৎ সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ আঠারোটিরও বেশী সম্মননা ও পুরস্কার পেয়েছেন।আজাদ বলেন, প্রবাসে সামাজিক কর্মকানড ও কাজের স্বীকৃতি প্রবাসে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে ।
নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি এলাকায় এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে আজাদের জন্ম ।
সুত্র-
১০৫ / যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলেন্স ইন এডুকেশন অ্যাওয়ার্ড’২০১৫ বিজয়ী মেধাবী শিক্ষকা আবেদা খানম
মেধা-মনন, আচার-ব্যবহার, শিক্ষা-যোগ্যতায় আবেদা খানম এখন নিউইয়র্ক সিটির শিক্ষা বিভাগে অতি পরিচিত নাম । দেশী-বিদেশী নতুন প্রজন্মের অনেকের কাছেই তিনি এখন এক আদর্শিক ‘আইডল’।
যুক্তরাষ্ট্রের একজন সফল শিক্ষক হিসেবে ইউনাইটেড ফেডারেশন অব টিচার্স কর্তৃক চলতি বছরের এক্সিলেন্স ইন এডুকেশন অ্যাওয়ার্ড’২০১৫ অর্জন করেছেন আবেদা খানম ।
নিউইয়র্কের সুপ্রতিষ্ঠিত মদিনা মসজিদ কমিটির সাবেক সভাপতি মরহুম মাওলানা সামির উদ্দিন আহমেদের কন্যা আবেদা খানম ।
১১ বছর বয়সে ১৯৮৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র আসেন । বড় হয়েছেন ইট-পাথরে তৈরী বিশালাকারের ভবন বেষ্টিত ম্যানহাটানের লোয়ার ইস্ট সাইডে । লেখা পড়া করেছেন বব্রুকলীন ইন্টরন্যাশনাল হাই স্কুল, ব্রুকলীন কলেজ, আর হান্টার কলেজে । ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন বব্রুকলীন কলেজ থেকে। শিক্ষকতা তার পেশা ।
ইতিপূর্বে লাগোর্ডিয়া কমিউনিটি কলেজেও শিক্ষকতা করেছেন ৯ বছর । আর একজন সফল শিক্ষক হিসেবে অর্জন করেছেন ইউনাইটেড ফেডারেশন অব টিচার্স কর্তৃক চলতি বছরের এক্সিলেন্স ইন এডুকেশন অ্যাওয়ার্ড’২০১৫ ।
সম্মানিত এই অ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় তিনি নিজেকে যেমন গর্বিত মনে করেন, তেমনি তাকে নিয়ে গর্বিত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বিশ্ববিখ্যাত নিউইয়র্ক টাইমসসহ নিউইয়র্কের ডেইলী নিউজ, নিউইয়র্ক টিচার প্রভৃতি মিডিয়া । ডেইলী নিউজ পত্রিকা আবেদাকে তাদের ‘হোমটাউন হিরোজ এডুকেশন’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে । তার দেশের বাড়ী সিলেটের বিয়ানীবাজার ।
তথ্যসুত্র - এখানে ।
প্রবাসে বাংলাদেশের রক্তের উত্তরাধিকারী গুণীগন - পর্ব ১ হইতে ১০০ , এখানে ।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২