গাজীপুরের এই জঙ্গলে ঘেরা এলাকায়
অবস্থান করছি তিন চার ঘন্টা হলো ৷মনে মনে ডিপার্টমেন্টের হর্তাকর্তাদের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করছি, আর কোন জায়গা কি বাংলাদেশে নাই,এখানে দেখার কি আছে ৷ মনের কথা যে কখন মুখ দিয়ে বেরহয়ে গেলো টের পেলাম না ৷ বন্ধুবর আলীম চেচিয়ে উঠলো"তুই সারাটাজনম এরকম করলি"আমিতো অবাক ,তা হলে কথাগুলো বাস্তব জগতেই বলেছি,,-সারাজনম মানে!তোর সাথে পরিচয় ,সেতো কয়েকবছর,সারা জীবন কই পাছ,,পেছনে ফিরে দেখি আলীম পান্জাবী পরেছে,সাদা রংয়ের ৷ যাক যে লোক বছরে পান্জাবী পরে দুইবার ,সে আজ পান্জাবী পরেছে,তার সাথে আর ঝালেমা চলে না ৷ কি ..ভাবছেন বানান ভুল,একদম না,আলীম ঝামেলা বলতে পারে না, ঝলেমা বলে ৷বলতে পারেন মুদ্রা দোষ ৷ সাদা পান্জাবীতে ওকে তেমন একটা সুবিধার মনে হচ্ছে না ৷ মনে হচ্ছে কালো তালগাছের মাথা বাদে বাকিটুকু সাদা রং করা ৷ হলুদ নাই বলে কি পান্জাবী পরবো না ,আলীম বলে উঠে, টনক নরে আমার ,দেখি আলীমের
সাথে হাটতে হাটতে একেবারে হুমায়ুন স্যারের কবরের পাশে ৷ যেদিন থেকে রসায়নে ভর্তি হলাম পরের দিন থেকেই স্যার ,যেন পুর্বপরিচিতো, হাত নেরে নেরে পড়াচ্ছেন,আলীম দুই হাত তুলে দয়াময়ের কাছে কি যেন চাইছে, কবরের পাশে দারিয়ে আল্লার কাছে কিইবা চাওয়ার আছে,,আলীমের
চোখে পানি ,কি জানি হয়তো হলুদ পান্জাবীর হিমু হতে পারেনি বলে কাদছে ৷তুই যা আমি একটু থাকি বলেই আলীম আমাকে বিদায় দিয়ে দিলো,,,লেখকও পাগলা, ভক্তও পাগলা, মনে মনে জাবর কাটছি আর হাটছি, ,,,,,,,,,নুহাশপল্লীর মাঠে হাটছি, কিছু ছেলেমেয়ে বৃস্টিবিলাসে নাচছে, কিছু আবার ছবি তোলায় ব্যাস্ত, আরেকদল মাঠের কোনায় শর্ট বাউন্ডারিতে ন্যাস্ত,,,আচ্ছা সবাই কি ভক্ত নাকি ভ্রমন পিয়াসু তাদের কাছে কবরস্থানও যা সমুদ্রও তা ৷অবাক কান্ড শীতের সকালে কুয়াশার চাদরের উপর দিয়ে ঘাসে হাটছি, পায়ের ছাপ পরছে সবার কিন্তু আমারটা পরছে না ,তাহলে আমি কি ভক্ত নাকি অন্যকিছু ৷ না আমি ভক্ত, কিন্তু এখানে আসার ঘোর বিরোধী আমি ,কিংবা আলীমের মতো সাদা হিমুও নই আমি, অথবা নামাজির মতো হাত তুলে ফানাও চাই নি আমি ৷তবে কি ভক্তের পা মাটিতে পরে না,
দৌড়ে গেলাম আলীমের কাছে, দেখি এমন একটা ভাব নিয়ে বসে আছে মনে হচ্ছে হুমায়ুন স্যারের সাথে কথা বলছে ৷ ওর মনোযোগ নষ্ট না করে লিচু গাছতলায় বসা আলীমের ডান দিকে বসলাম ....একি আলীমের পা দুটোও যে শুকনো