বলাবাহুল্য, এটি একটি পরীক্ষামূলক পোস্ট। নানা কারণে একটি মন্তব্য সেরা কিংবা ব্যতিক্রমী হয়ে উঠতে পারে। আমার চোখে গত দুই দিনের সেরা দুটি মন্তব্য নিচে দিলাম। অন্য ব্লগাররাও দিতে পারেন। না দিলেও মতামতটা জানায়েন একটু।
তারিখ : ৩ অক্টোবর ২০০৮, রাত ১০:৩০
পোস্ট : আমাদের শিক্ষা আর রুচিবোধ
মন্তব্যদাতা : রাসেল ( ........)
আক্ষেপের কারণ দেখে আমার অনুভুতি বদল হলো না যদিও। বিশ্বাস এবং অবিশ্বাসের জায়গা থেকে ব্লগিং, সামাজিক ব্লগিং এইসব বিষয় নিয়ে আমার অবস্থান হয়তো আপনার থেকে অনেক বেশী সতন্ত্র।
বাকস্বাধীনতা, দায়বদ্ধতা এবং নিজস্ব বিশ্বাসের জায়গা এবং সামাজিক সম্পর্ক ও সৌজন্যতা- প্রতিটা বিষয়ই একই সাথে যুক্ত করে নির্দিষ্ট কোথাও পৌঁছানো যায় না।
অবস্থানগুলোর বিচ্ছিন্নতা বেশী। আপনি যদি সামাজিক আচরণ এবং বাকস্বাধীনতা একই সাথে আশা করেন তবে সেটা খর্বিত বাকস্বাধীনতা হয়ে যাবে। সামাজিক দায়বদ্ধতা পুরণের জায়গায় ব্লগে লেখালেখি , এখানে এসে এই কেতায় লিখতে হবে, সেই কেতায় লেখা যাবে না। এই বিষয়গুলো নিয়ে লেখা যাবে, সেই বিষয়গুলো নিয়ে লেখা যাবে না, ব্যক্তিগত হীনতার প্রকাশও যখন আপনি রাজনৈতিক আনতি বিবেচনায় বিবেচনা করেন তখন এমন আক্ষেপ করা অশোভন।
ব্যক্তিবিদ্বেষী অনেক লেখাই আমি লিখেছি ব্লগে, রাজাকারপ্রসঙ্গে, রাজাকারদের ছানাপোনাদের প্রসঙ্গে- অশালীন লেখাও লিখেছি তাদের বিষয়ে। আমি বিন্দুমাত্র লজ্জিত না এই লেখা লিখবার জন্য।
আপনি হঠাৎ করেই এমন সাধু পুরুষ সেজে যখন একটা নৈতিক অবস্থান নিয়ে কথা বলেন তখন ধন্দে পড়ে যাই- আদর্শবাদীতা নিজের ঝোলায় আর নিজের পাতে ঝোল বরাদ্দ নিশ্চিত থাকলেই অবহেলা করা যায় এমন একটা অনুভব মনে আসে।
নৈতিক সঠিক অবস্থান যদি নিতে চান তবে সকল অন্যায় এবং অবিচারকে একই কাঠামোতে একই রকম অন্যায় বিবেচনা করতে হবে। উনমানুষের আচরণ এবং কান্নাকাটি করাটা অশোভন।
এখন ধর্মবিশ্বাসের জায়গায় আঘাত লেগেছে এবং অশোভন আক্রমনের মুখোমুখি হয়েছেন, গালাগালির মুখোমুখি হয়েছেন বলে একটা উপলব্ধি জেগেছে গালিবাজরা খারাপ, অসামাজিক আচরণ করছে।
আমি বিগত ১২ মাসের ব্লগ পুনরায় পড়তে বলি আপনাকে। একই রকম অশালীন অকথ্য গালাগলি এখানে অব্যহত ছিলো, সে সময় আপনার শালীনতাবাদী মুখোশটা আপনি না পড়েই মৃদু এবং মুখর সমর্থন দিয়েছেন কারণ আপনার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হেনেস্তা হচ্ছিল তখন।
নিজের হোগায় ডান্ডা পড়লে সচেতন হয়ে উঠা নৈতিকতা সুবিধাবাদীতার নিদর্শন। আপনি বয়স্ক এবং শিক্ষিত এবং সুরুচি সম্পন্ন হলেও আমি কুরুচি সম্পন্ন হয়েও এই কথা স্পষ্ট বলতে পারি- আপনার এই নাকিকান্না আপনার সম্মান আমার কাছে বাড়ায় না। আপনাকে আমার সুবিধাবাদী নৈতিকতাসম্পন্ন মানুষই মনে হয়।
আমারব্লগে যা ঘটেছে সেটা গ্রহনযোগ্য নয়। সেটা ধর্মীয় আগ্রাসনের পর্যায়েই পড়ে, সে কারণেই এটা আমার কাছে সমর্থনযোগ্য নয়। আস্তিকদের অনুভুতি এবং অনুভব বিষয়ে আমার উন্নাসিকতা থাকা সত্ত্বেও ধর্মীয় আগ্রাসন ও প্রতিহিংসার বিপরীতে অবস্থান নেওয়ার কারণেই আমি এটাকে অগ্রহনযোগ্য ভাবি।
যে কিংবা যারা করছে তাদের এই বালখিল্যতা[ শব্দটা অনেক বেশী জেলো হলেও প্রাজ্ঞতা এবং অভিজ্ঞতার বিপরীতে এরচেয়ে মানানসই শব্দ নেই, মূলত শালীনতা বজায় রাখবার দায় না থাকলে হয়তো অন্যভাবে বলতাম] এবং এর প্রতিক্রিয়ায় আস্তিকদের মুখের তুবড়ি ফোটানে শোভনবাক্যগুচ্ছ, এবং উভয় পক্ষের মানসিক পরিপক্কতার অভাব বিষয়ে তেমন কোনো বক্তব্য দেওয়া উচিত হবে না। মানসিক পরিপক্কতার অভাব সময়ই পুরণ করে।
------------------------------------------------------
তারিখ : ৪ অক্টোবর ২০০৮, রাত ১০:৩০
পোস্ট : আল্লাহ আমাদের সহায় হোন
মন্তব্যদাতা : আরিফ থেকে আনা
নামাজের আজানও স্পনশরশিপের আওতায় পৈড়া কয়দিন পর দেখবেন অমুক পাড়ার মসজিদের ফজরের আজান দিবে এভাবে -
" এখন শুনবেন হক তাসবীহ ফজরের আজান"