স্বীয় মেধা আর যোগ্যতার বিকাশ ঘটাতে বাংলাদেশীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সারা বিশ্ব ।
যথাযথ ক্ষেত্র পেলে এঁরা নিজের যোগ্যতা প্রমানে কখনও পিছপা হয় না । তারই প্রমান বাংলাদেশের মেয়ে মাকসুদা আখতার প্রিয়তি, যিনি নিজের সৌন্দর্য ও মেধার সমন্বয়ে জয় করেছেন আয়ারল্যান্ড।
আয়ারল্যান্ড-এর ৭০০ সুন্দরীকে পেছনে ফেলে 'মিজ আয়ারল্যান্ড'-এর মুকুট ছিনিয়ে নিয়ে প্রিয়তি পেয়েছিলেন 'মিজ ইউনিভার্স' প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ।
এছাড়া একই সাথে লন্ডনে অনুষ্ঠিত ''ইউকে টপ মডেল'' প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের জন্যও তিনি মনোনীত হন । 'মিস আয়ারল্যান্ড'-এর পাশাপাশি মাকসুদা জয় করে নিয়েছেন আয়ারল্যান্ড 'সুপার মডেল' ও 'মিস ফটোজেনিক' খেতাব।
বাংলাদেশে থাকতেও মডেলিং এর সাথে জড়িত মাকসুদা, বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সৌন্দর্য্য প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন করেন ।
বাংলাদেশের এই গুণী মুখ মাইক্রোসফট সার্টিফাইড সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করেছেন । এর আগে তিনি উচ্চতর ডিপ্লোমা করেন অর্গানাজেশন ডেভেলপমেন্টের উপর ,সাথে কমপ্লিট করেন বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ব্যাচেলর ডিগ্রি ।
এত কিছুর পরেও নিজের অবস্থানে তৃপ্ত নন প্রিয়তি । সিদ্ধান্ত নেন চ্যাল্যাঞ্জিং কিছুতে আত্বনিয়োগ করার ,পেশা হিসাবে নিতে চান এয়ার বাস চালনা ,তাই এখন প্রশিক্ষন নিচ্ছেন বিমান চালনার ।
পড়াশোনার পাশাপাশি দুটি ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানিতে ফুলটাইম কাজ করেন প্রিয়তি।
আয়ারল্যান্ডের কয়েকটি সিনেমায় ইতোমধ্যে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের প্রিয়তি।
আইরিশ পরিচালক কায়রন ডেভিস পরিচালিত ওয়ান্ডারল্যান্ড ছবিতে তিনি চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন । এ ছবিতে তাঁকে পুরোপুরি বাঙালি সাজে দেখা যাবে । এ বছরের মাঝামাঝি ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা ।
ঢাকার ফার্মগেটে বেড়ে উঠা প্রিয়তির বাবা - আব্দুর রশিদ ,মাতা - মোহছেন আরা । দুজনেই গত হয়েছেন ।
প্রথম স্কুল :মর্নিং গ্লোরি কিন্ডার গার্টেন স্কুল , ঢাকাতেই কলেজ জিবন শেষ করে উচ্চশিক্ষার্থে আয়ারল্যান্ড গমন ।
বর্তমানে দু সন্তান নিয়ে তিনি স্থায়ী ভাবেই আয়ারল্যান্ডে বসবাস করছেন ।
গত বছর তিনি একটি অলাভজনক সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে বাংলাদেশে এসেছিলেন।
বাংলাদেশের তরুন প্রজন্ম নিয়ে দারুন আশাবাদী প্রিয়তি । এই প্রজন্মকে অনেক বেশি মেধাবী, স্মার্ট ও যেকোনো চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত বলে মনে করেন তিনি ।
সব কিছু ছাড়িয়ে আপাতত দুটি স্বপ্ন নিয়ে আত্ববিশ্বাসের সাথে এগিয়ে যাচ্ছেন মাকসুদা আখতার প্রিয়তি । প্রথমত কমার্শিয়াল এয়ারবাস পাইলট হওয়া দ্বিতীয়ত একজন খ্যাতিসম্পন্ন আন্তর্জাতিক মডেল হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা ।
সাফল্যের প্রত্যাশায় সংকীর্ণতাকে টপকে ,লক্ষ্যের দিকে দৃঢ় পায়ে ছুটে চলা , মাকসুদা আখতার প্রিয়তির জন্য রইল শুভ কামনা ।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৫২