প্রবাসে বাংলাদেশের রক্তের উত্তরাধিকারী গুণীগন- ৯৬ ,৯৭ ,৯৮ ,৯৯ ।
৯৬ / ব্রিটিশ কিক বক্সিং চ্যাম্পিয়ন রুকসানা বেগম ।
ওয়ার্ল্ড টাইটেল ফাইটের খেতাব জয়ের জন্য কিক বক্সিংয়ে বৃটিশ চ্যাম্পিয়ন মেয়েটি মুখোমুখি হয়েছিলেন ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন লুডিভিন লানিয়েরের সাথে । ৩ রাউন্ডের ৯ মিনিটের ফাইটে কয়েকবার এডভান্টেজ নিলেও শেষ পর্যন্ত বিচারকের রায়ে মেনে নিতে হয়েছে পরাজয় । বিশ্বের সেরা কিক বক্সারের মুকুটটি অল্পের জন্য হাত ফস্কে যায় মেয়েটির ।
এই মেয়ে ব্রিটেনের মূলধারার সংবাদ মাধ্যমের ব্রিলিয়ান্ট বেগম খ্যাত রুকসানা বেগম । রুখসানা এক বিজয়িনীর নাম । এক বাংলাদেশী রক্ত ধারীর নাম ।
ব্রিটিশ বাংলাদেশি রুখসানা গত চার বছর ধরে নিজের দখলে রেখেছেন ব্রিটিশ কিক বক্সিং ও মুয়ে থাই চ্যাম্পিয়নের সম্মান । কিন্তু সেই পথচলা খুব সহজ ছিলনা রুখসানার, কিক বক্সিং উচ্চমাত্রার শারীরিক কসরত নির্ভর একটি খেলা । আর এমন একটি খেলায় ব্রিটেনের চ্যাম্পিয়ন রুখসানা বেগম ।
ব্রিটেনে আর দশজন স্বাভাবিক বাংলাদেশির মতোই পূর্ব লন্ডনে বেড়ে উঠা তাঁর লন্ডনের বেথনাল গ্রিন এলাকার একটি ব্যায়ামাগারে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, খ্যাতনামা প্রশিক্ষক বিল জাডের কাছে থাইল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী মুয়ে থাই শেখার সুযোগ পান রুখসানা ।
রুখসানার প্রথম সাফল্য আসে ২০০৯ সালে । ব্রিটেন জাতীয় দলের হয়ে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড অ্যামেচার কিক বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে তৃতীয় স্থান অর্জন করে আলোচনায় আসেন তিনি । সেই থেকে স্বপ্নের পথচলা শুরু; বাড়তে থাকে তাঁর ওপর দেশ ও দশের প্রত্যাশা ।
২০১১ সালে রুখসানা লাটভিয়ায় আয়োজিত ইউরোপিয়ান ক্লাব কাপে সোনা জেতেন ।
সম্প্রতি ব্রিটেনের উইমেনস হেলথ সাময়িকীর প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যের সেরা ফিটেস্ট নারীর মধ্যে উঠে এসেছে রুখসানা বেগমের নাম ।
শখের বশে শুরু করে এখন বিশ্বজয়ের পথে হাটছেন রুখসানা, ব্রিটেন বাঙালির সাফল্য গাঁথায় উজ্জ্বল এখন রুখসানার নাম ।
একবার পরাজয় মানে হেরে যাওয়া নয় । রুখসানা আগামীতে বিজয় মুকুট নিয়ে আসবেন,বিশ্বের দরবারে স্বর্ণাক্ষরে লিখবেন বাংলাদেশের নাম । শুভ কামনা রুখসানার জন্য ।
সুত্র -
৯৭ / যুক্তরাষ্ট্রের ‘এন্ট্রাপ্রেনিউর অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার প্রাপ্ত মাহফুজ আহমেদ এর প্রতিষ্ঠান ''ডাইসিস'', যার বার্ষিক আয় ৪০০ মিলিয়ন ডলার ।
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার সেন্টারভিল। বাড়ির ভূগর্ভস্থ অংশে ছোট্ট পরিসরের একটি কক্ষ। সেখানে পাঁচ বন্ধু মিলে চালু করলেন তথ্যপ্রযুক্তির সেবাপ্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের নাম ডিজিটাল ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম। সংক্ষেপে ডাইসিস। সেটা ১৯৯৪ সালের কথা।
এখন সেই ডাইসিস আটটি দেশে খুলেছে ২৬টি কার্যালয়। বছরে আয় ৪০০ মিলিয়ন (৪০ কোটি) ডলারের বেশি। বাড়ির নিচের ছোট্ট পরিসর থেকে এমন বিশ্বময় হয়ে ওঠার নায়ক প্রকৌশলী মাহফুজ আহমেদ।
ডাইসিসের কাজ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সফটওয়্যারের রক্ষণাবেক্ষণ ও হালনাগাদ করা, তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামো দেখভাল করা এবং দরকার হলে সেখানে কর্মীও সরবরাহ করা। বর্তমানে মাহফুজ প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ও ৮০ শতাংশের মালিক ।
তথ্যপ্রযুক্তি মানুষের জীবনে এনেছে স্বাচ্ছন্দ্য। একই সঙ্গে দিনে দিনে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোও তথ্যপ্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠছে। বিশ্বের সব বড় বড় বহুজাতিক কোম্পানি তাদের পণ্য, সেবা এবং কর্মীদের খোঁজ রাখার জন্য ব্যবহার করেন নতুন নতুন হার্ডওয়্যার, নেটওয়ার্ক সিস্টেমস ও জটিল সফটওয়্যার। এসব অবকাঠামো এবং সফটওয়্যারের রক্ষণাবেক্ষণ ও হালনাগাদ করার কাজটি প্রতিষ্ঠানের নিজেদের লোক দিয়ে অনেক সময়ই কার্যকর রাখা সম্ভব হয় না। আর এখানেই কাজ করে মাহফুজের ডাইসিস।
ডাইসিসের কর্মীরা অন্য প্রতিষ্ঠানের জটিল সফটওয়্যার দেখাশোনা, তাতে নতুন নতুন ফিচার যোগ করেন। বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান এক্সন মোবিল, মার্কিন গণমাধ্যম সংস্থা টার্নার ব্রডকাস্টিং, বহুজাতিক বিমান সংস্থা ডেল্টা এয়ারলাইনস ও ইউপিএসের মতো প্রায় ৩০০ প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করে ডাইসিস। এগুলোর বেশির ভাগই যুক্তরাষ্ট্রের ফরচুন সাময়িকী প্রকাশিত বিশ্বের প্রথম ৫০০টি ধনী প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে। সম্প্রতি ডাইসিস ক্লাউড কম্পিউটিং সেবাও চালু করেছে।
সরকারি কর্মকর্তা মনসুর আহমেদ এবং শিক্ষিকা শামিম মনসুরের দুই সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় মাহফুজ। তাঁর বয়স যখন ছয় তখনই বাবা মারা যান। নানা সাদিক আহমেদ চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে মাহফুজ সেন্ট যোসেফ স্কুল থেকে এসএসসি ও নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরশাদের স্বৈরশাসনের সময় টানা বন্ধ ও সেশনজটের কারণে নানা সাদিক আহমেদ চৌধুরী মাহফুজকে পাঠিয়ে দেন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ মেসন বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৩ সালে তড়িৎ প্রকৌশলে সম্মানসহ স্নাতক পাস করার পরপরই মাহফুজ এক্সন মোবিল কোম্পানিতে সফটওয়্যারের মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগে যোগ দেন । সেখানে তিনি স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম লিখে ‘পাঁচজনের কাজ একজন দিয়ে করানোর’ সুযোগ তৈরি করেন।
এর পরের বছরই মাহফুজ গড়ে তোলেন ডাইসিস। সকাল সাতটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত মবিলে চাকরি। তারপর গ্রাহকের কোম্পানিতে মধ্যরাত পর্যন্ত কাজ । এক সাক্ষাৎকারে মাহফুজ বলেছিলেন , ‘১৮ মাস ধরে, আমার স্ত্রীকে দেখেছি কেবল ঘুমিয়ে থাকার সময়’ ।
যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টা, ডালাস, বোস্টন ও ক্যালিফোর্নিয়া শহরে কার্যালয় চালুর পর থেকে তাঁর কোম্পানির আয়-উন্নতি বাড়তে থাকে, সঙ্গে গ্রাহকের সংখ্যাও । ছড়িয়ে পড়েন ব্রাজিল, হাঙ্গেরি, নেদারল্যান্ডস, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভারতে । ২০১০ সালে মাহফুজ সঙ্গীদের কাছ থেকে তাদের যাবতীয় শেয়ার কিনে একাই কোম্পানির মালিক হন । পরে তিনি একটি বিনিয়োগ কোম্পানির কাছে ২০ শতাংশ মালিকানা ছেড়ে দেন ।
গড়ে ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির কারণে বিশ্বখ্যাত গবেষণা প্রতিষ্ঠান আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং মাহফুজ আহমেদকে ২০১৩ সালের ‘এন্ট্রাপ্রেনিউর অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কারে ভূষিত করে। ২০১০ সালে ওয়াশিংটনের ৪০ বছরের কম বয়সী ৪০ জন সফল উদ্যোক্তার তালিকা ‘ফর্টি আন্ডার ফর্টি’তে স্থান পান তিনি। ওয়াশিংটন পোস্টসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পত্রিকায় তাঁর সাফল্যের কাহিনি প্রকাশিত হয়েছে। গত বছর মাহফুজ জর্জ মেসন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই ট্রাস্টি বোর্ডের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত হন।
স্ত্রী সায়মা আহমেদ, দুই কন্যা সানজি ও আনুসকা এবং পুত্র আরেজকে নিয়ে মাহফুজ আহমেদের সংসার।
বাংলাদেশে ডাইসিসের কার্যালয় চালুর ব্যাপারে আগ্রহ আছে মাহফুজের । এ জন্য একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলার চেষ্টা করছেন তিনি ।
৯৮ / ডয়চে ভেলের ‘দ্য বেস্ট অব ব্লগস-ববস ’ জয়ী প্রকল্প ''বাংলা ব্রেইল'',প্রধান সমন্বয়ক যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব আলাবামা অ্যাট বার্মিংহামে কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাগিব হাসান , যিনি সামহোয়্যার ইন ব্লগের একজন ব্লগার ।
বিখ্যাত জার্মান বেতার সংস্থা ডয়চে ভেলের ‘দ্য বেস্ট অব ব্লগস-ববস ২০১৪’ প্রতিযোগিতার জুরি পুরস্কার গ্রহণ করলেন রাগিব হাসান । তিনি জার্মানির বন শহরে ‘বাংলা ব্রেইল’ প্রকল্পের পক্ষে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন।
‘গ্লোবাল মিডিয়া ফোরাম’-এর উদ্বোধনী দিনে বিজয়ীদের মধ্যে চলতি বছরের পুরস্কার বিতরণ করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মিসর, ফিলিস্তিন, বাংলাদেশ, ভারত ও ইউক্রেনের দ্য ববস বিজয়ী প্রকল্পের প্রতিনিধিরা পুরস্কার গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশুদের এ পুরস্কার উৎসর্গ করেছেন রাগিব হাসান।
বাংলা ভাষায় ২০১৪ সালে দ্য ববসের ‘সেরা উদ্ভাবন’ বিভাগে বিচারকমণ্ডলীর রায়ে এবং ইন্টারনেট ভোটে পুরস্কার পায় বাংলা ব্রেইল প্রকল্প (http://www.banglabraille.org )। এ প্রকল্পে অনলাইন উদ্যোগের মাধ্যমে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল বইয়ের ডিজিটাল সংস্করণ এবং অডিও বই তৈরি করা হচ্ছে৷ ওয়েবসাইট ও একটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে প্রকল্পটি পরিচালনা করা হয়।
পুরস্কার প্রাপ্তির পর বাংলা ব্রেইলের সমন্বয়ক ও যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব আলাবামা অ্যাট বার্মিংহামের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাগিব হাসান বলেন, ‘বাংলা ব্রেইল প্রকল্পের প্রায় তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবীর পক্ষ থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করে আমার খুব ভালো লেগেছে। আমাদের কর্মীরা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন নিঃস্বার্থভাবে। এটি তাঁদের কাজের স্বীকৃতি। তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করে বলেন, ‘সবার সাহায্য পেলে এই শিশুদের কাছে আমরা পৌঁছে দিতে পারব জ্ঞানের আলো, এটাই আমার স্বপ্ন।’
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে শুরু হয় বাংলা ব্রেইল প্রকল্প। এতে অনেকেই স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছেন। বাংলা ব্রেইল ছাড়াও এবারের ববসে বাংলাদেশের উইমেন চ্যাপ্টার ও জিরো টু ইনফিনিটি সাইট পিপলস চয়েস পুরস্কার পেয়েছে।
উল্যেখ করা আবশ্যক যে , বাংলা ব্রেইলের সমন্বয়ক ও যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব আলাবামা অ্যাট বার্মিংহামের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব রাগিব হাসান সামহোয়্যার ইন ব্লগের একজন ব্লগার ।তথ্যটি দিয়ে সহযোগীতে করেছেন , আরেকজন গুণী ব্লগার - আরজুপনি ।
আরও উল্যেখ্য যে , বাংলাব্রেইল এর এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তি উপলক্ষে সামুতে ‘দ্য বব্স’ জুরি অ্যাওয়ার্ড জয় করলো বাংলাব্রেইল প্রকল্প নামে একটি পোস্ট স্টিকি করা হয়েছিল ।
৯৯ / কাতার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত তামিম রায়হান ।
চলতি বছরে কাতার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া ৩৩ জন মেধাবী ছাত্রের হাতে স্বর্ণপদক তুলে দেন দেশটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিত্ব ডেপুটি আমির শেখ আবদুল্লাহ বিন হামাদ আলথানি । কাতার জাতীয় কনভেনশন সেন্টারে ৩৮তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে পুরস্কার গ্রহনকারীদের একজন বাংলাদেশী তামিম রায়হান ।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন নাছের বিন খলিফা আলথানি এবং মন্ত্রি পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা সহ কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক শেয়খ আবদুল্লাহ আল মিসনাদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের ডিন ও শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
এবারের সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়টির ছয়টি কলেজ থেকে ৩০০ জন অনার্স, ৭৯ জন মাস্টার্স এবং একজন ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এই ৩০০ ছাত্রের মধ্যে বাংলাদেশি ছাত্র ছিলেন মাত্র ৭ জন। তামীম রায়হান একমাত্র বাংলাদেশী ছাত্র যে স্বর্ণপদক লাভ করেন। তামিম তার নিজের মেজর সাবজেক্টে (দাওয়া অ্যান্ড মাস মিডিয়িা) প্রথম স্থান অর্জন করেন।
কাতারের সবগুলো পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে অনুষ্ঠানের ব্যাপক প্রচার করা হয়। দেশটির অন্যতম প্রভাবশালী পত্রিকা পেনিনসুলার প্রথম পাতায় স্থান পায় বাংলাদেশি এ ছাত্রের ছবি । তামিমের পিতা ডা. গোলাম হোসেন, সৌদিআরবের মদীনায় কর্মরত চিকিৎসক । মা আমেনা আফরোজ, চারভাই এক বোনের মধ্যে দ্বিতীয় তামিম ।
তামীম একজন কোরআনে হাফেজ , তিনি বাংলাদেশের লালবাগ মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস সমাপ্ত করে মাওলানা সনদ লাভ করেছেন ।
উল্ল্যেখ্য, কাতার বিশ্ববিদ্যালয় দেশটির একমাত্র সরকারি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ।
( ২০০৯ সাল । কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা । রাজনৈতিক বক্তব্যের পাশাপাশি নিজেদের কথা বলতে গিয়ে ওবামা বললেন, “আমি কৃতজ্ঞ চিত্তে শ্রদ্ধা জানাই এক বাঙালি প্রকৌশলীকে ------ ''
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যাঁকে কৃতজ্ঞ চিত্তে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সেই কিংবদন্তীকে উপস্থাপনের মাধ্যমে আগামী পর্বে এই সিরিজের শতক পূর্ণ হবে ,আশা করি পূর্বের মতই সাথে থাকবেন। )
আগের পর্বের লিঙ্ক -
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০০