প্রাপ্তির ফান্ড রাইজিং করতে গিয়ে কিছু অভিক্ষতা হয়েছিল। প্রবাসিদের ১ ইউরো = ৯০ টাকা, ১ডলার = ৭০ টাকা, ১ পাউন্ড = ১৩৬ টাকা। আমরা ইস্টার্ন ইউনিয়ন, পে-পল, অথবা ব্যাংক মারফতে যতো টাকা পাঠাই না কেন, কিছু না কিছু চার্জ অবশ্যই করবে। আমাদের একটি পাউন্ড,ডলার দেশের মানুষের একদিনের রোজগার। এখন তো এইটা দূর্গত মানুষের এক সপ্তাহের রোজগার। তাই যতো কম খরচে টাকা পাঠানো যায় ততো ভালো।
প্রবাসিদের একদিনের লাঞ্চের খরচ মিনিমান ৫ ইউরো। এক পেকেট সিগারেটের দাম ৫ ইউরো। ২ দিনের লাঞ্চ,সিগারেট, বিয়ার না খেয়ে ইউরো,ডলার,পাউন্ড সেইভ করতে পারি আমরা, যা দেশের মানুষের এক মাসের রোজগার।
আমরা আমাদের আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে এই মুহূর্তে টাকা পাঠাতে পারি। প্রবাসিদের সবাই কম-বেশি দেশে টাকা পাঠাই। হয়ত সেটা ২/৩ মাস অন্তর অন্তর।সবাই যদি নিজেদের মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজনকে বলে ৫,০০০/১০,০০০ টাকা এখনই দিয়ে দিতে বলি যা পরবর্তীতে বড় এমাউন্টের সাথে পাঠালে কোন অতিরিক্ত চার্জ করবে না।এভাবে কিছু টাকা সেইভ করা সম্ভব।
এখানের স্টুডেন্ট গ্রুপে মেইল করে ফান্ড সংগ্রহের ব্যবস্হা করবো। আগামী শুক্রবারে বাংলাদেশ মসজিদে কিছু সংগ্রহেরও চেষ্টা করবো।
প্রাপ্তির ব্যাপারে আমি এখানে ফান্ড সংগ্রহ করে দেশে বলে দিয়েছিলাম এমাউন্ট। সেই অনুপাতে টাকাটা ওদের বাসায় পৌছে দিয়েছে আমার এক বন্ধু।আমাকে ইস্টার্ন ইউনিয়ন, ব্যাংকের চার্জ গুনতে হয়নি। আমার মনে হয় এভাবে অনেক টাকা সেইভ করা সম্ভব। এখন একজন রিলায়েবল মানুষের ব্যাংক একাউন্ট জানা থাকলে ভালো হয়।
পরিশেষে, আমিমানুষের কথার সাথে একমত পোষন করে বলি। সবাই ওখানে না গিয়ে যদি যাওয়ার ভাড়াটা দিয়ে দেই তাহলে মানুষের অনেক উপকার হবে। ক্লাস নাইনে মনে হয় রিলিফ ওয়ার্ক নামে একটা প্রবন্ধ ছিলো। সবাই পড়েছেন। সেই রকম যেনো না হয়। সবাই শিক্ষিত, মার্জিত আচরন করি। যারা মৃত্যু বরন করেছেন উনাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি।