ধর্ম যার যার রাজনীতি আল্লাহর!
মানুষের ইতিহাসে 'রাজনীতি' অনেক পুরোনো শব্দ হলেও মানুষের স্রষ্টা কখনোই এ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেননি। বরং প্রতি যুগেই প্রতিটি জনপদে তিনি তাঁর প্রেরিত মানুষদের মাধ্যমে মানুষকে তাদের জীবনের যাবতীয় বিধি-নিষেধের সাথে সাথে রাজনীতির দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। সর্বশেষ প্রেরিত পুরুষ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাধ্যমে মানুষের প্রতি প্রেরিত বিধানকে আল্লাহ্ পরিপূর্ণতা দান করলেন। এ সর্বশেষ বিধানে রাজনীতি আরো ব্যাপকতা লাভ করেছে এবং পরিপূর্ণতা সাধিত হয়েছে। যার বাস্তব নমুনা স্বয়ং আল্লাহর নবী তাঁর জীবদ্দশায় নিজে বাস্তবায়ন করে দেখিয়ে গেছেন। তারপর তাঁর নিজ হাতে গড়ে তোলা অনুসারীগণ পর্যায়ক্রমে পৃথিবীবাসীর কাছে তাকে আরো বিস্তৃত করেছেন।
আজকাল রাজনীতি থেকে সেকুল্যার (পার্থিব) মতাদর্শীরা স্রষ্টার অংশগ্রহণকে অস্বীকার করা শুরু করেছে। তারা বলে বেড়াচ্ছে যে, র্ধম আর রাজনীতি আলাদা জিনিস। কিন্তু পাশাপাশি একই সাথে এ সময়ের প্রজন্ম অন্য সব বিষয়ের মত ধর্মকেও বুঝে শুনে মানতে শুরু করেছে। এখন আর শুধুমাত্র মাদ্রাসার হুজুর আর মসজিদের ইমাম পর্যন্ত ইসলাম সীমাবদ্ধ নেই; বরং প্রতিটি ঘরে ঘরে, পাড়ায়-মহল্লায়, মিডিয়া-ইন্টারনেট ইত্যাদিতে ইসলামের বাস্তব অনুশীলন হচ্ছে। আগের মত ইসলামী লেখকরাও এখন আর কোন উদ্ধৃতির শেষে "আল কুরআন" বা "আল হাদীস" লিখে দিয়েই দায়মুক্ত হতে পারেন না। এ প্রজন্ম জানতে চায়- কোন সূরার কত আয়াত থেকে উদ্ধৃতি দিয়েছেন? কোন গ্রন্থের কত নম্বর হাদীস উদ্ধৃত করেছেন, এর সনদ কি? কবি নজরুলের আক্ষেপ- ইসলাম এখন আর বিবি-তালাকের ফতোয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই; বরং তা এখন নতুন প্রজন্মের শিরা-উপশিরায় টগবগে রক্তের মত প্রবাহিত। তাই এ কথাও আজকাল পঁচতে শুরু করেছে যে, 'ধর্ম আর রাজনীতি আলাদা' কিংবা 'যার যার ধর্ম তার তার কাছে' অথবা 'ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার' ইত্যাদি। বরং এখনকার শ্লোগান- "র্ধম যার যার রাজনীতি আল্লাহর"!!!!
কথাটি মুফতী কাজী ইব্রাহীম সাহেবের। আমি তাঁর জন্য দো'আ করছি। বর্তমান সময়ের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি শ্লোগান তুলে দিয়েছেন নতুন প্রজন্মের মুসলিমদের মুখে। আল্লাহ্ এর বাস্তবায়ন আমাদের দেশে এবং সারা বিশ্বে করুন আর সে সংগ্রামে আমাদেরকে শামিল করুন।
ভিডিওটি দেখুন-
ধর্ম যার যার রাজনীতি আল্লাহর!