সালিমা
৪৭/ ক্যানাডায় স্তন ক্যান্সারের সফল গবেষক ডঃ শান্তনু বণিক
বিশ্বজুড়েই স্তন ক্যান্সার এখন একটি বড় আতঙ্কের নাম। যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশে প্রতি বছর ২ লাখ ১৬ হাজার নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৪০ হাজারের বেশি মৃত্যুবরণ করে। বাংলাদেশেও এই হারটা কম নয়।
আর এই স্তন ক্যান্সারের হাত থেকে বাঁচার অন্তত কিছুটা স্বস্তির উপায় খুঁজে বের করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশি শান্তনু বণিক। তরুণ এই গবেষক আবিষ্কার করেছেন স্তন ক্যান্সার দেখা দেওয়ার অনেক আগেই তা শনাক্ত করার পদ্ধতি।
কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ক্যালগেরির গবেষক শান্তনু বণিক এর গবেষণার ফলাফল স্তন ক্যান্সারের আশু শনাক্তকরণে মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আর এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশের পর পরই কানাডাজুড়ে আলোচনার ঝড় ওঠে। তাদের কৃতিত্বপূর্ণ এ গবেষণার কথা ফলাও করে প্রকাশ হয় মিডিয়ায়।
শান্তনু বণিক ঢাকার নটর ডেম কলেজের প্রাক্তন ছাত্র। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিষয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ক্যালগেরি থেকে ক্যান্সার গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য এ বছরের জানুয়ারিতে কানাডার ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রকাশনা পুরস্কার লাভ করেন। এ ছাড়াও চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রযুক্তিবিষয়ক উচ্চমানের গবেষণাপত্র আইট্রিপলি ট্রান্সাকশন অন মেডিকেল ইমেজিংয়ে ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত গবেষণার জন্য পুরস্কার লাভ করেন। এ ছাড়াও তিনি ইউনিভার্সিটি অব ক্যালগেরিতে অসাধারণ গবেষণাকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ গত বছর সম্মানসূচক জেবি-হাইন গবেষণা-উদ্ভাবন পুরস্কার লাভ করেন।
৪৮ / সায়মান মিয়া - অলিম্পিক স্মারক মুদ্রার নকশাকার
অলিম্পিকের মতো বড় আসরে কোনো স্মারক মুদ্রা থাকবে না, তা কি হয়! সে হিসাব থেকে ২০১২ লন্ডন অলিম্পিক ও প্যারা-অলিম্পিক নিয়েও স্মারক মুদ্রা করারপরিকল্পনা গ্রহণ করে ব্রিটিশ মুদ্রা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান দ্য রয়েল মিন্ট। তবে এই মুদ্রা নকশার জন্য অভিনব একটি উদ্যোগ গ্রহণ করে তারা।
সে জন্য যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আর্ট অ্যান্ড ডিজাইনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আয়োজন করা হয় একটি উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার। এতে বিজয়ী হয়ে ব্যাপক আলোচিত হন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ তরুণ সায়মান মিয়া। কয়েক হাজার নকশার মধ্য থেকে নির্বাচিত হয় তার নকশাটি। সায়মান বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থী। তার নকশা করা অলিম্পিক ২০১২ সালের স্মারক মুদ্রাটি এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে পৃথিবীজুড়ে।
১৯৫৫ সালে ব্রিটেনে আসা সায়মানের বাবা আরজু মিয়া , মা পিয়ারা খাতুন ।
৪৯/ ফাহিম আলম - দাবায় বাংলাদেশি কিশোরের ফ্রান্স জয়
দেশে থাকার সময়ই তার দাবার মেধার কথা জেনেছে দেশবাসী। গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানকে হারিয়ে রীতিমতো সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয় কিশোর দাবাড়ু ফাহিম আলম।
এবার সে তার দাবার মেধার কথা জানিয়ে দিল বিশ্ববাসীকে। ফ্রান্সে অনূর্ধ্ব -১২ দাবা প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশি কিশোর ফাহিম আলম।
গত মাসে জাতীয় ওই প্রতিযোগিতায় জয়ী হয় ১১ বছর বয়সী ফাহিম। তবে অবৈধভাবে বসবাস করায় দেশটি থেকে বহিষ্কারের হুমকিতে রয়েছে ফাহিম। কিন্তু ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া ফাইলন জানিয়েছেন, অবৈধভাবে বসবাসের ফলে বহিষ্কারের হুমকিতে থাকা ফাহিমের স্থায়ীভাবে থাকার মামলাটি পর্যালোচনা করা হবে।
যদি সে চ্যাম্পিয়ন হয়ে থাকে তাহলে তার মামলার বিষযয়টি সর্বাধিক গুরুত্বসহকারে মনোযোগ দিয়ে দেখা হবে। ফাহিম আলম ২০০৮ সালের অক্টোবরে তার বাবার সঙ্গে অবৈধভাবে ফ্রান্সে আসে।
অবৈধভাবে বসবাসের জন্য ২০১০ সালে তাকে সে দেশ ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। ফাহিম একটি সময়ের জন্য অভিবাসী সাহায্যকারী গ্রুপ দ্বারা আশ্রিত হয়। বর্তমানে সে রাজধানী প্যারিসের উপশহর ক্রিটেলে তার দাবা ক্লাবের লজে পরিবার নিয়ে বসবাস করছে। ফরাসি দাবা ফেডারেশন বলেছে, যদি তার বিদেশ ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকে তাহলে সে দেশের বাইরের টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য জাতীয় দলে যোগদান করতে পারবে।
৫০ / যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসে বাংলাদেশের মেয়ে সালিমা
বাংলাদেশের মেয়ে সালিমা মোস্তাফা হাজারো প্রতিকূলতার মধ্যেও স্বপ্ন দেখতে জানেন । রাখেন স্বপ্নকে জয় করার দুঃসাহসী স্পর্ধাও । বাংলাদেশি এই মেয়ে স্থান করে নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসে । সেখানে তিনি ইন্টার্নীশিপ করছেন ।
হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্সিয়াল পারসোনেলে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি । স্টাফদের পরিচয় শনাক্ত করা, নিয়োগ দেওয়া, সরকারি বিভিন্ন বিভাগ ও এজেন্সিতে নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের তত্ত্বতালাশ করা তার কাজ ।
সালিমার বাবা এনএম মোস্তাফা , মা শাকিলা বানু ডাইভারসিটি ভিসার (ডিভি) আওতায় সালিমাকে নিয়ে ২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান ।
লিঙ্ক এখানে
পূর্বের সব পোস্টের লিঙ্ক এখানে
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২৮