এবার প্রহেলা বৈশাখে আমরা দেখলাম নারীদের সম্মানহানী করার ছবি, ভিডিও। সেখানে একদম পরিস্কার যে নারীদের স্তনে চাপ দেওয়াটাই ছিলো কুলাঙ্গারের বাচ্চাগুলোর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
তারা মেয়েদের দুধে চাপ দেওয়ার জন্য একসাথে ঘিরে ধরছে। তারপর কেউ বুকে পিঠে পেটে যে যেভাবে পারলো চাপ দিলো। কি মজা!!!!
আর আমরা যারা নিজেদের মানুষ বলে দাবি করছি তার দুচোখ বন্ধ করে রাখলাম। কুত্তার বাচ্চাগুলা তো হাতে গোনা ৮-১০ জন অথচ সেদিন লাক্ষো মানুষের মাঝে তারা কিভাবে এই অপকর্ম করে।
আজকের আরেকটা সংবাদ পেলাম বাগেরহাটে মেলায় বোনের সম্মানহানী প্রতিবাদ করায় ভাইকে ছুড়ি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা। পাশেই ছিলো প্রশাসনের লোকজন।
কতটা সভ্য জাতীতে পরিণত হচ্ছি আমরা।
আর পুলিশেরই কি দোষ তারা আজ গ্রেফতার করবে আগামীকাল জামিনে বের হয়ে আসবে।
তাই আমি শুধু এই কুলাঙ্গারের বাচ্চাগুলার দোষ দিবো না। আজকে যদি আমাদের বিচার ব্যাবস্থা ভালো হতো। তবে এই ধরনের কমর্কান্ড অবশ্যই বন্ধ হতো।
সৌদিআরবে নারীদের উপর এই ধরনের আক্রমনের শাস্তি প্রকাশে মৃত্যু দন্ড।
সেখানে আমাদের দেশে অপরাধীদের দেখে প্রশাসন পিছু হাটে।
ইন্দোনেশিয়ার কথাই বলি যেখানে মাদক দ্রব্য চোরাচালান এর জন্য অস্টেলিয়ার নাগরিকের মৃত্যু দন্ড হয়েছে।
সিঙ্গাপুরে মাদকের শাস্তি ফাসি সেখানে আমার দেশে বড় জোড় ২ মাস জেল।
অবৈধ অস্ত্র সহ ধরা পরলে সাড়া পৃথিবীতে একটাই শাস্তি মৃত্যু দন্ড সেখানে এখনো আমরা ১৯৪৭ সালের পূর্বের আইন মেনে চলছি। বড়ো জোড় ২ বছরের জেল।
তাহলে কিভাবে বন্ধ হবে এই সামাজিক সমস্যা।
সুতরাং আমাদের এই সামাজিক অবক্ষয় রোধে কঠোর আইনের কোন বিকল্প নেই।
***একবার চিন্তা করে দেখুন একটি মেয়ের দেহ যে মাটি দিয়ে তৈরি একটি ছেলের দেহ কিন্তু সেই মাটি দিয়েই তৈরি। তবে কেন এই কুকুরের মতো আচরণ???
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৩