somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

৯ হাজার সদস্য বিশিষ্ট হিন্দু পেজের মিথ্যাচার দেখেন।হাতে নাতে প্রমান দিচ্ছি

২৮ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :







আজকে একটি হিন্দু পেজে এই লেখাটা দেখলাম।লেখাটা দেখে দারুন কৌতূহল হল এবং তা বিশ্লেষণের প্রয়োজন বোধ করলাম। তা আসুন লেখাটা আমরা সামান্য একটি বিশ্লেষণ করে দেখি

লেখাটা বিশ্লেষণের আগে আমি কয়েকটা কথা বলতে চাই।প্রথমত ভাল করে খেয়াল করে দেখুন লেখাটা ৩ ঘন্টা আগে লেখা এবং এতে লাইক পড়েছে ১০১ টা,সেই সাথে শেয়ার হয়েছে ২৪ বার

এইবার আমার দ্বিতীয় স্ক্রীনশটের একদম নিচে দেখুন মূল লেখাটা যে লেখেছে তার নাম হচ্ছে সাদিয়া সুমি ইজ্জা।আপাতত মনে হচ্ছে ঐটা একজন মেয়ে লিখেছে যার নাম সাদিয়া সুমি ইজ্জা

তো আসুন আমরা এইবার লেখাটা একটু বিশ্লেষণ করে দেখি।



উপরের কথাগুলো খেয়াল করুন এবং আমার বিশ্লেষণের সাথে মেলান


প্রথমে উনি বলসেন,উনি ক্লাস নাইনে ছিলো তখন ও আব্বুর সাথে নামাজ পড়তে গিয়েছিলো।এইখানে আমার কথা হচ্ছে মেয়েরা কবে থেকে আব্বার সাথে নামাজ পড়তে যায় তাও আবার ক্লাস নাইনে থাকতে :-/

ছোট ছেলে কিংবা মেয়েকে আব্বারা মসজিদে নামাজ পড়তে নিয়ে যায়।এমনকি যে সমস্ত মেয়েদের বয়স ৫-৬ বছর অনেক পিতা সে সমস্ত মেয়েদেরও মসজিদে নিয়ে যান।যারা মুসলিম এবং মসজিদে যান তারা হয়তো ব্যাপারটা খেয়াল করেন প্রায়ই।তবে ক্লাস নাইনে পড়া বড় মেয়েকে কেউ মসজিদে নিয়ে যায় কি না এটা আমি অবশ্য কোনদিন দেখি নাই :)

এইবার দ্বিতীয় কথাটা খেয়াল করেন।উনি লিখছেন বৃষ্টি কমার অপেক্ষায় উনি এবং উনার আব্বু ছাউনির নিচে দাড়ায়ে ছিলো।

এখানে আমার কথা হচ্ছে নামাজ তখনও শুরুই হয় নাই।উনাদের উচিৎ ছিলো ওযু করে মসজিদের ভেতরে নামাজ শুরুর অপেক্ষায় বসে থাকা।তা না করে উনারা ছাউনির নিচে বৃষ্টি কমার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলো।জানি না উনাদের জুতা চুরি টাইপের কোন মতলব ছিলো কি না :|


তারপরে উনি লিখেছেন,উনি দেখলো ৩-৪ বছরের একটা বাচ্চা মেয়ে মসজিদের সিড়িতে বসে আছে।এমন টাইমে দেখলো একজন মুমিন এসে বাচ্চাটাকে কি যেন বলছে।কাছে গিয়ে উনারা দেখলো যে বাচ্চাটাকে সেই লোকে কিছু বলছে না,খিস্তি করছে মানে সেখান থেকে চলে যাওয়ার জন্য গালাগাল দিচ্ছে

এখানে আমার কথা হচ্ছে একটা ৩-৪ বছরের বাচ্চা মেয়ে অনেক দূরের বস্তি থেকে কিভাবে এতদুরের মসজিদে আসলো?তার বাবা-মার চোখ ফাঁকি দিলো কিভাবে?আর একজন মুসল্লিকে উনি মুমিন বলে সম্বোধন করলো কেন?তারপরে খিস্তি(গালি) কথাটা আমার জানা মতে বাংলাদেশের মানুষ তেমন একটা ব্যাবহার করে না।এটা পশ্চিম বাংলার হিন্দুরা ব্যাবহার করে।তারমানে বোঝা যাচ্ছে উক্ত লেখাটা যে লেখেছে তার বাড়ি পশ্চিমবাংলায় হতে পারে এবং সে হিন্দু


তারপরও খেয়াল করুন উক্ত মহিলারুপী লোকে সে বাচ্চা মেয়েটার নাম জিজ্ঞেস করলো।বাচ্চাটা বললো তার নাম সুমিতা।এইটা শুনার পরে উক্ত লোকটা ৪৪০ ডিগ্রি খেপে গেল এবং সে বাচ্চা মেয়েটাকে "শালী মালাউন" বলে জুতা খুলে মারধর করা শুরু করলো।লেখক লোকের এইটা দেখে খুব খারাপ লাগলো এবং সে এইটা বাধা দিতে চেয়েও নাকি বাধা দিতে পারে নি কারন তার বাবা তাকে ঐখানে যেতে দেয় নাই

এইখানে আমার কথা হচ্ছে,সুমিতা নাম শুনে ঐ লোকটা কিভাবে বুঝলো বাচ্চটা হিন্দু?আমার নিজের একজন বন্ধুর নাম হচ্ছে সুমিত কিন্তু সে মুসলিম।বাংলাদেশে সম্পূর্ণ নাম শুনে বোঝার কোন উপায় নেই যে কে হিন্দু কে মুসলিম,নিক নেম দিয়ে বোঝা প্রায় অসম্ভব।তারপরও একজন লোক ৩-৪ বছরের একটা বাচ্চাকে জুতা দিয়ে মারার সম্ভাবনা কতটুকু হতে পারে?তারউপরে সে বাচ্চাটা একটা মেয়ে।লেখক বা লেখিকার অনেক খারাপ লাগলেও তার বাবা নাকি তাকে সেখানে যেতে দিচ্ছিলো না।কিন্তু সে তো বাচ্চাটার কাছে গিয়ে তার নাম জিজ্ঞেস করছিলো,তাই না?তাইলে আবার সে কতকাছে যেতে চায়?একদম সাথে থেকেও বাধা দিলো না আবার বলে তার আব্বা নাকি যেতে দিচ্ছিলো না ।একটা বাচ্চাকে বাচাবে সেটা নাকি গুনাহ হয়ে যাবে?তা মাননিয় লেখক ভাই কোরআন বা হাদিসের কোথায় লেখা আছে ৩-৪ বছরের একটা বাচ্চাকে বাঁচালে গুনাহ হবে?এগুলো তো হিন্দু ধর্মের প্রথা যে নিম্মবর্ণের কাউকে মন্দিরে নিলে পাপ হয়।আপ্নে যে একজন ছুপা হিন্দু তা আপনার এই লেখায় কিন্তু বোঝা যাচ্ছে ;)


নামাজের পরে সে এসে দেখে বাচ্চাটার মাথায় রক্ত ঝড়ছে এবং সে ইমামকে বলে বাচ্চাটাকে মসজিদে নিতে।কিন্তু ইমাম বলে এতে নাকি মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট হয়ে যাবে :D
তার নাকি বিশ্বাসি হতে পারছিলো না এই কথা শুনে :-/


আমার কথা,ভাই আমার নিজেও বিশ্বাস হইতেছে না আপ্নে নাটক বানাইতে এত কাঁচা :(( ।ইমাম আপনাকে বলছে এই রক্ত ঝড়া বাচ্চকে নিলে মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট হবে :-*
লেখক যে একজন হিন্দু তা খুব সহজেই বোঝা যাচ্ছে।আবারও বলি,এই ধরনের পবিত্রতা নষ্ট হওয়ার ব্যাপার মন্দিরে থাকতে পারে,মসজিদে নেই।আর একজন ইমাম সব সময় চাইবে একজন বিধর্মী লোক যেন মুসলিম হয়।তাই একজন বিধর্মী আহত হলে সে অবশ্যই মসজিদে নিয়ে তাকে সেবা করতে চাইবে যেন সে বিধর্মী মুসলিম হয়।আমার লেখা কোন মুসলিম পড়লে এর সত্যতা নির্ণয় করতে পারবে।আর তাছাড়া আপনার উচিৎ ছিলো বাচ্চাটাকে একটা হসপিটাল কিংবা ফার্মাসিতে নেওয়া যাতে করে সে প্রাথমিক চিকিৎসা পায়,ইমামের কাছে অনুরোধ করা না।এতেও বুঝা যাই এই কাহিনী ফেক।ইসলাম বিদ্বেষী উগ্রবাদী হিন্দুদের বানানো কাহিনী

যাক তারপরে খোজ-খবর নিয়ে জানতে পারলো সেই মেয়েটা নাকি মারা গেছে এবং এরপর থেকে সে ধর্মকে কবর দিছে এবং আরও আগ্রম-বাগ্রম কাহিনী


আমার কথা এখানে,আপনার ধর্মকে না,আপনার উচিৎ ছিলো মানবতাকে কবর দেওয়া।আপনার সামনে একটা ৩-৪ বছরের বাচ্চা মাইর খেল আর আপ্নে কিছুই করতে পারলেন না?তাইলে আপনার মত মানুষের এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকা কুনু দরকার নাই :|

এইখানে আরও একটা কথা হইলো,উনি ধর্মকে কবর দিতে চান।আবার ৯ হাজার সদস্যর একটা ধর্ম ভিত্তিক পেজেই সে নিয়ে পোস্ট দিলো।কি আজব না :D

না এইগুলো আজব না।কারন ঐ লেখার পেছনে যে ব্যাক্তি এবং ঐ হিন্দু পেজের পেছনে সে ব্যাক্তি তারা উভয়ে একই ব্যাক্তি।এই হিন্দু বীর যুব সংঘ পেজটার এখন বর্তমানে লাইকেই সংখ্যা ৯ হাজারের বেশী।এই পেজটার প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডমিনের নাম সৌমিত্র মজুমদার।এই সাদিয়া সুমি উজ্জা আইডিটা হচ্ছে ফেসবুকের একটি পপুলার ফেক আইডি।যেই আইডির স্রষ্টাও সৌমিত্র মজুমদার,মিঠাপুকুর,পিরোজপুর।বর্তমানে খুলনার গাজি মেডিকেলে পড়ে সে।সম্ভবত বাংলাদেশের ইসকান নামক কোন সংগঠন এই সমস্ত ইসলাম বিদ্বেষী কর্মকান্ডকে অর্থ সহায়তা দেয়।এই উগ্রবাদী হিন্দুদের হাতে বেশ কয়েকটা মুসলিম মেয়ে আইডির জন্ম হয়েছে ফেসবুকে।যার একটি হচ্ছে সাদিয়া সুমি ।আমি এই রকম ১৬ টা মুসলিম মেয়ে রুপী ফেক আইডিকে নিয়ে একবার সামুতে পোস্ট দিয়েছিলাম এইখানে

সাদিয়া সুমি মালাউন এবং সাদিয়া সুমি উজ্জা ও সাদিয়া সুমি রাসুলিন,সাদিয়া সুমি আল্লাহ্‌ এ রকম নামে আরও বহু আইডি পাবেন ফেসবুকে
।এগুলো সব সৌম্য এবং তার আরও কিছু হিন্দু ফ্রেন্ডের কাজ।আমার আগের পোস্টটা দেবার পরে সৌম্য তার আইডিটা ডিলেট করে দিছে এবং তার বদলে হিন্দু যোদ্ধা নামক এই আইডিটা তৈরি করছে https://www.facebook.com/hindujoddha?fref=ts ।যেটা দিয়ে এখন সে ইসলাম বিদ্বেষী কাজ এবং উগ্রহিন্দুত্ববাদীতা নিয়ে লেখালিখি করে





"আমরা বাংলাদেশের সবাই চাই বাংলাদেশ ভারতের অঙ্গরাজ্য হোক" এই পেজের পেছনেও তারা জড়িত আছে এইখানে


তাদের এই ধরনের কার্জক্রমের ব্যাপারে আমি কিসুই বলতে চাই না।দেশের ক্ষমতায় এখন আছে আম্লিগ।হিন্দুরা আবার সব আম্লিগে ভোট দেয়।আম্লিগ মনে করে মুসলিমরা ভোট দেয় জামাতে।আবার রোকেয়া প্লাচির ভাষায় মুসলিমরা সংখ্যালঘু।যাই ই হোক পোস্ট এখানে শেষ।এই সিধান্ত আপনাদের।মতামত জানাইতে পারেন কমেন্ট এ



সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩২
২০টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩২



"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমিত্ব বিসর্জন

লিখেছেন আজব লিংকন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৮



আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।

"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×