এ ক'দিনে বসন্তের শেষ মিষ্টি বাতাসটুকু উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া উথাল-পাতাল বৈশাখী দিনের শুরু হয়ে গেছে। শুরু হয়েছে নতুন বছরের । শুরু অম্বরে ঘন ডম্বরু বাজানো গ্রীষ্ণকালেরও । পান্তা ইলিশের দিনটিও শেষ হয়ে অপেক্ষার পালা রুদ্র বৈশাখের ।
নিত্যগামী কালের রথে চড়ে পাখির বাসার মতো ঠাস বুনটের প্রকৃতির যে ছবি ঘুরে ঘুরে আসে তাকেই বোধহয় লোকে বলে, ঋতুচক্র । বারোটি মাস জুড়ে চলে পালাবদলের মোড়কখুলে প্রকৃতির নিজেকে মেলে ধরার নৈঃস্বর্গিক খেলা । এই মাটিতে কখনও সে কাঁদে ঝরঝর, কখনও নীলাম্বরী শাড়ীতে নববধূর মতো ঢেকে রাখে শরীর। কখনও বা সোনালী ধানের গন্ধ ভরা গায়ে মেখে নেয় কুয়াশার পরশ । শিহরিত হয় ক্ষনে ক্ষনে । ফুলে ফুলে নিজেকে সাজায় কখনও বা । আর তার শরীরের পরতে পরতে লুকানো মোহময়ী এই লাস্যপঞ্চমী নৃত্যে যখন বছর পার হয়ে যায় তখন নতুন বছরের শুরুতেই ফুঁটে ওঠে তার আর এক রূপ । সে রূপ রুদ্র বৈশাখের মতো চন্ডালিনীর । ক্রোধের আগুনে ঝলসে দেয়া চারিধার ।
এসবই ঋতুচক্রের পৌরানিক কাহিনী ।
এখন ঋতুচক্র আর মান্ধাতা আমলে পড়ে নেই । আধুনিকা হয়ে উঠেছে সে দিনে দিনে । খোলস বদলে বদলে গেছে তার, দ্রুত তালে। মানুষের অবিমৃষ্যকারীতার সাথে নিরন্তর পাল্লা দিতে গিয়ে ঋতুচক্র আজ চরিত্র হারিয়েছে । কখন যে সে কাঁদে , কখনই বা ওঠে রেগে আর কখনই বা লাজনম্র হয় তা বুঝে ওঠা ভার । সে আধুনিকার রঙ ও ঢং এখন আর বারো মাসের ছয় ছয়টি কাল ব্যাপী খন্ডিত চিত্রে আলাদা করে চিত্রিত হয়না । একটা রঙ কখন যে আর একটা রঙে ঢুকে পড়ে খেয়াল রাখতে হয় খুব ভালো করে ।
জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো ......... যুগ যুগ ধরে শোনা এমন কথাটির একটি আবেগীয় অনুভূতির মূর্চ্ছনা দিয়ে লেখাটি শুরু করতে পারলে ভালো হতো । ভালো হতো বলছি এ কারনে যে, এই অনুভূতিটা আজ যে জনে জনে মরে গেছে সেটা যদি না হতো।
এই জনমানুষের নিঠুর থাবার নীচে যে শ্যামলীমার কিছুটা আজও বেঁচেবর্তে আছে , সময়ের পালাবদলে যে নিঃস্বর্গের অপরূপ ছায়া মানুষের অবিমৃষ্যকারীতায় বদলে বদলে গিয়ে এখনও আবছায়া হয়ে ধরা দিয়ে যায় চোখে , বেঁচে থাকার অসম দৌঁড়ে যে মানুষ নামের আত্মীয়গুলো অনাত্মীয় হয়ে কোথায় ভেসে যায় ক্রমে ক্রমে তারই যেটুকু ছবি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এখানে ওখানে , তাই বা কম কিসে !
অনেকেই হয়তো এই কমটুকুরও খোঁজ রাখেন না । মানব থেকে অমানবিক হয়ে যাওয়ার এই সর্বগ্রাসী সময়ের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে গিয়ে কোনও কিছুই হয়তো তার মনে দাগ কাটেনা ।
আর দাগ কাটেনা বলেই, যে কজন মানুষ সর্বগ্রাসী সময়ের এই অভিঘাত সয়েও এখনও “জন্ম আমার ধন্য হলো...” বলতে পেরে ধন্য হয়ে যান লেখাটি তাদের জন্যে ।
আমার এ লেখা নববর্ষের আবাহন নয় । পান্তা ইলিশের আভিজাত্য মাখাও নয় । “ পালা বদলের দিন ” হিসেবে যে লেখার শুরু হয়েছিলো ঝরঝর বাদল দিনের মেঘ মাল্লার সুরে , তার রেশ ধরে এ আমার সমাপ্তির গান -
-----যেন আমার গানের শেষে
থামতে পারি সমে এসে ,
ছয়টি ঋতুর ফুলে ফলে
ভরতে পারি ডালা .....................
( রবীন্দ্রনাথ )
ডালা ভরিয়ে তুলতে পেরেছি কিনা জানিনে তবে লিখতে লিখতে দিনগুলো অনন্ত রাত্রির মতো দীর্ঘ হয়ে পথ চলেছে ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে । পথচলা ক্লান্ত নাবিকের মতো শুকিয়েছে গলা । তেষ্টার জল মেলেনিকো অথচ জলের শরীর ছিলো চৌদিকে । সে জল অঞ্জলি ভরে তুলে এনে তেষ্টা মেটানোর সাধ্য আমার নেই । শেষের এই গানে তাই শুধু দারুন দাহন বেলার কথকতা । গ্রীষ্ণের পাঁচালী - সে কেন মেঘ হয়ে ঘুরে ঘুরে একা একা কথা কয় ! কেন চোখে লাগে তার তৃষ্ণার ঘোর .............
চক্ষে আমার তৃষ্ণা ওগো,
তৃষ্ণা আমার বক্ষ জুড়ে ।
আমি বৃষ্টি বিহীন বৈশাখী দিন
সন্তাপে প্রান যায় যে পুড়ে ...
( রবীন্দ্রনাথ )
বর্ষ শেষের বিদায় বেলায় শেষের এই গান যেন পিঙ্গল মেঘের করুন রাগিনীর সুর তুলে যায় । দিগন্ত জুড়ে মেঘের নাও যেন একা একা বিষাদের আঁচল বিছিয়ে কেঁদে কেঁদে মরে .....
কালের জঠর থেকে খসে পড়ে
একটি নিদাঘ দিন যেন সময় করে ।
খরতাপে পোড়া আকাশ মাঝে
পিঙ্গল মেঘের ডম্বরু বাজে,
করুন নৃত্যে উদ্বেলিয়া ওঠে
বিদায়ের গান মন্দ্রসপ্তকে সেজে.........
তবুও মেঘের জটাজালে ঢাকা আকাশ শুনিয়ে যায় গ্রীষ্ণের আগমনী গান । এ যেন দয়িতা বসন্তের চলে যাওয়ার বিরহে কাতর প্রকৃতির এক একটি দিনের কালো , গোমড়া মুখের কথকতা .................
বসন্ত সমীরনে গেছে ভাসি
দিনের নাওখানি অকালে,
নতুন প্রভাতে আকাশ ভরিছে তাই
কৃষ্ণমেঘের পালে ।
বিষাদের আঁচল বিছিয়ে রাখা কৃষ্ণমেঘের পালে যখন লাগে হাওয়া, তখন গ্রীষ্ণের মেঘ ধরে তার রুদ্র রূপ । সে রুদ্র মেঘের তান্ডবে আকাশের সুনীল বুকে আঁধারের তৃষ্ণা জাগে । যেন মনে হয় --- সন্ধ্যার আকাশ বুঝি ঢেকে দিয়ে যাবে ওই কালবৈশাখী । ঈশানের মেঘ থরে থরে তাই মেলে দেয় তার ডানা । দীর্ঘ দগ্ধ বৈশাখী দিন তোলে তান্ডব ..............
সন্ধ্যা আকাশ দেয় ঢাকি
নিদেন কালের এক কালবৈশাখী,
কী রোষে গগণ বিদারী হুঙ্কারে
উড়ায় যে প্রান পাখি !
তারি বুক মাঝারে
আঁধারের তৃষ্ণা যেন যায় ডাকি
আমারে ...................
গ্রীষ্ণের দিন আসে টগবগিয়ে, সূর্য্যরথে সওয়ার হয়ে । নরকের আগুন নিয়ে সূর্য্য দাপিয়ে বেড়ায় সারাটি আকাশ জুড়ে । পথপ্রান্তরে চাতকের মতো চেয়ে থাকে রিক্ত মাটি । বুকে দহনের জ্বালা নিয়ে নিদাঘ সূর্য্যের দারুণ অগ্নিবাণে পুড়ে পুড়ে যায় বিজন ঘাস । জনপদে বাড়ে তৃষ্ণার জলের গাঢ় আকাল , অসহায় মুখ তাকিয়ে রয় আকাশপানে, যেন অলখে, অস্ফুটে বলে যায় - আল্লাহ মেঘ দে পানি দে ...............
..................................................আমি পথ চেয়ে রই ......................
................................বিজন আকাশে , কোথায়... কোনখানে .........................
.................................................তৃষিত জমিনে জীর্ণ জীবন........................
............................................................কতোদূরে আর ............................
........................................একফোঁটা ঘাসের তরে , দগ্ধ মাটির পরে......................
............................................ধুঁ ধুঁ বালুচর পোহায় বেলা, তারি মাঝে জীবনের খেলা.....
...................................বক্ষ ফাঁটা মাটির ক্রন্দন .......................
.....................................হেরিনু তৃষ্ণার জল কোথাকার ..............................
............................................তবুও এতোটুকু জলে মাছেরা খলবলে ..............
দিনের ভাঁড়ার থেকে ফুরায়েছে বসন্তের দিন,
এখন আকাশ বিলীন খর রোদে ।
ধরিত্রী কাঁপিছে প্রবল ক্রোধে
মাটি চৌচির সঘন রোষে , বৃষ্টি বিহীন........
আকাশে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা গনগনে সূর্য্যের গা বেয়ে নেমে আসা দারুণ অগ্নিবাণে ধুঁকে ধুঁকে নিঃশ্বাস ছাড়ে মাটি আর মানুষের এই ঘর , এই গৃহস্থালী । বায়ু করে যায় হাহাকার । চৌচির মাটি, মর মর গাছের পাতা, শুকনো কাননশাখা জানান দিয়ে যায়, বড় অকরুন গ্রীষ্ণ মেলেছে তার নরকসম জটাজাল । দগ্ধ ধরণী স্বস্তি খুঁজে ফেরে পত্রপল্লব ছায়ে , জলের কোলে খুঁজে ফেরে শীতলতা । ভূমিদস্যুদের হাত এখনও পৌঁছেনি বলে যেটুকু জলধি বেঁচেবর্তে আছে আজো, সেখানেই শরীর ডুবিয়ে যেন তাপদগ্ধতা ঝেড়ে ফেলতে চায় সকল প্রান .................
..................................... জলের কোলে, শীতল মায়ার দোলে ........................
.................................... আহ্... কী পেলব জলের শরীর............................
........................................... সূর্য্যের দহন ভুলি ...........................
............................... কৈশোরের চির নতুন জলকেলি ...........................
................................ কি দারুণ দাহন বেলা ..............................
........................................তাপহরা জলের শরীরে করি খেলা .....
....................................... কে জুড়াবি আয় , তালের পাখায় -গ্রীষ্ণের দহন জ্বালা .....
.......................................... আহা কি নিঝুম, তৃপ্তির ঘুম ........................
শ্রান্তি যাক ঘুচে,
দারুণ দাহন বেলা
এ নহে শুধু জলখেলা ।
শান্ত শীতল প্রান ভরানিয়া জল,
নরম সুনিবিড় ছায়াতল
গহন তাপদাহ নিয়ে যাক মুছে ........
এমন নিঝুম তপ্ত দিনে অম্বরে ঘন ডম্বরু ধ্বনি গুরু গুরু গুরু বাজে । সঘন মেঘের ক্রদ্ধ নিঃশ্বাসে প্রলয়ের নটরাজ যেন কালোবৈশাখির তান্ডব হয়ে আসে । নিদানের এই এলোকেশী ঝড়ে উড়ে যায় ঘর-গেরস্থালী । মাথাগোঁজার অতি দীন আচ্ছাদনখানিও নিয়ে যায় কেড়ে । মুখ থুবড়ে পরে অভাগীর সংসার । গ্রীষ্ণের রুদ্র রোষ, অসহায় জনপদ তছনছ করে দিয়ে গেলেও উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারেনা এই বাঙলার মানুষের দৃপ্ত সাহসখানি ।
আশায় আশায় বুক বেঁধে রাখা মানুষ তবুও পথ চলে জন্ম থেকে জন্মান্তরে, অখন্ডিত বিধিলিপির হাত ধরে ................
........................................................কি দোষে প্রকৃতি .................
.....................................সেই যে আমার ছোট্ট গৃহকোন, কোথায় এখন .........
...............................................এই ছিলো কি বিধাতার মনে ...........
...............................................আবার শুরু নতুন করে জীবনের গান .......
...............................................নিরাশার মাঝে বুক বেঁধে দুজনে আবার .....
কি দোষে তব জন্ম এই বঙ্গে
বারেবার বিধাতার সে কোন রঙ্গে
ভেঙে যায় যতো সুখের স্বপন !
অতি নিঃস্ব এই প্রান্তজনে
আর কতোবার মারিবে ধনেপ্রানে,
হে বিধাতা; হইয়াছো কি বিস্মরণ ?.................
“দিন চলে যায়
সবি বদলায়
শুধু যে আমার এ মোন
যা ছিলো থাকে তেমন
পুরনো হয় না । ”
তাই কান্তারে কান্তারে নতুন বছরের পদধ্বনিতে উদ্বেলিত হয় বাঙলার প্রান । ধ্বংসের মাঝেও ফিনিক্স পাখির মতো ডানা মেলে ছড়িয়ে যায় বাঙালির তৃষিত প্রানের মেলা । নতুন বছরের শুভাশীষ নিয়ে বৈশাখ জাগে । লক্ষ কন্ঠে ধ্বনিত হয় – এসো হে বৈশাখ এসো এসো .............................
......................................পবনে গগনে সাগরে আজিকে কী কল্লোল, দে দোল দোল ............
...................................................গায়ে আমার পুলক লাগে, নববর্ষের রাগে ........
...........................................দিগ দিগন্তে ছড়িয়ে যাক আমার এই প্রানের মেলা ......
........................................সাজাই তারে যতন করে , যতো উচ্ছাস ভরে করি খেলা ....
...........................................মুখরিত গানে গানে , প্রানের স্পন্দনে আজি এ সকালবেলা.....
..........................................হে বৈশাখ এসো নৃত্যের তালে তালে,
.................................................আদরে , সোহাগে চুমু দিয়ে যাও কালের কপোলে ......
পান্তা ইলিশের দিন ...........
কৃষকের ঘর থেকে সেই কবে হয়েছে বিলিন !
তারে স্মরি তোমরা আজ উল্লাসে মাতো
শোন নাকো কৃষকের দীর্ঘশ্বাস যতো ................
দিন চলে যায় দিনের মতোন । বদলে যায় সব । যা কিছু পুরাতন , কালের রথে চড়ে আবার বছরগুলো ফিরে আসে নতুন হয়ে বারেবার । তাই ফুলে ও ফলে ভরে ওঠে নিদাঘ বৈশাখ - জৈষ্ঠ্যের দিন, ঠিক আগেরই মতোন । ফল ও ফুলের এই মৌতাত বাঙালীর আবহমান সংস্কৃতির গায়ে গন্ধ ছড়িয়ে যায় । ছড়িয়ে যায় আপনার মনেও । কৃষ্ণচুড়া-জারুলের রঙে আর আম-কাঠালের মিষ্টি সুবাসে ভেসে যায় আপনার গ্রীষ্ণের দিনগুলি । ফুলের রঙে নতুন নতুন প্রানে লেবু-ফুলগন্ধী কবিতা গুনগুন গান গেয়ে যায় । আম-কাঠাল-লিচুর ঘ্রানে সামাজিক মানসের রসনা তৃপ্ত হয়, গড়ে ওঠে বন্ধন । এমনি করেই প্রকৃতি আমাকে , আপনাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখে এক সামাজিক বলয়ের ঘেরাটোপে .........
........................................................কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে ....
.............................................................রাধাচূড়ার পল্লবে পল্লবে কতো কামনার রঙ...
...................................................একাকী বোনাক , যেন ফুঁটে থাকা এক স্নিগ্ধ জোনাক ....
......................................................কিশোরীর লাজরঙে রাঙা নাগকেশর......
................................................লেবুফুল ছড়িয়ে যায় শীতল কোমল গন্ধ তার ....
..............................................জারুল , শোভন-সুন্দর বেগুনি দল.....
.....................................................জামরুল ফুল, যেন ঠিক ঝুমকো দুল......
.......................................................সোনালু, ঝাড়বাতির মতো ঝুলে ঝুলে ........
কালের করাল তলে
দিনগুলো কোথা যায় চলে
শুধু ভরে দিয়ে যায় ফলে আর ফলে ....
ঘরে ফিরে আসা এই গ্রীষ্ণ যেন মেঘ ও রৌদ্র খেলায় কখনও সহজ-সরল, কখনও মাতন্ডিণী-দুঃসাহসিকা , কখনও ফুলে-ফলে উচ্ছসিত অভিসারিকা । ষড়ঋতুর অশান্ত, অধরা এই প্রথমাকে আবাহন আজ দুহাত বাড়িয়ে ।
প্রথমা এই গ্রীষ্ণের হাতে হাত রেখে প্রনতি তাই নতুন বছরের কাছে হালখাতা খোলার......
শতাব্দীর সূর্য্য ও মেঘের কাছে
আমারি প্রনাম –
রুদ্র বাতাসে পৃথিবীর গা থেকে
মুছো নাকো আমারি নাম .....
প্রথম পর্ব পৌষের কাছাকাছি রোদ মাখা সেই দিন, ফিরে আর আসবে কি কখনও ....
দ্বিতীয় পর্ব পৌষের কাছাকাছি রোদ মাখা সেই দিন, ফিরে আর আসবে কি কখনও ......
তৃতীয় পর্ব চারিদিকে নুয়ে প’ড়ে ফলেছে ফসল ......
চতুর্থ পর্ব শীত তুমি কি, বড় জানতে ইচ্ছে করে .......
পঞ্চম পর্ব কুসুমে কুসুমে চরণচিহ্ন দিয়ে যাও ....
[ এই ছবি ও লেখা ব্লগটি সাজানো হয়েছে কয়েকটি অধ্যায়ে – বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত, বসন্ত আর গ্রীষ্ণ নিয়ে ঋতুচক্র – পালাবদলের দিন, নিঃস্বর্গ, দেশ ও জীবন গাঁথা ; এমন করে। ]
ছবি – ইন্টারনেট থেকে ।
প্রতিটি ছবির জন্যে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি তাঁদেরই যারা ছবিগুলোর প্রকৃত দাবীদার ।
আর স্বনামধন্য যে সব কবি-লেখকের দু’একটি চরন তুলে এনেছি, কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি সেই মহাগুনীজনদের ও ।
এদের সকলের কাছেই ঋনী হয়ে রইলুম ।
( পরিবর্ধিত রি-পোষ্ট )
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৪৬