ব্লগে অনেকেই খাবার দাবার নিয়ে ছবি পোস্ট করে। আর ছবির মজার মজার খাবার দেখে আমরা ভার্চুয়াল স্বাদ নেই। অনেকের মুখেই লালা ঝরে। আমরা অনেকেই আবার জানি যে এই জীবনে উনার হাতের রান্না খাওয়া সম্ভব না তাও মজার মজার খাবার দেখে বলি ‘’অনেক মজা হয়েছে, কবে দাওয়াত দিবেন’’। আরো নানা কথা।
কিন্তু শুধু ছবি দেখে ভার্চুয়াল খাবারের স্বাদ নেওয়ার মানুষ আমি না। অনন্ত জলিল না হয়েও অসম্ভবকে সম্ভব করাই আমার কাজ।এই ব্লগের কামরুন নাহার বীথি আপাকে যারা নিয়মিত ব্লগিং করেন, অনেকেই চেনেন। উনার সাথে আমার ভার্চুয়াল পরিচয় অনেক বছরের।একবার আমার বাসায় অনেক ব্লগার ভাইবোন নিয়ে আড্ডা দিয়েছিলাম।কামরুন নাহার আপা তখন উনার নিজ হাতে বানানো চিকেন ফ্রাই আর পায়েস নিয়ে প্রথমবার ভার্চুয়াল লাইফ থেকে রিয়েল লাইফে পদার্পন করেছিলেন।সেই পায়েস নিয়ে ব্লগার ভাইবোনের মধ্যে কাড়াকাড়ি লেগে গিয়েছিল। আহা কি আনন্দ হয়েছিল সেদিন। এই সামু ব্লগের ব্লগ রত্ন ওরফে আমার ব্লগ বন্ধু সেদিন কি সারপ্রাইজ ই না দিয়েছিল আমাকে। যাক সেই কথা আরেকদিন হবে।
নাহার আপার বাসা আমার বাসার খুবই কাছে। কিন্তু যাব যাব করে যাওয়া হয়নি। অবশেষে আমি যখন আবার দেশের বাইরে চলে আসার সিদ্ধান্ত নিলাম তখন উনি উনার বাসায় আমি সহ আরো কয়েকজন ব্লগারকে রাতে খাওয়ার ও আড্ডার দাওয়াত দিলেন। আমার তখন অবস্থা খুবই খারাপ। দুইদিন পর চলে আসবো তাই অনেক কাজ আবার দাঁতেও সমস্যা। দাওয়াতে যাওয়ার আগে গেলাম আমার ডেন্টিস্টের কাছে, বললাম ‘’ডাক্তার সাহেব আজকে দাওয়াতে যাব, কিছু কি খাওয়া যাবে’’। ডাক্তার সাহেব বললেন অবশ্যই।
তারপর গেলাম নাহার আপার বাসায়। গিয়ে দেখি খাবার নিয়ে এলাহি কারবার। নানা রকম আইটেমে টেবিল ভর্তি। হাল্কা নাস্তা করে উনার বাসা দেখলাম।সবচেয়ে ভালো লেগেছে উনার বাসায় অনেক লোকজন দেখে। উনার শাশুড়িও উনার সাথেই থাকেন।উনার শাশুড়ির রুমটা অনেক সুন্দর। দক্ষিণের বারান্দা দিয়ে শো শো করে বাতাস আসে। সেদিন আমার দাঁতে সমস্যা থাকার জন্য সব খাবার টেস্ট করতে পারিনি।তবে এরপর দেশে যখনি যাব অবশ্যই উনার মজার মজার খাবার খেতে বার বার উনার বাসায় যাব।
মেইন ডিশের পর আরো অনেক রকম ডেজার্ট ছিল। যেমন জর্দা, পায়েশ,দই, মিষ্টি আরো যেন কি কি। ছবি তুলতে মনে ছিলনা। আসল কথা বলতেই ভুলে গেছি। নাহার আপার বর মানে ভাইয়ার হাতে বানানো বুরহানিটা ছিল অসাধারণ।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৮