প্রবাসে বাংলাদেশের রক্তের উত্তরাধিকারী গুণীগন- ৬৬,৬৭,৬৮,৬৯,৭০ ।
৬৬ / আলজাজিরার সাংবাদিক বাংলাদেশের মেয়ে শামিম চৌধুরী ।
প্রিন্টিং মিডিয়া থেকে সাংবাদিকতা জীবন শুরু । কাজ করেছেন ডেইলি এক্সপ্রেস , দি দেইলি মেইল , দি ডেইলি টেলিগ্রাফ ও দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট এ ।
শামিম চৌধুরী ২০০৭ সালে আলজাজিরার ইংলিশ বিভাগে যোগ দেন । প্রথমে ডেপুটি নিউজ এডিটর হিসেবে , পরবর্তীতে নিউজ এডিটর , চিপ রিপোর্টার এবং সংবাদ প্রযোজক ।
বর্তমানে আলজাজিরা নিউজ সেন্টার , লন্ডনে চিপ হিসেবে কর্মরত থাকলেও বছরের বেশীরভাগ সময় কাটে আলজাজিরার হেড অফিস দোহা , কাতারে ।
সোসিও পলিটিক্যাল ইস্যু নিয়ে তিনি হাফিংটন পোস্টে নিয়মিত কলাম লিখেন ।
আলজাজিরার পূর্বে শামিম চৌধুরী স্কাই নিউজ , আইটিএন ও বিবিসিতে কাজ করেছেন ।
ব্রিটিশ বাংলাদেশী শামিম ২০১৩ সাল থেকে ''এশিয়ান মিডিয়া এওয়ার্ডস'' এর জাজ প্যানেল এর একজন সন্মানিত সদস্য ।
সুত্র - Click This Link
৬৭/ লাইট কিক বক্সিং এ দুই বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আব্দুল আলি ।
আব্দুল আলি , কিক বক্সিং জগতে যিনি আলি জ্যাক নামে পরিচিত । পর পর দুই বার জিতেছেন ওয়ার্ল্ড লাইট কিক বক্সিং চ্যাম্পিয়ন ।
১৯৬৯ সালে সুনাম গঞ্জে জন্ম গ্রহন করেন । ৬ বছর বয়সে পিতার মাতার সাথে পাড়ি জমান ইংল্যান্ডে ।
সেখানে গিয়ে ভর্তি হন Sir John Cass Redcoat School এ ।
প্রথম জিবনে ইংল্যান্ড জুনিয়র লিগে ফুটবল খেলতেন ।
১৯৮৬ সালে কিক বক্সার হিসেবে প্রশিক্ষন নেয়া শুরু করেন । ১৯৯০ সালে অর্জন করেন ব্রিটিশ লাইট ওয়েট কিক বক্সিং টাইটেল ।
১৯৯০ সালে W.M.O European kickboxing টাইটেল । ১৯৯৯ সালের W.K.N World Inter-Continental Championship বিজয়ী হন ।
১৯৯৬ সালে ওয়ার্ল্ড লাইট কিক বক্সিং চ্যাম্পিয়ন হয়ে অর্জন করেন বিশ্ব মুকুট । ২০০২ সালে পুনরায় তিনি ওয়ার্ল্ড লাইট কিক বক্সিং এ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হন এবং সে বছরই বক্সিং জগত থেকে অবসর নেন ।
বর্তমানে তিনি ব্রিটিশ ''কিক বক্সিং ইউকে'' নামক ম্যাগাজিন ও কিক বক্সিং চ্যানেল JKO TV র কর্ণধার ।
http://www.dhakatribune.com/sport/2014/nov/10/jacko-wants-improve-boxersâ-plight
৬৮/ হোয়াইট হাউসে প্রথম এশিয়ান ফটো সাংবাদিক : জুয়েল
হোয়াইট হাউসে প্রথম এশিয়ান ফটো সাংবাদিক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন জুয়েল সামাদ । কাজ করছেন এএফপির ফটো সাংবাদিক হিসেবে । পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় আফগানিস্তান ও ইরাক রণাঙ্গনে কয়েকবার তাঁকে মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়েছে ।
১৯৯৩ সালে ছয় লেটারসহ এসএসসি পাশ করেন ঢাকার ছেলে জুয়েল । পিতৃহীন অভাবের সংসারে অনটনে পড়ে কলেজে ভর্তি হতে পারেন নি । কাজ নেন ডেইলি মর্নিং সান পত্রিকার ডার্ক রুমে । এক বছর পর হাতে পান ক্যামেরা । মর্নিং সানে কিছুদিন কাজ করার পর নতুন কর্মস্থল জনকণ্ঠ । সেখানে থাকা কালীন কঠিন প্রতিযোগিতা মুলক পরিক্ষায় প্রথম হয়ে ,হয়ে যান এ এফ পির আলোকচিত্রি । এর ফাকে ফাঁকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে সম্পন্ন করেন স্নাতক ডিগ্রি ।
এর পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি , তর তর করে ভেঙ্গে যান সাফল্যের সিঁড়ি ।
ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময় পার করেছেন এশিয়াতেই । ২০০৮ সালে বদলি হয়ে চলে যান আমেরিকায় । সেখানে লস অ্যাঞ্জেলেসে বিশেষ করে ওয়েস্ট কোস্ট কভার করার দায়িত্ব পড়ে তাঁর ওপর। কাজ করতে করতে হঠাৎ জানতে পারেন, আবারও বদলির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তবে এবার নতুন কোনো দেশ নয়, লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে ওয়াশিংটন। হয়ে যান হোয়াইট হাউসে এএফপির স্টাফ ফটোগ্রাফার। বারাক ওমাবা, মিশেল ওবামা তাঁর ক্যামেরায় উজ্জ্বলতা ছড়াতে থাকে।
বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর ব্যক্তির সঙ্গে কাজ করছেন, অনুভবটাই অন্য রকম,ওবামার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটাও দারুণ ।
http://www.kalerkantho.com/feature/spotlight/2014/08/02/112724/print
৬৯ / অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় বিজ্ঞান সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী ডঃ আবেদ চৌধুরী
আবেদ চৌধুরী আধুনিক জীববিজ্ঞানের প্রথম সারির গবেষকদের একজন। তিনি পড়াশোনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের অরেগন স্টেট ইনিস্টিটিউট অফ মলিকুলার বায়লজি এবং ওয়াশিংটন স্টেটের ফ্রেড হাচিনসন ক্যান্সার রিসার্চ ইনিস্টিটিউটে।
১৯৮৩ সালে পিএইচ.ডি গবেষণাকালে তিনি রেকডি নামক জেনেটিক রিকম্বিনেশনের একটি নতুন জিন আবিষ্কার করেন যা নিয়ে আশির দশকে আমেরিকা ও ইউরোপে ব্যাপক গবেষণা হয়। তিনি অযৌন বীজ উৎপাদন (এফআইএস) সংক্রান্ত তিনটি নতুন জিন আবিষ্কার করেন,যার মাধ্যমে এই জিনবিশিষ্ট মিউটেন্ট নিষেক ছাড়াই আংশিক বীজ উৎপাদনে সক্ষম হয়। তার এই আবিষ্কার এপোমিক্সিস এর সূচনা করেছে যার মাধ্যমে পিতৃবিহীন বীজ উৎপাদন সম্ভব হয়।
আবেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউট হেলথ, ম্যাসাচুসেটস ইনিস্টিটিউট অফ টেকনলজি এবং ফ্রান্সের ইকোল নরমাল সুপিরিয়রের মতো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন। বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় বিজ্ঞান সংস্থায় গবেষকদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অনেক পেশাদরী জার্নালে তাঁর লেখা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া তিনি সহজবোধ্য ভাষায় বাংলা ও ইংরেজিতে অনেক নিবন্ধ লিখেছেন।
আবেদ চৌধুরী ১৯৫৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার কানিহাটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মৃত আব্দুল মন্নান চৌধুরী ও তার মাতার নাম হাফিজা খাতুন।
বাংলাদেশী এই জিনবিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানলেখক অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা শহরে বসবাস করেন ।
https://en.wikipedia.org/wiki/Abed_Chaudhury
৭০ / বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকর সোলার এনার্জি সেলস এর আবিস্কারক ড. জামালউদ্দিন
প্রবাসী বিজ্ঞানী ড. জামাল উদ্দিন সোলার সেল থেকে শতকরা ৪৩.৪ পুনঃব্যবহারযোগ্য এনার্জি উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করেছেন যা বিশ্বে এই উৎপাদনের সর্বোচ্চ মাত্রা । ড. জামাল মেটাফিজিঙ্ক সফট ওয়ার-কমসল এবং পিসি-ওয়ান ডি ব্যবহার করে এই ক্ষেত্রে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন।
ড. জামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করে জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন ।
তিনি বর্তমানে কপিন স্টেট ইউনিভার্সিটির ন্যাচারাল সাইন্সের সহকারী অধ্যাপক এবং ইউনিভার্সিটির নেনোট্যাকনোলজি রিচার্স সেন্টারের গবেষক ।
ডঃ জামালউদ্দিন চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জের অধিবাসী । পিতা মরহুম আব্দুল জলিল , মাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা ।
http://www.hybridknowledge.info/2012/08/bangladeshi-scientist-their-discoveries.html
পূর্বের পর্ব গুলি -
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪২