প্রবাসে বাংলাদেশের রক্তের উত্তরাধিকারী গুণীগন- ৩৮,৩৯,৪০,৪১,৪২ ।
৩৮/ অস্ট্রেলিয়ান মিনিস্টার অ্যাওয়ার্ড জয়ী সারা হোসেন ।
অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মিনিস্টার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে বাংলাদেশের মেয়ে সারা হোসেন।
সিডনির এপিং ওয়েস্ট পাবলিক স্কুলের ছাত্রী সারা হোসেনই প্রথম বাংলাভাষী যে সম্মানজনক এ পুরস্কার লাভ করল।
অস্ট্রেলিয়ায় বাঙালিদের বাসস্থান গড়ার প্রায় পঞ্চাশ বছর হলেও কারো মিনিস্টার অ্যাওয়ার্ড পাওয়া এটাই প্রথম।
ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ায় এটিই সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার।
এ বছর ৬০টি সম্প্রদায়ের ভাষার মধ্যে ৩০ হাজার ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে প্রথম দশজনের মধ্যে ঠাঁই পায় সারা।
৩৯/ বৃটেনের শীর্ষ ধনী ইকবাল আহমদ
বৃটেনের শীর্ষ ধনীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন কৃতি সন্তান ইকবাল আহমদ ।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইকবাল আহমদ বৃটেনের এক হাজার ধনীর তালিকায় ৪৬৬তম স্থান পেয়েছেন।
তার সম্পদের পরিমাণ প্রায় ২০৫ মিলিয়ন পাউন্ড ।
ইকবাল আহমদ ওবিই ২০০৬ সালে সর্বপ্রথম সানডে টাইমসের তালিকায় বৃটিশ বাংলাদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে উঠে আসেন। বৃটেনের শীর্ষ ধনীর তালিকায় সে বছর ৫১১ নম্বর স্থান দখল করেন তিনি। তার সম্পদের পরিমাণ উল্লেখ করা হয় ১১০ মিলিয়ন পাউন্ড। এরপর ২০০৯ সালে এশিয়ার ২০ ধনীর তালিকায় উঠে আসেন সফল ব্যবসায়ী ইকবাল আহমদ।
সিলেটের কৃতি সন্তান ইকবাল আহমদ ১৯৭১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে বৃটেনে এসেছিলেন ।
বৃটেনের ওয়েস্ট মিনিস্টারের সিটি কলেজ থেকে ১৯৭৭ সালে লেখাপড়া শেষ করে জড়িয়ে পড়েন পারিবারিক ব্যবসায় । গড়ে তুলেন সী মার্ক ও ইবকোর মতো সফল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান । বর্তমানে তিনি পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন ম্যানচেস্টারে ।
৪০/ ইটালির কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম ডিগ্রী প্রাপ্ত তাহমিদা ইসলাম তানিয়া
বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত সিসিলির কৃতি শিক্ষার্থী তাহমিদা ইসলাম তানিয়ার কৃতিত্ব গোটা ইটালির বাংলাদেশী প্রবাসীদের মুখ উজ্জল করেছে। পালেরমো সিটি মেয়র তার এই কৃতিত্বের জন্য সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেছেন।
১৯৯৫ সালে ৬ বছর বয়সে বাবা মায়ের সাথে ইতালিতে আসে তানিয়া।
তানিয়া স্কুলের পড়ালেখা শেষে ২০০৭ সালে ভর্তি হন (Universita degli studi palermo Facoltà di Architettura) corso di laurea in pianificazione territoriale urbanistica & ambiente। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হিসেবে তানিয়াই প্রথম বাংলাদেশী ।
২০১৩ সালে তানিয়া অর্জন করেন তার কাঙ্খিত সাফল্য। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘আরবান প্লানিং অ্যান্ড এনভায়রোনমেন্ট’ ডিগ্রী লাভ করেন।
৪১/ অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি শাকির করিম এর ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১৫ লাভ ।
অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি শাকির করিম শিক্ষা, পেশা ও গবেষণার জন্য অস্ট্রেলিয়া–বাংলাদেশ ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১৫ ক্যাটাগরি অব দ্য বেস্ট অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ইন দ্য প্রফেশন্যাল অ্যান্ড ওয়ার্কস পেয়েছেন ৷
অস্ট্রেলিয়া করপোরেট ইন্ডাস্ট্রিতে সফল পেশাজীবী যাঁরা শিক্ষা, পেশা, সংস্কৃতি অথবা খেলাধুলায় গত বছর অসামান্য অবদান রেখেছিলেন, শুধু তাঁদেরই এ পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়ে থাকে।
শাকির দ্য গোল্ডেন কি ইন্টারন্যাশনাল অনার সোসাইটি এশিয়া-প্যাসিফিক পিজি স্টাডি অ্যাওয়ার্ড ২০১৪ এবং ২০১৩ সালে ইনস্টিটিউট অব কমার্স থেকেও সেরা প্রশিক্ষকের পুরস্কার পান৷
তিনি বর্তমানে সিডনী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারনেট সিকিউরিটি বিষয়ে পিএইচডি করছেন ৷
শাকিরের পিতা বাংলা একাডেমির সাবেক পরিচালক এ এস এম এনায়েত করিম , মাতার নাম কামরুন নাহার ।
৪২/ কৃত্রিম কিডনি আবিষ্কারক বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ড. শুভ রায়
এবার কৃত্রিম কিডনি আবিষ্কার করে বিখ্যাত হলেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ড শুভ রায়। আর কয়েক বছরের মধ্যেই তাঁর আবিষ্কৃত এই কিডনি মানবদেহে ব্যবহার করা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার সহযোগী অধ্যাপক শুভ রায় ১০ বছরের গবেষণার পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে কৃত্রিম কিডনি তৈরি করে তা অন্য প্রাণীর দেহে প্রতিস্থাপন করে সফল হয়েছেন ঘোষণা দেন । আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আরো ব্যাপকভাবে বিভিন্ন প্রাণীদেহে পরীক্ষার পর মানবদেহে এই কৃত্রিম কিডনি ব্যবহার করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তিনি।
দেশগুলোর মানুষই যে এর সেবা পাবে এমন নয়, বাংলাদেশ ও ভারতের মতো দেশেও গুরুতর কিডনি রোগীরা সহজে কৃত্রিম কিডনি নিজের শরীরে প্রতিস্থাপন করতে পারবেন।
বিজ্ঞানী ড.শুভ রায় ১৯৬৯ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার রোসাংগিরিতে ।
(পোস্টের কলেবর বৃদ্ধি না করে ড শুভ রায় এর বর্ণাধ্য শিক্ষা , কর্ম ও সন্মাননা প্রথম কমেন্টগুলিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । )
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৮