প্রবাসে বাংলাদেশের রক্তের উত্তরাধিকারী গুণীগন- ৫৬,৫৭,৫৮,৫৯,৬০ ।
৫৬ / মুটে (কুলি) থেকে মিলিওনিয়ার , ফ্রান্সের শীর্ষস্তরের করপ্রদানকারী কাজী এনায়েত উল্লাহ
ফ্রান্সে একসময়ের মুটে (কুলি) প্রবাসী বাংলাদেশি কাজী এনায়েত উল্লাহ বর্তমানে মিলিয়নেয়ার। এখানকার শীর্ষ ব্যবসায়ীও বটে। একেবারে শূন্য থেকে শুরু করে প্যারিসের মূল স্রোতের রিয়েল এস্টেট, অ্যাভিয়েশন ও রেস্তোরাঁ ব্যবসায় তার এ উন্নতির পেছনে রয়েছে অধ্যাবসায় ও কঠোর পরিশ্রম।
১৯৭৮সালে ভাগ্যান্বেষণে পাড়ি জমান । টিকে থাকার জন্য প্রথম অবস্থায় গাড়ি থেকে মালামাল খালাস বা বোঝা টানতেন ।
ফ্রান্স তথা ইউরোপের বাণিজ্যজগত ও কমিউনিটি সেবায় এক পরিচিত নাম কাজী এনায়েত উল্লাহ।
পিগেল, আইফেল টাওয়ারে কাছাকাছি এবং অভিজাত এভিনিউ শাঁজালিজে এলাকায় রয়েছে তার একাধিক রেস্তোরাঁ । আছে রিয়েল এস্টেট ও কনসালট্যান্সি ফার্মও । উজবেকিস্তান এয়ারলাইন্সের গোটা ইউরোপের টিকিটও তার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিকোচ্ছ ।
এছাড়াও আরো অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান কাজী এনায়েত বিগত বছর গুলিতে ফ্রান্সের শীর্ষস্তরের করপ্রদানকারী ।
নিজের অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ছাড়াও তিনি বাংলাদেশ-ফ্রান্স ইকোনমিক ফোরাম, ইউরোপ প্রবাসীদের প্রাণপ্রিয় সংগঠন অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের (আয়বা) সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
ইউরোপে বাংলাদেশি কমিউনিটির সাহায্য সহযোগিতা এবং সমস্যা নিরসনে এনায়েতউল্লাহ স্বপ্রণোদিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন ।
এনায়েতউল্লাহর জন্ম রাজধানীর বনানী চেয়ারম্যানবাড়ী এলাকায় । জন্মস্থানের নামেই গড়ে তুলেছেন বনানী গ্রুপ । ঢাকার পূর্বাচল এলাকায় এই গ্রুপের পক্ষ থেকে প্রবাসীদের জন্য বিশেষ সিটি গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছেন তিনি ।
তথ্য সুত্র এখানে -
৫৭ / মালয়েশিয়া প্রকাশনী সংস্থার ৫০ ভাগ বাজার ‘বিএস প্রিন্ট মালয়েশিয়া’র নিয়ন্ত্রণে , যার মালিক বাংলাদেশের নিধীর সাহা
মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ এশিয়ার বিভিন্ন ম্যাগাজিনে তার সাফল্য তুলে ধরে বের হয় নানা প্রচ্ছদ প্রতিবেদন। মালয়েশিয়ার সুলতান তার সামাজিক ও ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের সাফল্যের জন্যে রাষ্ট্রীয় সম্মানজনক স্বীকৃতি হিসেবে দিয়েছেন ‘দাতো’ উপাধী।
তিনি বাংলাদেশের দাতো নিধীর সাহা। বাবা সুধীর চন্দ্র সাহা (মৃত)। ঢাকার সাভারের দক্ষিণপাড়ার ছেলে। জন্ম ১৯৬৪ সালে। সাভার অধরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে ১৯৮১ সালে ভর্তি হন ঢাকার মোহাম্মদপুরের গ্রাফিক্স আর্ট ইনস্টিটিউটে। সেখানকার পর্ব শেষ করে উচ্চ শিক্ষার জন্য স্কলারশিপ নিয়ে ৮৫ সালে পাড়ি জমান স্বপ্নের দেশ মালয়েশিয়ায়। আজকের মালয়েশিয়া তখন এত উন্নত ছিলনা।
এসেছিলেন উচ্চ শিক্ষার জন্য। এখন তিনিই গড়ে তুলেছেন বিশাল প্রতিষ্ঠান। রাজধানী কুয়ালালামপুরের কুচাইলামায় জালান ইনরাহানা সড়কের পাশে প্রায় ৬০ হাজার বর্গফুট এলাকাজুড়ে গড়ে তুলেছেন ‘বিএস প্রিন্ট মালয়েশিয়া’ (সিনরিয়ান বারহাট) নামের আর্ন্তজাতিক মানের ছাপাখানা। যেখানে কাজ করছেন ত্রিশ বাংলাদেশিসহ ৮০ দেশি-বিদেশি। মালয়েশিয়া ছাড়াও তার প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন নেপাল,মিয়ানমারের নাগরিক।
স্কলারশিপে পাওয়া অর্থ জমিয়ে মাত্র দুই হাজার রিঙ্গিত দিয়ে শুরু করেন ব্যবসা। শুরুটা ছিল বেশ কঠিন। প্রথমে কাজের অর্ডার জোগাড় করে অন্য ছাপাখানা থেকে তা ছাপিয়ে সরবরাহ করতেন। বলতে গেলে ‘মিডলম্যান’। ১৯৯১ সালে ‘বিএস প্রিন্ট মালয়েশিয়া’ কারখানার নিবন্ধন নেন।
এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে মালয়েশিয়ার প্রকাশনী সংস্থার ৪৫-৫০ ভাগ বাজার এখন এই প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর এমনকি অস্ট্রেলিয়া থেকেও নিয়মিত কাজের অর্ডার পাচ্ছেন।
কারখানায় মুখোমুখি হয়ে দাতো এন সাহা জানান, আমি কখনো চাকরি করার কথা ভাবিনি। জানেনই তো, সাহা পদবীর লোক মানেই রক্তে ব্যবসা। কারণ জীবনের প্রথম লক্ষ্যটাই ছিল চাকরি করা নয়, চাকরি দেওয়া। বিশ্বের সর্বাধুনিক মেশিনে আমার প্রতিষ্ঠানে অনেকে কাজ করছেন, এটাই আমার আনন্দ। যে প্রতিষ্ঠানটি প্রিন্টিং সেক্টরে মালয়েশিয়ার প্রথম আইএসও সনদপ্রাপ্ত।
২০১৩ সালে পাহাং রাজ্যের সুলতান হাজী আহমেদ শাহ’র কাছ থেকে লাভ করেন বিশেষ উপাধী ‘দাতো’।
তথ্য সুত্র - এখানে
৫৮ / ‘বিবিসি সেরা ব্রিটিশ বেকার’ পুরষ্কারের জন্য মনোনয়ন প্রাপ্ত নাদিয়া হোসেন
ব্রিটেনের উদিয়মান টিভি তারকা , বিভিন্ন চ্যানেলে রান্না বিষয়ক অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা নাদিয়া হোসেন ‘বিবিসি সেরা ব্রিটিশ বেকার’ পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন ।
নাদিয়ার স্বামী আবদাল একজন কারিগরি ব্যবস্থাপক । তিন সন্তান নিয়ে তাঁদের বেডফোর্ডশায়ার শহরে বসবাস ।
নাদিয়া স্থানীয় চালনি গার্লস হাই স্কুলে অধ্যয়ন কালে তার শিক্ষক জন মার্শালের কাছ থেকে পাচকের কাজ শিখার উৎসাহ পান ।
চালনি হাই স্কুলের পড়া শেষ করে নাদিয়া লুটন সিক্সথ ফর্ম কলেজে ভর্তি হন এবং ২০০৩ সালে ইংরেজি, মনোবিজ্ঞান এবং ধর্মীয় শিক্ষায় এ লেভেল অর্জন করেন ।
তথ্য সুত্র - এখানে]
৫৯ / ব্রাজিলের স্কুলে বাংলাদেশী মাধুরীর অভাবনীয় কৃতিত্ব
বিশ্বব্যাপী নারীর ক্ষমতায়ণের এই যুগে বাংলাদেশের অনুকুলে আরো একটি সাফল্যের অধ্যায় রচিত হলো ল্যাটিন আমেরিকার প্রাণকেন্দ্র ব্রাজিলে। রাজধানীর স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘ব্রাসিলিয়া ইন্টারন্যাশনাল স্কুল’ বিআইএস-এর স্টুডেন্টস ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশী মেধাবী ছাত্রী মাধুরী কায়েস। গোটা ল্যাটিন আমেরিকার কোন স্কুলে এই প্রথম কোন বাংলাদেশী বিশেষ এই গুরুত্ববহ সাফল্য অর্জন করলেন।
১৭ সেপ্টেম্বর বৃহষ্পতিবার ব্রাসিলিয়াতে অনুষ্ঠিত বিআইএস কাউন্সিলের তীব্র প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ নির্বাচনে ব্রাজিলীয় ছাত্রী এদুয়ার্দাকে মাত্র ১৪ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে গৌরবের আসনে অধিষ্ঠিত হন মাধুরী। এসোসিয়েশন অব আমেরিকান স্কুলস অব ব্রাজিলের মেম্বার-স্কুল হিসেবে ব্রাসিলিয়া ইন্টারন্যাশনাল স্কুলটি পরিচালিত হয়ে আসছে বিশ্বখ্যাত ইন্টারন্যাশনাল ক্রিশ্চিয়ান্স স্কুলস নেটওয়ার্কের আওতায়। বিশ্বের ২৯টি দেশের ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনা করছে এখানে।
ব্রাজিলের রাজধানীর অত্যন্ত প্রেস্টিজিয়াস এই স্কুলের স্টুডেন্টস কাউন্সিলের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাধুরী কায়েস মিজারুল কায়েস ও নাঈমা কায়েসের কনিষ্টা কন্যা।
তথ্য সুত্র এখানে
৬০ / আমাজন জঙ্গলের জংলী রানী বাংলাদেশি তরুণী সারা বেগম !
ছোট্ট কুটিরে হইহই করে আদিবাসীরা বিয়ে দিলেন সারা বেগম -গিংকটোর । রীতি মেনে শরীর অনাবৃত করে শুরু হয় বিয়ের মন্ত্রোচ্চারণ । বর কনে তো বটেই সকল আমন্ত্রিত অতিথিই নগ্ন । রাতভর চলে নাচ-গান । বীর যোদ্ধা গিংকটোকে বিয়ে করে সারা এখন আমাজন জঙ্গলের রানি । তাঁকে পরিয়ে দেওয়া হয়েছে ম্যাকাও পাখির পালক দিয়ে তৈরি মুকুট । কোমরে বাঁধা পাখির পালকের ক্ষুদ্র পোশাক ।
ইকুয়েডরের আমাজন জঙ্গলে ''হুয়ারোনি'' সম্প্রদায়ের উপর একটি তথ্যচিত্রের শুটিং করতে যান অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় এই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ফিল্মমেকার সারা ।
বাঁধ সাধে জংলীরা । তারা সভ্য মানুষ দেখলেই হত্যা করে । সারার ডকুমেন্টরি গ্রুফের প্রত্যেক সদস্যকে জংলীরা ধরে নিয়ে যায় তাদের রাজা গিংকটোর কাছে । গিংকটো অল্প স্প্যানিশ বলতে পারে । সারার ক্যামেরাম্যানও স্প্যানিশ জানত ।
অনেক দেন দরবারের পর তাদের মুক্তি মেলে , মেলেনা কাজের ও থাকার অনুমতি । শেষে এক এক প্রবীণ আদিবাসী ফতোয়া দেন রাজা গিংকটোকে বিয়ে করলে তবেই সারাকে ইকুয়েডরের ওই জঙ্গলে থাকার এবং কাজ করার অনুমতি দেওয়া হবে ।
প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান সারা ।
১৪ বছর বয়সে একবার দাদা-দাদীর সঙ্গে দেখা করতে বাংলাদেশে এসে ছিলেন সারাহ । প্রকৃতিপ্রেমী এই তরুণী মজেছিলেন বাংলাদেশের প্রকৃতিতে।
প্রকৃতির প্রতি সেই টানেই ছুটে গিয়েছিলেন আমাজানের গহীন জঙ্গলেও ।
ডেইলি মিরর লিখেছে, তথ্যচিত্র নির্মাণের জন্য হুয়ারোনিদের বিশ্বাস অর্জনের প্রয়োজনেই সারাহ সেখানে বিয়ে করেছিলেন ওই গোত্রের সেরা শিকারী হিসাবে পরিচিত গিংটোকে, যার বয়স সারাহর দ্বিগুণের বেশি ।
তথ্য লিঙ্ক ডকুমেন্টরী সহ
সকল পর্বের লিংক এখানে ।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৪