ইয়ে আমি একজন কম বুঝনেওয়ালা মানুষ।সামুর হাম্বা ব্লগারগুলা অবশ্য এই দিক দিয়া অনেক জ্ঞানির কাতারে আছে।হেফাজতের দাবিগুলাতে নারী নারীদের চার দেওয়ালে বন্ধি,গার্মেন্টস এ যেতে দেবে না,লেখাপড়া করতে দিবো না,দেশরে তালেবানি রাষ্ট্র বানাইবো।তো এসেন দেখি হেফাজতের দাবিগুলাতে কি দিয়েছে
১ ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ বর্জন করে ধর্মের শাশ্বত সৌন্দর্যের প্রতি প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্যে সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে ‘মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন করতে হবে।
২।
ভবিষ্যতে সব রকম ইসলাম অবমাননার দুঃসাহস বন্ধ করার স্বার্থে আগ্রাসী নাস্তিক্যবাদ, ধর্মদ্রোহ ও ইসলাম অবমাননার কোন ঘটনাই বিনা বিচারে ও বিনা শাস্তিতে ছেড়ে দেয়ার কোন অবকাশ থাকতে পারে না। সেজন্যই জঘন্য ইসলাম বিদ্বেষের গুরুতর অপরাধে শাহবাগ আন্দোলনের সংগঠক ও নেতৃত্বদানকারী চিহ্নিত নাস্তিক মুরতাদদের সবাইকে গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩।
ইসলামের অবমাননার মধ্য দিয়ে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্যের উস্কানি সৃষ্টির সব রকম উপায় বন্ধ করার উদ্দেশ্যে ইসলাম অবমাননার যে কোন রকম অপতৎপরতা স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হবে। এ লক্ষ্যে আল্লাহ, রাসুল (সা.), কোরআন ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা প্রচাররোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের
বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস করতে হবে
৪।
রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আল্রাহ-বিশ্বাসী ও রাসুল (সা.) প্রেমিক ধর্মপ্রাণ মানুষের ধর্মীয় অধিকারের প্রতি পূর্ণ সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। সে কারণে আল্লাহ-রাসুলের সম্মানহানির চলমান জঘন্য প্রয়াসের বিরুদ্ধে দাবি ও প্রতিবাদ নিয়ে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী আলেম-ওলামা, মাদরাসা ছাত্র ও তাওহিদী জনতার ওপর সব রকম হামলা-মামলা, দমন-নিপীড়ন, নির্বিচার গুলিবর্ষণ এবং হত্যাকান্ড বন্ধ করতে হবে। চলমান আন্দোলনে সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারপক্ষীয় সন্ত্রাসী দুষ্কৃতকারী কর্তৃক গুলিবর্ষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন ও হত্যাকান্ডের কঠোর বিচার করতে হবে।
৫।
ধর্মীয় অধিকার রক্ষার চেস্টার কারণে এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের রাষ্ট্রীয় আয়োজনে কষ্ট দেয়ার সব নিন্দনীয় চেষ্টা বন্ধ করতে হবে। সে কারণেই ইসলাম অবমাননার বিরুদ্ধে সংঘটিত আন্দোলন-বিক্ষোভে গ্রেপ্তারকৃত সব আলেম-ওলামা, মাদরাসা ছাত্র ও তাওহিদী জনতাকে মুক্তি দিতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে
৬।
পৃথিবীর কোন মসজিদেই নামাজ, ইবাদত, দোয়া করতে কোন রকম বাঁধা দেয়া হয় না। মুসলিমপ্রধান দেশে তো এমন প্রতিবন্ধকতার কথা কল্পনাও করা যায় না। অথচ এদেশের জাতীয় মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে নামাজ আদায়ে সরকারি উদ্যোগে বিধি-নিষেধ ও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে। সব মসজিদে নামাজসহ ইবাদত, আমল, ওয়াজ নসিহত ও ধর্মীয় কার্যকলাপের ক্ষেত্রে সব ধরনের বাঁধা প্রদানের চেষ্টা বন্ধ করতে হবে
৭।
মুসলমানদের জন্য তাদের নিজস্ব মূল্যবোঁধ-সংস্কৃতিই অনুসরণীয়। অপসংস্কৃতিতে একাত্ম হওয়ার সুযোগ তাদের নেই। তাই ব্যক্তি ও বাক স্বাধীনতার নামে সব ধরনের ধর্মদ্রোহ, চিন্তা ও আচরণগত অনাচার, বেহায়াপনা, অশ্লীলতা, নারী-পুরুষের অবাঁধ মেলামেশা, ব্যভিচার, জাতীয় পর্যায়ে মঙ্গলপ্রদীপ জ্বালানোসহ অপসংস্কৃতি, বিজাতীয় ও ভিন্নধর্মীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে
৮।
খতমে নবুওয়াতের আদর্শে ছুরিকাঘাতকারী কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে সব সময় ইসলাম বিদ্বেষী ও ইসলামের বিনাশকামী শক্তির মিত্র হিসেবে প্রকাশ্যে ও গোপনে সক্রিয় থাকা। ইসলামবিনাশী কর্মকান্ড থেকে তাদের রুখে দেয়ার প্রয়োজনে অবিলম্বে তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। বন্ধ করতে হবে তাদের ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতা এবং নিষিদ্ধ করতে হবে তাদের সব প্রচারণা ও প্রকাশনা। একই সঙ্গে বন্ধ করতে হবে তাদের জন্য ইসলাম ধর্মীয় পরিভাষার ব্যবহার। আর সর্বাত্মকভাবে তাদের পণ্য (প্রাণ, আরএফএল, সিজান) বর্জন করতে হবে
৯।
এই দেশে বাছ-বিচারহীনভাবে পৌত্তলিক সংস্কৃতি অনুপ্রবেশ ঘটানোর চেষ্টায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে। এজন্যই মসজিদের নগরী ঢাকাকে মূর্তির নগরীতে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটির ক্যাম্পাসে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করতে হবে
১০।
এই মহাসমাবেশ এদেশের সব আইন ও নীতির ক্ষেত্রে ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক অবস্থান পরিহারের জোরালো আহ্বান রাখছে। এ কারণেই ধর্মহীন শিক্ষানীতি ও ইসলাম বিরোধী নারীনীতি বাতিলের দাবি জানাচ্ছে। একই সঙ্গে ঘোষণা করছে যে, শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলামী শিক্ষাকে বাঁধ্যতামূলক করতে হবে
১১।
এদেশের স্বাধীন ও খালিছ ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র কওমি মাদরাসাগুলোকে স্বাধীনভাবে দ্বীনী খেদমত করে যাওয়ার সুযোগ দিতে হবে। তাই সারাদেশের কওমি মাদরাসার ছাত্র, শিক্ষক, ওলামা-মাশায়েখ এবং মসজিদের ইমাম খতিবকে হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি প্রদান বন্ধ করাসহ তাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত সব ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে
১২।
এই সমাবেশ কঠোরভাবে ইসলামের প্রতীক এবং ইসলামের চিহ্ন ও চরিত্র নিয়ে বিদ্রুপ ও তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার সব রকম তৎপরতার নিন্দা করছে। একই সঙ্গে ঘোষণা করছে যে, রেডিও টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দাড়ি-টুপি ও ইসলামী কৃষ্টি-কালচার নিয়ে হাসি-ঠাট্টা এবং নাটক সিনেমায় খল ও নেতিবাচক চরিত্রে ধর্মীয় লেবাস পোশাক পরিয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মনে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ করতে হবে
১৩।
মুসলিম প্রধান এই দেশে সব রকম ষড়যন্ত্রমূলক ধর্মান্তরকরণ ও মিশনারি তৎপরতা, জাতিসত্বা ধ্বংস ও দেশের নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক ক্ষতি ডেকে আনবে। তাই মহাসমাবেশ ঘোষণা করছে যে, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত এনজিওগুলোর অপতৎপরতা এবং খ্রিষ্টান মিশনারীদের ধর্মান্তরকরণসহ সব অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে
আমি নিজেই আবারও দূরবীক্ষণ লাগায়া গুগল দিয়া নারী শব্দটা সার্চ করলাম।সেখানে দুই স্থানে নারী শব্দটা পাইলাম।তারমাঝে একটা দেখেন পয়েন্ট ৭ এ বোল্ড করা জায়গায় স্পট দেখা যাইতেছে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা বন্ধ করতে বলছে তারা অ্যান্ড সেকেন্ড নারী শব্দটা পাইলাম ১০ পয়েন্ট এ ইসলাম বিরোধী নারীনীতি বাস্তবায়নের বিরোধিতা করছে তারা।এখন এইখানে আমার প্রশ্ন
১ নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা সমর্থন করেন নাকি হাম্বারা ?
২ ইসলাম বিরোধী নারীনীতি সমর্থন করেন ?
আর হাম্বারা এই যে নারী নারী নিয়া এত গলা বাজাইলেন এইখানে গার্মেন্টস বন্ধ,নারীদের জীবিকা বন্ধ,চার দেওয়ালে বন্ধি এই শব্দগুলার মিথ্যা ব্যাবহার কি এই প্রমান করে নিজের দেহ থেকে বর্জ্য ত্যাগ করে সেটা খাওয়া?
ওয়েল হাম্বারা সবই পারে
সরাসরি উত্তর দিয়েন পারলে হাম্বারা