হঠাত করে নাস্তিক রা কি আজব উদ্দোশ্যে আল্লাহ পাকের পিছিনে লেগেছে বুঝতে পারতেছি না । যাই হোক
উনি দিয়েছেন
{{যুক্তি # ১
প্রত্যেকটা জিনিস বা ঘটনার পেছনে কারণ আছে, তাহলে এই দুনিয়া সৃষ্টিরও একটা কারণ আছে। কারণ ছাড়া কোন কিছু হয় না, এ দুনিয়াটা নিজে নিজে তৈরি হয় নাই, তাহলে দুনিয়ার বাইরে থেকে কেউ একে সৃষ্টি করেছে, একমাত্র ঈশ্বর দুনিয়ার বাইরে থাকেন, তাহলে তিনি এ দুনিয়া সৃষ্টি করেছেন।
যুক্তির ত্রুটিঃ
প্রথমে ঈশ্বরকে কে বানাইল, তারে বানানোর কারণ কি? ধর্মীয় ব্যাখ্যা এখানে ফেইল, একজায়গায় গিয়ে তাদের যুক্তি অচল, আর যায় না। যে সমস্যা সমাধানের জন্য ঈশ্বরকে ডেকে আনা, ঈশ্বর নিজে সে সমস্যা থেকে বেরুতে পারছে না। তাদের গড নিজেই নিজেকে বানিয়েছেন অথবা কোন কারণ ছাড়াই আছেন, তিনিই সকল কারণের মূল, যুক্তির এ জায়গাটায় ব্যতিক্রম। মহাবিশ্বও নিজেকে নিজেকে বানাতে পারে অথবা কোন কারণ ছাড়াই তৈরি হতে পারে। একজায়গায় যদি থামতেই হয়, মহাবিশ্ব কি দোষ করল?}}
আমার ধারনাঃ তাহলে বলতে হয়, আপনি আল্লাহ পাক শব্দ এর অর্থ বুঝেন নাই । কারন আল্লাহ হলেন এমন একজন যিনি সৃষ্ট নন, সৃষ্ট এর বৈশিষ্ঠ উনার মধ্যে নাই । এখন, সৃষ্টের লেভেল দিয়ে স্রষ্টা কে চিন্তা করতে গেলেই, কিছু কিংকর্তব্যভিমর জাতীয় কিছু হবে ।
{{দ্বিতীয় সমস্যা হল কার্য-কারণ তত্ত্ব নিজেই অত পরিষ্কার নয়, কারণের সবচেয়ে ভাল সংজ্ঞা হল যা ভিন্ন দুইটা ঘটনার মধ্যে সম্বন্ধ তৈরি করে। টেবিলের উপর থেকে গ্লাস ফেলে দিলে তা ভেঙে যাবে, তিন প্যাকেট সিগারেট টানলে ফুসফুসের ক্যান্সার হবে। এই যুক্তি মহাবিশ্বের ক্ষেত্রে খাটানো কতটা ঠিক হবে যখন আমরা মহাবিশ্ব তেমন বেশি জানি না।}}
আমার ধারনাঃ এখানে আপনার অজানাকে স্বীকার করে নিলেন । আপনাদের কেউ কেউ বলে অজ্ঞতার অপর নাম ঈশ্বর । কিন্তু , আমরা কি বলি তা না বুঝেই এসব বলেন । আমি এখানে সক্রিটিস নিয়ে আসব , আমি অন্যদের চেয়ে বেশী জ্ঞানী, কারন আমি জানি আমি কি জানি না । এখন, আমরা মুসলিম রা আল্লাহ পাক কে মানি । আমরা জানি তিনি কত উচু, তিনি না ধরা দিলে আমরা তাঁকে ধরতে পারব না । কিন্তু এই বিষয়টি আপনারা বুঝেন না ।
{{যুক্তি # ২
ঈশ্বরের চেয়ে বড় কেউ আমরা চিন্তা করতে পারি না। যদি ঈশ্বর না থাকে তাহলে তারচেয়ে বড় কারো কথা চিন্তা করা সম্ভব, কিন্তু ঈশ্বর নাই এটা ভাবতে পারা মানে এ নয় যে তিনি নাই। তাহলে ঈশ্বর নাই এটা আসলে ভাবাই যায় না, ঈশ্বর আছেন। এটা অন্টোলজিক্যাল যুক্তি, বুঝতে পারাটা একটু কঠিন।
সমস্যাঃ অস্তিত্ব কোন বৈশিষ্ট্যের মধ্যে পড়ে না। অস্তিত্ব নাই এমনকিছু চিন্তা করতে পারলেই সেটা থাকবে এমন কোন নিশ্চয়তা নেই,যেমন মৎস্যমানবী সম্বন্ধে আমরা চিন্তা করতে পারি তাই বলে এর অস্তিত্ব আছে এমন কথা বলা যাবে না। তাই বলে মৎস্যমানবীর অস্তিত্ব নাই এটাও বলা যাবে না।}}
আমার ধারনাঃ উপরের যুক্তিটি ঠিক মুসলিমদের যুক্তি নয়(মনে হইতেছে) , কারন আমরা বলি আল্লাহ পাক এক এবং অদ্বিতীয় । যাইহোক, একটি নাস্তিকবাদী সাইটে করা আমার একটি মন্তব্য দেখেন ঃ
১ ঈশ্বর নেই তা প্রমাণ করা যাবে না কিছুতেই
২ ঈশ্বর আছেন তা প্রমাণ করা যাবে না কিছুতেই
এই দুই বক্তব্যের মধ্যে বড় ধরনের ফাঁক আছে , ফাঁকটি হইতেছে , যেহেতু ঈশ্বর নেই তার প্রমাণ নেই , আবার ঈশ্বর আছেন তার প্রমাণ নেই তার মানে কিন্তু ঈশ্বর থাকলেও থাকতে পারেন । যেহেতু, গড নেই প্রমাণ করতে পারবেন না , সেহেতু গড আছেন কথার মধ্যে সম্ভবনা থেকে যাবে ।
{{যুক্তি # ৩
ডিজাইনের যুক্তিঃ
১। ক্লাসিক্যাল ডিজাইনের যুক্তিঃ
কোন কার্যসাধনের জন্য যখনই কতগুলি জিনিস একত্রে কাজ করে তখন আমরা ভাবি এর একজন ডিজাইনার আছে, যেমন ঘড়ির সবগুলো অংশ মিলে একসাথে কাজ করে সময় দেয়। শুধু শুধু প্রাকৃতিক কারণে ঘড়ি তৈরি হওয়াটা অস্বাভাবিক।
জীবিত প্রাণীর বিভিন্ন অঙ্গ যেমন চোখ, হৃৎপিন্ড এদের প্রত্যেকের সুনির্দিষ্ট কাজ আছে। তাহলে এসব অঙ্গের জন্য একজন ডিজাইনার আছে, যেমন ঘড়ির জন্য আছে ঘড়ির কারিগর, তাহলে চোখের জন্য আছে চোখের কারিগর। এবং মানুষ কিছুতেই এর ডিজাইনার হতে পারে না। নিশ্চয়ই মানুষ ছাড়া অন্যকেউ এসব বানিয়েছে। ঈশ্বর একজন ডিজাইনার এবং তিনি মানুষ নন, তাঁরপক্ষে এ ডিজাইন করা সম্ভব, সুতরাং ঈশ্বর আছেন।
সমস্যাঃ ডারউইন দেখিয়েছেন কিভাবে রেপ্লিকেশান পদ্ধতি একজন ডিজাইনারের ভাবনা এনে দিতে পারে, যদিও ডিজাইনার সম্বন্ধে সঠিকভাবে কিছু জানা উপায় নেই। অনবরত কপি করতে করতে প্রাণিরা অসংখ্যবার বংশবিস্তার করে এবং একটা নির্দিষ্ট পরিবেশে তাদের প্রয়োজনীয় শক্তি এবং উপাদানের জন্য প্রতিযোগীতা করতে হয়। যেহেতো কোন নকলই মূলের মত হয় না, ফলে ক্রমাগত ভুল জমা হতে থাকে এবং বংশপরম্পরায় ভুলসহ কপি হতে থাকে। এর ফলে দেখা যায় অনেক জেনারেশান পরে যারা ভাল কপি করতে পারে তারাই টিকে থাকে এবং তাদের ডিজাইনও অনেক পরিবর্তিত।}}
আমার ধারনা ঃ অনবরত কপিতে ভুল বিষয়টি কেন হবে ? কেন একটি বিষয় সঠিক না হয়ে ভুল হল । এখানে কি কোন অদৃশ্য শক্তির কল্পনা আরো বাড়িয়ে দেয় না । অনবরত ভুল এবং মুটামুটি ভাল কপির ফলে মানুষের মত ভাল চিন্তা শক্তি কেন আসবে । ভবিষ্যতের পথে লেখাটি একটু দেখতে পারেন । আবার এমন ও হতে পারে আল্লাহ পাক একটি প্রগ্রাম তৈরি করে ভিন্ন ভিন্ন ল দিলেন । এর ভিতর দিয়েই প্রগ্রাম অনুষারে এগুতে থাকে । এবং মানুষ সৃষ্টি হয় । এখন, মানুষ উলটা দেখতে গেলে প্রগ্রাম কেই পাবে । কিন্তু প্রগ্রামার পাবে না । কিন্তু প্রগ্রাম টি একটি ডিজাইন ।(ইবনে সিনা কে ধন্যবাদ )
এ বিষয়ে আমার একটি কঠিন ভিন্ন যুক্তি আছে । এটা মানুষের রোবট আবিষ্কার বিশ্লেষন দিয়ে । মনে করুন, মানুষ রোবট কে অনেক উন্নত করল যে তার চিন্তা শক্তি আসল, এবং নিজেদের কপি করতেও শিখল । কিন্তু কোন কারনে আল্লাহ পাক মানুষকে তুলে নিলেন । এখন, ধরুন রোবট ক্যমিক্যল কনস্ট্রাকশন বুঝেনা । কারন ধরুন সে ক্যমিক্যলের না । রোবট গুলি তখন ভাববে, প্রথমে সরল প্রকৃতির রোবট তৈরি হয়েছিল । মানে ক্যল্কুলেটর বা আরো সরল কিছু । তার মর ডল গুলি , আস্তে আস্তে ছোট খাট রোবরট । ইত্যাদি ধারনা তাদের মনে আসলেও আসতে পারে ।
বাকি যুক্তি গুলি নিয়েও আলোচনায় যাওয়া যেতে পারে । সময় নেই , তবে মনে হইতেছে পুরো একটি লিখা লিখতে হবে। আমার এই লেখাগুলি দেখতে পারেন ,
ঈশ্বরের অস্তিত্ব
আল্লাহ আছেন কি নাই ?
অনেকে বিশ্বাস বিষয়টি পছন্দ করেন না। তাই বিশ্বাসসের লজিক টি খুলা খুলি করা উচিত । মনে করুন , আপনার কাছে জবের জন্য একই বিষয়ের তিন জন ব্যক্তি এল , একজন সাধারন কলেজ থেকে পাশ, আরেক জন ঢাকা ইউনিভারসিটি থেকে পাশ , আরেকজন অক্সফোরড ইউনিথেকে পাশ । সাব্জেক্ট একই । তাহলে কিন্তু আপনি অক্সফোরড কে বেশী দাম দিবেন, তার পর ঢাকা ইউনিভারসিটি তার পর কলেজ । কারন বিশ্বাস । আর এই বিশ্বাস দিয়েই পৃথিবী চলতেছে । এই বিষয়টি অত্যান্ত গভীর । বুঝা যতেষ্ট কষ্ট কর । Allah is the Light of the heavens and the earth সূরা নূর আয়াত ৩৫
বিশ্বাস তিন ভাবে হতে পারে
১ অন্ধ বিশ্বাস ( যা কমেও না বাড়েও না) {এটা হিন্দু, খ্রিস্টান দের ও থাকে}
২ যুক্তিগত বিশ্বাস (যা যুক্তির উপর নির্ভর করে , তা বাড়েও কমেও আবার শেষ হয়ে যায়, কিংবা আবার ফিরে নুতুন করে আসে){{এটা যুক্তিবাদিদের থাকে}}
৩ উপলব্দি এবং নিশ্চিত বাস্তবে জেনে বিশ্বাস করা । (এটি সবচেয়ে স্ত্রংগ, বিশ্বাস হারানোর প্রশ্নই উঠবে না ){{এটা শুধু মাত্র মুস্লিম মুমিন বা অলি দের থাকে }} [[শয়তানের ও এটি আছে]]
এই তিন পথের মধ্যে আপনি কোন পথে হাঠবেন তা আপনার বিষয় ।ইচ্ছে হলে তিনটি পথেই হাঠতে পারেন । তিন নম্বর বিষয়ের দিকে এগুলে ভাল মনে হয় । এ ক্ষত্রে আপনার আল্লাহ পাকের দিকে এগুতে হবে আমল আর দোয়া করে । তবে ২ নম্বর বিষয় অত্যান্ত গুরুত্পূর্ণ, আর ১ নম্বর বিষয়টি ও আপনাকে রক্ষা করতে সক্ষম যদি আপনি তার মেস্নজার মুহাম্মদ সঃ, ঈসা আঃ, মুসা আঃ এদের সত্যবাদীতার প্রতি স্বীকৃতি দেন । মনে রাখবেন, আল্লাহ পাকের দিকে কেঊ এক পা এগুলে , তিনি দুই পা এগিয়ে আসেন । আরো অনেক অনেক বিষয় আছে ।
বিজ্ঞান যদি আল্লাহ পাক কে পেত তাহলে আল্লাহ পাকের রিবিলেশন আল কুরান, তাওরাত, ইনজিল, যাবুর ইত্যাদি পাঠাতে হইতনা। মানুষেই খুজে বের করত । তাই, বিজ্ঞান দিয়ে আল্লাহ পাক কে পাবেন, কিন্তু আরেক জন আল্লাহ পাক কে পাবে না । কিন্তু কখনই আল্লাহ পাক নাই তাও বলতে পারবেন না ১০০% বিজ্ঞান দিয়ে ।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ ভোর ৫:৫৬