প্রবাসে বাংলাদেশের রক্তের উত্তরাধিকারী গুণীগন-১৭ (সকল পর্বের লিঙ্ক নিচে)
নিকট অতিতে ডেল্টা এয়ারলাইনসে নাইজেরিয়ার এক সন্ত্রাসী আন্ডারওয়্যারে পাউডার-জাতীয় বিস্ফোরক পরিবহণ করছিল ।অল্পের জন্য ভয়াবহ বিস্ফোরণ থেকে প্রানে বেঁচে যান শত শত যাত্রী ।
সন্দেহ জনক আচরণের জন্য সে গ্রেফতার হয় । অথচ প্রচলিত যন্ত্র এই বিস্ফোরক সনাক্ত করতে পারেনি । বর্তমান সময়ে সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে গিয়ে সারা বিশ্বে বিলিয়ন ডলার খরচ করা হচ্ছে ।
মেটালিক কোনো বিস্ফোরক হলে তা যে কোনো জায়গাতেই ধরা পড়ে যায় । তবে এখন বিভিন্ন কেমিক্যাল পাউডারসহ রাসায়নিক বিস্ফোরকের প্রাদুর্ভাব ও ব্যবহার দিন দিনই বাড়ছে । যা প্রচলিত যন্ত্র সনাক্ত করতে পারছেনা ।
পৃথিবীর ঝানু নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা যখন বিষয়টা নিয়ে গলদঘর্ম হচ্ছেন ঠিক এমত সময়ে, সময়ের প্রত্যাশিত সর্বশেষ নিরাপত্তা প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিস্ময় সৃষ্টি করেছেন এক বিজ্ঞানী । কোনো মানুষের শরীরে বিস্ফোরকের ক্ষুদ্র উপস্থিতি থাকলেও এ প্রযুক্তির মাধ্যমে তা ধরা পড়বে । যা বর্তমানে সন্দেহজনক ব্যাক্তিকে এক্স-রে মেশিনের সাহায্যে এক্স-রে করে সনাক্ত করা হয় ।
এই নিয়ে বিজ্ঞানীকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলছে তোলপাড়। মূলধারার বিভিন্ন মিডিয়ায় এখন তাকে নিয়েই আলোচনা-পর্যালোচনা ।
যন্ত্রটির নাম স্পেকট্রোমিটার ।
আবিষ্কারক বিজ্ঞানী ড. আনিসুর রহমান , একজন বাংলাদেশী ।
তিন লাখ ডলার মুল্যের , ড. আনিসুর রহমানের এ প্রযুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ ব্যাবহার করছে । নিউজার্সির একটি কোম্পানির মাধ্যমে এ প্রযুক্তি ইতোমধ্যে সৌদি আরব, ভারতসহ যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে ।
তবে রাশিয়া, ইরানসহ যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু তালিকায় নয়, এমন কোনো দেশের কাছে এ প্রযুক্তি বিক্রি করা যাবে না বলে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ থেকে ইতোমধ্যে রপ্তানিকারক কোম্পানিকে শর্ত আরোপ করা হয়েছে ।
বর্তমানে পেনসিলভানিয়ার হেরিসবার্গের অধিবাসী ড. আনিসুর রহমানের বাড়ি বাংলাদেশের পাবনায় ।
দেশে অবস্থানকালে তিনি বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের সাইন্টিফিক অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন ।
যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনে অবস্থিত মার্কেট ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি লাভের পর পেনসিলভানিয়ার অ্যাপ্লাইড রিচার্স ফটোনিক্স কোম্পানির সিইও হিসেবে যোগদান করেন তিনি ।
বাংলাদেশি এই কৃতী বিজ্ঞানীকে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসাও বিশ্বের সেরা ৫০ বিজ্ঞানীর তালিকায় স্থান দিয়েছে । এর স্বীকৃতি হিসেবে নাসা ড. আনিসুর রহমানকে ফেলো হিসেবে মনোনীত করেছে ।
পূর্বের পর্ব সমুহ-
১/ রাশিয়ার শ্রেষ্ঠ জিমন্যাস্টিক রিতা
২/ ওবামার উপদেষ্টা , বিজ্ঞানী ড. এন নীনা আহমাদ
৩/ কানাডার ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট ও ভাইস চ্যান্সেলর ড. প্রফেসর অমিত চাকমা ।
৪/ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জাপানি সুপার মডেল রোলা ।
৫/ বাংলাদেশি মেয়ে প্রিয়তি যখন 'মিজ আয়ারল্যান্ড' ।
৭/ ইউটিউব এর প্রতিষ্ঠাতা জাভেদ করিম।
৮/ বিশ্বের সেরা ৫০ উদ্যোক্তার একজন সুমাইয়া কাজী
৯/ পৃথিবীতে প্রেরণার আলোক ছড়ানো সাবিরুল
১০/জাতিসংঘের আন্ডারসেক্রেটারি জেনারেল আমিরা হক ।
১১/ সৌদি আরবের শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম
১২/ মার্কিন সেরা সংবাদ প্রযোজক তাসমিন মাহফুজ
১৩/ কাতার আমিরের উপদেষ্টা ডক্টর হাবিবুর রহমান ।
১৪/ ইউরোপে নিউক্লিয়ার গবেষণায় প্রথম বাংলাদেশি অনন্যা ।
১৫/ যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যুৎশক্তি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট -আরশাদ মনসুর
১৬/ কৃত্রিম মানব ফুসফুসের উদ্ভাবক; জিনবিজ্ঞানী আয়েশা আরেফিন টুম্পা
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১২