রাতেই অনেক পরিকল্পনা করে রেখেছে ছেলেটা।কম্পিউটারে দেখেছি মা, বাবাকে ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র শুভেচ্ছা জানানোর জন্য কিসব লিখছে। সকালে প্রিন্ট করে কেটে আবার পেস্ট করেছে।তারপর সেই কার্ড আমাদের দিয়েছে।
আমরাও তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বললাম, যাও বাবার সাথে বাইরে গিয়ে খেয়ে এসো। সে তৈরি হয়ে বাইরে গেল।কিছুক্ষণ পর ফিরে এসেই আমাকে বাসার নিচে থেকে ফোন দিয়ে বলে ‘মা তাড়াতাড়ি নিচে আসেন’। নিচে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম কি হল, ডেকেছ কেন? সে বলল যে বাইরে গিয়ে হাল্কা খাবার খেয়েছে আর আমাদের বাসায় যারা আমাদের বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত আছে তাদের জন্য সে ভ্যালেন্টাইন্স উপহার হিসেবে খাবার কিনে নিয়ে এসেছে। এখন সে সবাইকে খাবার দিবে।
আজ ছুটির দিন আর তাদের কাজের সময় পরিবর্তন হয় বলে আরো চারজন আজ কাজে আসেনি, আকিফ মানে আমার ছেলে বলল বাকি চারজন যারা এখন বাদ পড়েছে তাদের সে সোমবারে খাবার দিবে। মা বাবার প্রতি সন্তানের আর সন্তানের প্রতি মা বাবার ভালোবাসা চিরন্তন। সেই সাথে আশেপাশের অন্যদেরও যে ভালোবাসতে হয়, ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে হয় তা আকিফকে একদম ছোটকাল থেকেই শেখানোর চেষ্টা করেছি। ছোট মানুষ তাই অনেক সময় সব কিছু মনে রাখতে পারেনা। মাঝেমাঝে সে ভুলে গেলেও আমি তাকে মনে করিয়ে দেই। যখনি কোন উপলক্ষে সে আমাদের কিছু দিতে চাই, আমি তাকে মনে করিয়ে দেই যে যারা আমাদের বাসায় বিভিন্ন কাজ তাদের জন্যও কিছু কিনতে হয়। টাকা আমরাই দেই কিন্তু এসব করে করে তার নিজের মধ্যে এখন এই উপলব্ধি এসেছে যে পরিবারের লোকজন ছাড়াও অন্যদের জন্যও আমাদের দায়িত্ব আছে।
ভালোবাসা হোক সবার তরে। সবাইকে ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র শুভেচ্ছা।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৭