অন্ধকার মঞ্চ। অন্ধকার মিলনায়তন। সারি সারি দর্শক, অন্ধকারে। এসময় মঞ্চের ওপর নব্বুই ডিগ্রী খাড়া স্পট লাইট এসে পড়ে। ওখানে কাঁচুমাচু করে দাঁড়ায় এক লোক। চেহারা ভাল করে বোঝা যায় না – আলোটা বড্ড বেশী সোজা। ওপর থেকে যে আলো আসে, যে আলো বড্ড সোজাসুজি আসে, তাতে তীব্রতা থাকুক, কিন্তু চেনা... বাকিটুকু পড়ুন

“সুদানীজ্ঝি মারি ফালা ইতারে ...” পিচিক করে থুতু ফেলে বিরক্তি আর বিদ্রুপ মিশিয়ে কথাটা কিংবা কটাক্ষটা সসংশয়ে ছুঁড়ে দিতে দিতে বাবুল শেখ হোয়াইটে আরেকটা টান দেয়, আর তার কুঞ্চিত ভ্রু কাঁদতে কাঁদতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে হঠাৎ মায়ের চড় থাপ্পড় খেয়ে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে জেগে উঠে ফের ভাঙা গলায় কাঁদতে... বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুবর,



কেমন আছ ? আশা করি ভালো । আমাকে মনে পড়ে ??



আমি তোমার কলেজ জীবনের বন্ধু মাখনলাল । ডাঃ মাখনলাল এম বি বি এস !



অনেকদিন তোমার সাথে যোগাযোগ নেই। সেই কলেজ শেষে আমি যেদিন মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেলাম, ... বাকিটুকু পড়ুন

নীপুর ঠান্ডা স্বরে বিস্ফোরক উত্তরটার পর, শেষ চেষ্টায় মরিয়া হয়ে, মুখে জোর করে হাসি ফুটিয়ে, নীপুর বিছানা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে, নিজের শ্বশুর শ্বাশুড়ীর সামনে নীপুর গালে আদুরে হাত বুলিয়ে, এটা সম্পূর্ণ ভুলে গিয়েই যে, এই আচরণ এই মুরুব্বীদের চোখে আরও বেশী আপত্তিকর, মাহফুজ প্রশ্ন করে, “কিসের ভয় সোনা?”

নীপুর... বাকিটুকু পড়ুন

“তুই থাক কিছুক্ষণ, আমরা একটু আসতিসি” পার্থকে বলে মৌসুমী বাদলের সাথে কেবিন থেকে বেরোয়।



ওরা বেরিয়ে যাবার পর পার্থ ধপ করে বসে পড়ে অন্যপাশের একটা সোফায়। এখনও পর্যন্ত অনন্যার মৌনব্রত ভাঙেনি। কায়সারের বিছানার রেলিং ধরে টুলের ওপর মূর্তির মত বসে আছে।



নিজের মধ্যে বুঁদ হয়ে থাকায় অনন্যা... বাকিটুকু পড়ুন

মাথায় মোটা ব্যান্ডেজ, নাকে অক্সিজেনের নল, বাঁ হাতে স্যালাইন নিয়ে অচেতন কায়সার, শুধু শ্বাস-প্রশ্বাসের ওঠানামা ছাড়া আর কোন নড়াচড়া নেই। তার পাশে, একটা ছোট্ট টুলে বসে আছে অনন্যা, তার শূন্য দৃষ্টি বিছিয়ে রাখা সামনের অচেতন, নিথর মানুষটার ওপর। স্নায়ুবৈকল্য যখন চরমে থাকে, তখন কোন চিন্তাই মন মগজে থিতু হয়... বাকিটুকু পড়ুন

[পর্থমেই কইয়া দেই, এইটা একটা চরম ফাউল মার্কা পুস্ট, নিজের রিস্কে হান্দাইবেন, আপনের মাইন্ড খাওনের সব এন্তেজাম এইহানে আছে। তয় আপনে যদি ম্যাঙ্গু হইয়া থাকেন, তাইলে মনয় অত্ত পোড়াইতনা ।]



১) এক লোক পিচিক কইরা পানের পিক ফেলল, আপনার সুন্দর সাদা শার্টটা এলিট পেইন্ট হইয়া গেল, মিজাজ বিলা হইল... বাকিটুকু পড়ুন

১

ডানা ঝাপ্টিয়ে একটা পাখি এইমাত্র উড়ে গেল মাথার ওপর দিয়ে। ওযু শেষে ঋজু হয়ে দাঁড়ানো মুন্সী আব্দুস শুক্কুর, ওরফে শুক্কুর আলী, গভীর মমতাভরা দৃষ্টি ছড়িয়ে দেয় চারপাশে। সুবহে সাদিকের নরম আলোয় পৃথিবীটা বড় সুন্দর, বড় মায়াময় মনে হয়। শীত আসছে, তার জানান দিচ্ছে শেষ অগ্রহায়নের হাল্কা ঠান্ডা বাতাসের... বাকিটুকু পড়ুন

“না, স্যার আজকে কথাটা ঠিক বলেন নাই।” মিসেস তানজীমার অসহিষ্ণুতা স্পষ্ট।

“আপনি কিসের কথা বলতেসেন?” খাতা কাটতে কাটতে মাথা না তুলেই জনাব মামুন প্রশ্ন করেন।

“ঐ যে, হাসান সাঈদের ব্যাপারে বললেন যে!”

“ও!” এবার খাতা থেকে চোখ তুলে মামুন সাহেব মিসেস তানজীমার দিকে তাকান। “স্যারের বলার ধরণটা হয়তো ঠিক হয়... বাকিটুকু পড়ুন

সিঁড়ির সামনে আলো আঁধারিতে রেলিঙে হাত রেখে দাঁড়িয়ে আছে পার্থ। এটা হাসপাতালের পেছন দিকের সিঁড়ি – শুধু কর্মচারীরা, বিশেষত ক্লিনাররা ব্যবহার করে। তাই যত্ন কম, আলো অপ্রতুল, দেয়ালে, মেঝেতে থোকা থোকা কালশিটে, ফেনল-মাখা পচা, ভ্যাপসা একটা গন্ধ। অনেকগুলো বালতি, মেঝে মোছার সোয়াপ, ছেঁড়া কাপড়ের টুকরো, ভিম এর খালি প্যাকেট,... বাকিটুকু পড়ুন

“তুমি কখন আসলা?” নীপু খুব বেশী অবাক হয়নি পার্থকে দেখে।

কোমর পর্যন্ত আকাশী রঙের চাদরে ঢাকা, বাঁ হাতে স্যালাইন লাগানো। পরনে গত সন্ধ্যার পোষাকটাই। ডান চোখের নীচটা ঈষৎ নীলচে হয়ে ফুলে আছে, কপালের ডানপাশে আড়াআড়িভাবে ব্যান্ডেজ। গাল দুটোয় সরু লম্বাটে কিছু কালশিরা মতন দাগ, ওপরের ঠোঁটে দু’জায়গায় রক্ত... বাকিটুকু পড়ুন

কতদিন কাঁদতে পারিনা।



ব্রহ্মতালুতে আগুন জ্বলছে। নিজের একলা ঘরে, শূন্য ঘরে, নিজের একাকীত্বের সাথে, ঘিরে থাকা নীরবতার সাথে, নিজের সাথে একঘেঁয়ে কথোপকথনের ক্লান্তির সাথে শুধু ঘুরপাক খেতে খেতে, দলা পাকিয়ে ওঠা বিষন্নতায়, স্মৃতিকাতরতায় পোড়া প্লাস্টিকের মত শুধুই দুমড়ে মুচড়ে যেতে থাকা। কয়েলের জমে থাকা ধোঁয়ার চেয়ে, সাইনাসে গেঁড়ে বসা শ্লেষ্মার... বাকিটুকু পড়ুন

“আরে! বাদলদা! পার্থ ভাই! আপনারা?” রয়েল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার, বাদলের একসময়কার রুমমেট এবং তার বেশ ঘনিষ্ঠ জুনিয়র মিনহাজ, পার্থ এবং বাদলকে দেখে কিছুটা অবাকই হয়।

“আরে মিনু, তুই!” একটা বিরাট স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বাদল, পার্থও। হাসপাতালে এসেই চেনামুখ পেয়ে যাওয়াটা স্বস্তিদায়কই বটে।

বাদল এবং পার্থর... বাকিটুকু পড়ুন

আলো আঁধারী মেশা করিডোরের দুই প্রান্তে নির্বাক তিনটি প্রাণী। পার্থ আর বাদলকে দেখে প্রথমে প্রচন্ড অবাক হয়েছিল কায়সার। এখন, খুব বিচিত্র হলেও, কিঞ্চিৎ ভয়ও পাচ্ছে সে। কোনরকম হিসেব নিকেশেই এদের উপস্থিতিটাকে মেলাতে পারছে না। যদি অনন্যার কথা শুনেই এসে থাকে তার এই দুই বন্ধু, উঠতি বয়সের, স্থানীয় ছেলে, এর... বাকিটুকু পড়ুন