কানাডা ইমিগ্রেশন নিয়ে যাঁদের আগ্রহ তাঁরা এ পোস্টটি পড়তে পারেন | পত্রপত্রিকায় দালালরা অনেক সময় তাঁদের ব্যবসায়িক স্বার্থে এ নিয়ে অনেক চটকদারি সংবাদ ছাপানোর ব্যবস্থা করেন, বা বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন | এসব ফাঁদে পা দিয়ে অনেকেই প্রতারিত হন | নিচে কানাডা ইমিগ্রেশনের যে ওয়েবসাইট দিলাম তা ভালোমতো পড়ে দেখুন |
http://www.cic.gc.ca/english/immigrate/skilled/apply-who.asp
ইংরেজি বুঝতে সমস্যা হলে ভালো ইংরেজি জানেন এমন কারো সাহায্য নিয়ে উপরের লিংকে দেয়া তথ্য মনোযোগ দিয়ে পড়ুন | না বুঝে এ কাজে হাত দিলে আপনার অর্থ এবং সময় দুটোই নষ্ট হতে পারে | তাই, আগে ব্যাপারটা বুঝুন ভালো করে | অনেক সময় তথাকথিত ইমিগ্রেশন কনসালটেন্টের উপর দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে অনেক আবেদনকারী নাক ডেকে ঘুমান | সেসব ক্ষেত্রে ওসব "কনসালটেন্ট" এধরণের আবাল ক্লাইন্টদের পেয়ে বসে; ফলে, এসব আবেদনকারীরা সাময়িক নিদ্রা থেকে একসময় পার্মানেন্ট কোমায় চলে যান | এ ধরণের ঘটনা অহরহ |
আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, অনেক যোগ্যপ্রার্থীও কেবল ইংরেজি ভাষার দুর্বলতার জন্য, মানে, IELTS-এ ন্যূনতম স্কোর করতে না পারার জন্য ইমিগ্রেশনের আবেদনে সফল হতে পারেন না | তাই, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব (বারবার পরীক্ষা দিয়ে হলেও) IELTS-এ একটি গ্রহণযোগ্য স্কোর সংগ্রহ করে রাখুন যা পরবর্তীতে কানাডা ইমিগ্রেশনের আবেদনে সুযোগমতো কাজে লাগাতে পারবেন | একবার স্কোর পেয়ে গেলে দু'বছর তা কার্যকর থাকে |
পরিবর্তনশীল চাহিদার উপর ভিত্তি করে মাঝেমাঝেই কানাডা ইমিগ্রেশনের নিয়মকানুনের পরিবর্তন হয় | আজকের নিয়মে কেউ একজন ইমিগ্রেশনের আবেদনের অনুপযুক্ত হলেও কয়েকমাস পরের নিয়মে দেখা যাবে তিনি হয়তো যোগ্য | তাই, উপরের ওয়েবসাইটে নিয়মিত চোখ রাখুন | ইমিগ্রেশন কনসালটেন্ট হিসেবে কারো সাহায্য নেয়ার আগে খোঁজ নিয়ে দেখুন অতীতে আপনার পরিচিত, বা বিশ্বাসযোগ্য কেউ এদের মাধ্যমে সফলভাবে ইমিগ্রেশন পেতে সক্ষম হয়েছিলেন কিনা | এছাড়া অনুমোদিত ইমিগ্রেশন লইয়ার'দের তথ্য ইন্টারনেটেও পাওয়া যায় | তবে আবারো বলি, লইয়ার'এর সাহায্য নিলেও প্রতিটি পদক্ষেপ নিজে বুঝে নিতে যেন না ভুলেন, নইলে তারা আপনাকে হাইকোর্ট দেখাবে |
প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, এক প্রতারক কনসালটেন্টের পাল্লায় পড়েছিলেন আমার এক আত্মীয় বছর দুয়েক আগে | ইমিগ্রেশনের ফরম পূরণ করে টাকাপয়সা নিয়ে আমার সে আত্মীয়কে কনসালটেন্ট বলেছিলেন ঠিক চারমাস পরে খোঁজ নিতে | অথচ, চারমাস পর দেখা গেলো তারা অফিস গুটিয়ে হাওয়া | শুধু তা-ই নয়, IELTS পরীক্ষা দিতে হবে না বলে কিছু বাড়তি ফি ও আমার এ আত্মীয় থেকে আদায় করেছিল তারা | তাই, সাবধান!
আমেরিকা'র ইমিগ্রেশনের সাথে কানাডার এক বড়ো পার্থক্য হলো, আমেরিকায় কেউ একজন সিটিজেন হলে ধীরে ধীরে তাঁর আত্মীয়-স্বজনরা আমেরিকায় চলে যেতে পারেন | কানাডায় ব্যাপারটা তেমন না, এখানে পরিবারের সদস্য হিসেবে স্পনসর করে আনা যায় কেবল স্বামী, স্ত্রী, মা, বাবা, শ্বশুর, শাশুড়িকে | মাঝেমাঝে ব্যতিক্রমী কিছু সুযোগ দেয় কানাডা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ, সে বিষয় আলাদা | কানাডা যাবেন কি আমেরিকা যাবেন সিদ্ধান্ত নিতে এ বিষয়টিও মাথায় রাখুন |
ML Gani on FaceBook
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৫৯