বাংলাদেশের সবুজ সুন্দর একটি গ্রামের ছেলে আজিম উদ্দিন। হাইস্কুলে পড়ার সময়ই মারা যায় তার বাবা। দুই ভাই এক বোনের সংসারে সে ছিলো সবার বড়, তাই পরিবারের প্রয়োজনে ছোট বেলা থেকেই কর্মজীবন শুরু হয় আজিমের। ভাই ও বোনকে লেখাপড়া শেখালেও নিজে আর পড়তে পারে নাই। ছোট বোনের বিয়ে পর বিয়ে করে সে। একটি সন্তানের জনক সে । কৃষি কাজ করার পাশাপাশি আজিম তিনটি গরু ও কিছু হাঁস-মুরগী দিয়ে প্রতিদিনের বাজারের খরচ চলতো এবং মাস শেষে কিছু টাকা ব্যাংকে সঞ্চয়ও করতে পারতো। সুখে শান্তিতেই কাটছিলো তাদের জীবন।
কিন্তু হঠাৎ তার কথা হয়, সিঙ্গাপুর ফেরত পাশের বাড়ির সুলতানের সাথে। সে জানায় সিঙ্গাপুরে গেলেই প্রচুর বেতনে কাজ করতে পারবে আজিম, কম করে হলেও মাসে ষাট থেকে আশি হাজার টাকা বেতন পাবে। এই কথা শুনে তো আজিম চমকে যায়। মনে মনে চিন্তা করে ফেলে একবার যদি সিঙ্গাপুর যেতে পারতাম!, এবার আজিম সুলতানের কাছে জানতে চায় কেমন করে সিঙ্গাপুরে যাবো? কি কি করতে হবে?
সুলতান তাকে জানায়, সিঙ্গাপুরে যেতে হলে কন্সট্রাকশন স্কীল করতে হবে, আর স্কীল পরিক্ষা কোন সমস্যা না টাকা দিলেই পাস করিয়ে দিবে ট্রেনিং সেন্টারগুলো, তারপর সিঙ্গাপুরে নেওয়া সব ব্যবস্থা করবে সুলতান। আজিম সুলতানকে জিজ্ঞাসা করে কত টাকা লাগবে সিঙ্গাপুর যেতে? তখন সুলতান জানায়, চার লক্ষ টাকার মতো লাগবে। আজিম ভাবলো চার লক্ষ টাকা খরচ করে যদি মাসে ষাট থেকে আশি হাজার টাকা রোজগার করা যায় তাহলেতো ভালোই হয়। আজিম তার বউকে বলে কয়েক বছর বিদেশে কাজ করে আসি তাহলে যদি একটা পাকা বাড়ী করা যায়। তোমাদের জন্যও বিদেশ থেকে কত কিছু পাঠাতে পারবো। সবশুনে আজিমের বউ বলে, যান তাহলে।
বউয়ের সম্মতি পেয়ে আজিম ট্রেনিং সেন্টারে যায়। ট্রেনিং সেন্টারের কর্মকর্তারা জানায় ত্রিশ হাজার টাকা ট্রেনিং ফি ও থাকা খাওয়ার জন্য দিতে হবে আরো চল্লিশ হাজার টাকা সহ পাসর্পোট জমা দিতে হবে। আজিম বলে আমার তো পাসপোর্ট নাই। তখন ট্রেনিং সেন্টারের একজন কর্মকর্তা বলে পাসপোর্ট আমরা করে দিতে পারি তবে জরুরী পাসপোর্ট এর জন্য দশ হাজার টাকা লাগবে, আজিম তাতে রাজি হয়ে গেলো। ট্রেনিং করলো আজিম, সিঙ্গাপুরের থেকে লোকজন এসে পরিক্ষা নেয় তার, কিন্তু সে কিছু বুঝতে পারিনি তাদের কথা, টেনিং সেন্টারের মামাদের ইসারায় কিছু প্র্যাটিক্যাল কাজ করে আজিম।
ট্রেনিং সেন্টারের একজন কর্মকর্তা জানায় তাকে পাস করতে হলে আরো এক লক্ষ টাকা বেশী দিতে হবে, এখন মাঝ পথে এসে আজিম ভাবে কি করার। সে তাদের দাবীকৃত আরো এক লক্ষ টাকা প্রদান করে। কিছুদিন পর ট্রেনিং সেন্টার থেকে ফোন আসে আজিম পাস করেছে জানায় তারা। ফোন পেয়ে ট্রেনিং সেন্টারে যায় আজিম, সে তার কন্সট্রাকশন ট্রেনিং এর সার্টিফিকেট ও পাসপোর্ট চায় তখন সেন্টার থেকে তাকে জানায় তার আরো এক লক্ষ টাকা দিতে হবে। সিঙ্গাপুর থেকে ট্রেনিং এর সার্টিফিকেট আনতে খরচ বেশী হয়েছে। টাকা না দিলে সার্টিফিকেট দিবে না তারা, আজিম বাধ্য হয়ে তাদের হাত পা ধরে আশি হাজার টাকা দিয়ে সার্টিফিকেট নেয়। ট্রেনিং বাবদ তার খরচ হয় মোট দুই লক্ষ ষাট হাজার টাকা।
এবার আজিম যোগাযোগ করে সিঙ্গাপুরে থাকা সুলতানের সাথে। সুলতান বলে ভিসা করতে লাগবে চার লক্ষ টাকা। তবে শুরুতে পঞ্চাশ হাজার দিলেই চলবে বাকিটা ভিসা হওয়ার পরে আর পাসপোর্ট এর কপি তার কাছে পাঠাতে বলে। এখন তো আজিম উদ্দিনের মাথায় হাত সে সুলতানকে বলে, ভাই আপনি না বলেছিলেন চার লক্ষ টাকা হলেই সিঙ্গাপুর যাওয়া যাবে, আমিতো দুই লক্ষ ষাট হাজার টাকা খরচ করছি, এখন আবার এতো টাকা লাগবে কেন? সুলতান বলে ভাই ট্রেনিং আর ভিসা এক না সুতরাং আপনি আসবেন কি আসবেন তা আপনার সিদ্ধান্ত।
বেচারা আজিম কি করবে এখন? এতো টাকা খরচ করে ট্রেনিং করলো এখন সিঙ্গাপুরে না গেলে দুই লক্ষ ষাট হাজার টাকা জলে। সঞ্চয়ের টাকা ট্রেনিং করেই শেষ, তাই ব্যাংক থেকে নিজের শেষ সম্বল ভিটা জমি টুকু বন্ধক রেখে দুই লক্ষ টাকা ঋণ নেয়, গরু তিনটা বিক্রয় করে আরো দেড় লক্ষ টাকা এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে সে সিঙ্গাপুর আসে। সিঙ্গাপুরে আসার পর সে প্রতিদিন ষোল ঘন্টা এবং ছুটির দিনেও কাজ করে বেতন ও ওভারটাইম মিলিয়ে চল্লিশ হাজার টাকা( দুই তিন হাজার কম-বেশী)। সেখান থেকে আবার বাসা ভাড়া বাবদ কাটা হয় প্রায় আট হাজার টাকা। খাওয়ার খরচ দশ হাজারে কোনমতে হয়ে যায়। যাতায়াত ও অন্যান্য খরচ আরো প্রায় পাঁচ হাজার টাকা। নিতান্তই যে সকল খরচ না করলেই নয় সেটুকুই করে আজিম মিয়া! (আজিম উদ্দিন থেকে আজিম মিয়া বানিয়ে দেন ট্রেনিং সেন্টার থেকে যারা তাকে পাসপোর্ট করতে সহযোগিতা করে)
সিঙ্গাপুরে আসার পর থেকে আজিম মাসে এক, দুইবার ফোন করে পরিবারের কাছে। মোবাইলে মাসে দশ ডলার রিচার্জ করার মতোও সাধ্য নেই তার, কারণ মাথার উপর বিশাল ঋণ। মাস শেষে তার এখন সঞ্চয় প্রায় সতের হাজার টাকা। এদিকে তার সিঙ্গাপুরে কাজের মেয়াদ হলো একবছর। এই একবছরে সে দেশে পাঠাতে পারবে দুইলক্ষ চার হাজার। এরমানে ছয় লক্ষ ষাট হাজার টাকা খরচ করে এক বছর খেটে তার ক্ষতি হচ্ছে চার লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকার মতো। এই ভাবনা এবং প্রতিদিন ষোল ঘন্টা কাজ করে শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায় আজিম মিয়া!, কাজের সময় কোম্পানির তামিল সুপার ভাইজার কি বলে তা সে খুব একটা বোঝে না তাকে বোঝানোর জন্য আবার আরেক বাংলাদেশী শ্রমিক ডাকতে হয়। যার জন্য শুনতে হয় অনেক বকা। কাজ করে আর কাদেঁ আজিম মিয়া, আর মনে মনে বলে কতই না শান্তিতে ছিলাম বাংলাদেশে।
পাকা বাড়ি না থাকলেও কুঁড়ে ঘরে থেকেও তো স্ত্রী সন্তানের কাছে ছিলাম, মাস শেষে কৃষি কাজ ও গরু পালনের মাধ্যমে আট থেকে দশ হাজার টাকা সঞ্চয় করতে পারতাম। এভাবেই অনেক আজিম মিয়ারা নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে, পরিবার পরিজনের মুখে হাসি ফুটাতে এসে প্রতি মিনিটে কাদঁতে হচ্ছে। মাঝ থেকে লাভবান হচ্ছে আমাদের দেশের অসাধু ট্রেনিং সেন্টার ও সুলতানের মতো দালালেরা।
এর দায় কি শুধু আজিম উদ্দিনের?
বাংলাদেশের সবুজ সুন্দর একটি গ্রামের ছেলে আজিম উদ্দিন। হাইস্কুলে পড়ার সময়ই মারা যায় তার বাবা। দুই ভাই এক বোনের সংসারে সে ছিলো সবার বড়, তাই পরিবারের প্রয়োজনে ছোট বেলা থেকেই কর্মজীবন শুরু হয় আজিমের। ভাই ও বোনকে লেখাপড়া শেখালেও নিজে আর পড়তে পারে নাই। ছোট বোনের বিয়ে পর বিয়ে করে সে। একটি সন্তানের জনক সে । কৃষি কাজ করার পাশাপাশি আজিম তিনটি গরু ও কিছু হাঁস-মুরগী দিয়ে প্রতিদিনের বাজারের খরচ চলতো এবং মাস শেষে কিছু টাকা ব্যাংকে সঞ্চয়ও করতে পারতো। সুখে শান্তিতেই কাটছিলো তাদের জীবন।
কিন্তু হঠাৎ তার কথা হয়, সিঙ্গাপুর ফেরত পাশের বাড়ির সুলতানের সাথে। সে জানায় সিঙ্গাপুরে গেলেই প্রচুর বেতনে কাজ করতে পারবে আজিম, কম করে হলেও মাসে ষাট থেকে আশি হাজার টাকা বেতন পাবে। এই কথা শুনে তো আজিম চমকে যায়। মনে মনে চিন্তা করে ফেলে একবার যদি সিঙ্গাপুর যেতে পারতাম!, এবার আজিম সুলতানের কাছে জানতে চায় কেমন করে সিঙ্গাপুরে যাবো? কি কি করতে হবে?
সুলতান তাকে জানায়, সিঙ্গাপুরে যেতে হলে কন্সট্রাকশন স্কীল করতে হবে, আর স্কীল পরিক্ষা কোন সমস্যা না টাকা দিলেই পাস করিয়ে দিবে ট্রেনিং সেন্টারগুলো, তারপর সিঙ্গাপুরে নেওয়া সব ব্যবস্থা করবে সুলতান। আজিম সুলতানকে জিজ্ঞাসা করে কত টাকা লাগবে সিঙ্গাপুর যেতে? তখন সুলতান জানায়, চার লক্ষ টাকার মতো লাগবে। আজিম ভাবলো চার লক্ষ টাকা খরচ করে যদি মাসে ষাট থেকে আশি হাজার টাকা রোজগার করা যায় তাহলেতো ভালোই হয়। আজিম তার বউকে বলে কয়েক বছর বিদেশে কাজ করে আসি তাহলে যদি একটা পাকা বাড়ী করা যায়। তোমাদের জন্যও বিদেশ থেকে কত কিছু পাঠাতে পারবো। সবশুনে আজিমের বউ বলে, যান তাহলে।
বউয়ের সম্মতি পেয়ে আজিম ট্রেনিং সেন্টারে যায়। ট্রেনিং সেন্টারের কর্মকর্তারা জানায় ত্রিশ হাজার টাকা ট্রেনিং ফি ও থাকা খাওয়ার জন্য দিতে হবে আরো চল্লিশ হাজার টাকা সহ পাসর্পোট জমা দিতে হবে। আজিম বলে আমার তো পাসপোর্ট নাই। তখন ট্রেনিং সেন্টারের একজন কর্মকর্তা বলে পাসপোর্ট আমরা করে দিতে পারি তবে জরুরী পাসপোর্ট এর জন্য দশ হাজার টাকা লাগবে, আজিম তাতে রাজি হয়ে গেলো। ট্রেনিং করলো আজিম, সিঙ্গাপুরের থেকে লোকজন এসে পরিক্ষা নেয় তার, কিন্তু সে কিছু বুঝতে পারিনি তাদের কথা, টেনিং সেন্টারের মামাদের ইসারায় কিছু প্র্যাটিক্যাল কাজ করে আজিম।
ট্রেনিং সেন্টারের একজন কর্মকর্তা জানায় তাকে পাস করতে হলে আরো এক লক্ষ টাকা বেশী দিতে হবে, এখন মাঝ পথে এসে আজিম ভাবে কি করার। সে তাদের দাবীকৃত আরো এক লক্ষ টাকা প্রদান করে। কিছুদিন পর ট্রেনিং সেন্টার থেকে ফোন আসে আজিম পাস করেছে জানায় তারা। ফোন পেয়ে ট্রেনিং সেন্টারে যায় আজিম, সে তার কন্সট্রাকশন ট্রেনিং এর সার্টিফিকেট ও পাসপোর্ট চায় তখন সেন্টার থেকে তাকে জানায় তার আরো এক লক্ষ টাকা দিতে হবে। সিঙ্গাপুর থেকে ট্রেনিং এর সার্টিফিকেট আনতে খরচ বেশী হয়েছে। টাকা না দিলে সার্টিফিকেট দিবে না তারা, আজিম বাধ্য হয়ে তাদের হাত পা ধরে আশি হাজার টাকা দিয়ে সার্টিফিকেট নেয়। ট্রেনিং বাবদ তার খরচ হয় মোট দুই লক্ষ ষাট হাজার টাকা।
এবার আজিম যোগাযোগ করে সিঙ্গাপুরে থাকা সুলতানের সাথে। সুলতান বলে ভিসা করতে লাগবে চার লক্ষ টাকা। তবে শুরুতে পঞ্চাশ হাজার দিলেই চলবে বাকিটা ভিসা হওয়ার পরে আর পাসপোর্ট এর কপি তার কাছে পাঠাতে বলে। এখন তো আজিম উদ্দিনের মাথায় হাত সে সুলতানকে বলে, ভাই আপনি না বলেছিলেন চার লক্ষ টাকা হলেই সিঙ্গাপুর যাওয়া যাবে, আমিতো দুই লক্ষ ষাট হাজার টাকা খরচ করছি, এখন আবার এতো টাকা লাগবে কেন? সুলতান বলে ভাই ট্রেনিং আর ভিসা এক না সুতরাং আপনি আসবেন কি আসবেন তা আপনার সিদ্ধান্ত।
বেচারা আজিম কি করবে এখন? এতো টাকা খরচ করে ট্রেনিং করলো এখন সিঙ্গাপুরে না গেলে দুই লক্ষ ষাট হাজার টাকা জলে। সঞ্চয়ের টাকা ট্রেনিং করেই শেষ, তাই ব্যাংক থেকে নিজের শেষ সম্বল ভিটা জমি টুকু বন্ধক রেখে দুই লক্ষ টাকা ঋণ নেয়, গরু তিনটা বিক্রয় করে আরো দেড় লক্ষ টাকা এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে সে সিঙ্গাপুর আসে। সিঙ্গাপুরে আসার পর সে প্রতিদিন ষোল ঘন্টা এবং ছুটির দিনেও কাজ করে বেতন ও ওভারটাইম মিলিয়ে চল্লিশ হাজার টাকা( দুই তিন হাজার কম-বেশী)। সেখান থেকে আবার বাসা ভাড়া বাবদ কাটা হয় প্রায় আট হাজার টাকা। খাওয়ার খরচ দশ হাজারে কোনমতে হয়ে যায়। যাতায়াত ও অন্যান্য খরচ আরো প্রায় পাঁচ হাজার টাকা। নিতান্তই যে সকল খরচ না করলেই নয় সেটুকুই করে আজিম মিয়া! (আজিম উদ্দিন থেকে আজিম মিয়া বানিয়ে দেন ট্রেনিং সেন্টার থেকে যারা তাকে পাসপোর্ট করতে সহযোগিতা করে)।
সিঙ্গাপুরে আসার পর থেকে আজিম মাসে এক, দুইবার ফোন করে পরিবারের কাছে। মোবাইলে মাসে দশ ডলার রিচার্জ করার মতোও সাধ্য নেই তার, কারণ মাথার উপর বিশাল ঋণ। মাস শেষে তার এখন সঞ্চয় প্রায় সতের হাজার টাকা। এদিকে তার সিঙ্গাপুরে কাজের মেয়াদ হলো একবছর। এই একবছরে সে দেশে পাঠাতে পারবে দুইলক্ষ চার হাজার। এরমানে ছয় লক্ষ ষাট হাজার টাকা খরচ করে এক বছর খেটে তার ক্ষতি হচ্ছে চার লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকার মতো। এই ভাবনা এবং প্রতিদিন ষোল ঘন্টা কাজ করে শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায় আজিম মিয়া!, কাজের সময় কোম্পানির তামিল সুপার ভাইজার কি বলে তা সে খুব একটা বোঝে না তাকে বোঝানোর জন্য আবার আরেক বাংলাদেশী শ্রমিক ডাকতে হয়। যার জন্য শুনতে হয় অনেক বকা। কাজ করে আর কাদেঁ আজিম মিয়া, আর মনে মনে বলে কতই না শান্তিতে ছিলাম বাংলাদেশে।
পাকা বাড়ি না থাকলেও কুঁড়ে ঘরে থেকেও তো স্ত্রী সন্তানের কাছে ছিলাম, মাস শেষে কৃষি কাজ ও গরু পালনের মাধ্যমে আট থেকে দশ হাজার টাকা সঞ্চয় করতে পারতাম। এভাবেই অনেক আজিম মিয়ারা নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে, পরিবার পরিজনের মুখে হাসি ফুটাতে এসে প্রতি মিনিটে কাদঁতে হচ্ছে। মাঝ থেকে লাভবান হচ্ছে আমাদের দেশের অসাধু ট্রেনিং সেন্টার ও সুলতানের মতো দালালেরা।
এর দায় কি শুধু আজিম উদ্দিনের?
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৪২