আমাদের শ্রীলঙ্কা সফরে একদিনে সবচেয়ে দূরের যাত্রা ছিল নূয়েরা ইলিয়া থেকে গল। পাহাড়ি পথে প্রায় দুশ ষাট কিলোমিটার রাস্তা নেহায়েত কম নয়। তারমধ্যে হোটেল থেকে দেরিতে বেরিয়ে গ্রেগরি লেক সীতা মন্দির এবং রাম্বোদা ফলস্-এ অনেকটা সময় কাটিয়ে প্রকৃত পক্ষে যখন যাত্রা শুরু হলো ঘড়িতে তখন বেলা দুপুর। পথে আর একবার গোলাপি ডাব দেখে থামতে হলো। আবার কবে কখন গাছ থেকে সদ্য পেড়ে আনা গোলাপি ডাবের দেখা মেলে সেই কারণে কচি ডাবের লোভ কেউ সামলাতে পারলো না। কিন্তু ডাবের জলের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার কারণে যে আরও একবার যাত্রা বিরতি দিতে হবে সে কথা তো কারোরই জানা ছিল না।
প্রায় জনমানবহীন পথের পাশে পাহাড়ি নদীর কোল ঘেষে গড়ে উঠেছে বিশাল শপিং কম্পেøক্স। নতুন এই বিপনী কেন্দ্র নিঃসন্দেহে শুধুমাত্র টুরিস্টদের জন্য। অনুমান করা যায়, আগামীতে পোশাক পরিচ্ছদ, মূল্যবান পাথর এবং ফাস্টফুড ছাড়াও এখানে উপহার সামগ্রীর বিপুল সমাবেশ ঘটবে। আপাতত একটি জুয়েলারি শপ সবার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। কম্পেøক্সের পেছনে নদীর ওপারে পাহাড় আর পাহাড় থেকে নেমে আসছে অবিরাম ঝর্নাধারা। কাজেই এখানে দাঁড়িয়ে শুরু হলো আরো একবার প্রাকৃতিক পটভূমিতে ছবি তোলার পালা। সবচেয়ে বড় কথা, যে কারণে এখানে থামতে হয়েছিল সেই টয়লেট বাথরুমগুলো একেবারে ঝকঝকে তকতকে। অতএব যাত্রা বিরতির প্রয়োজন মিটিয়ে যখন বাহন যখন চলতে শুরু করলো, তখন পথের দুপাশে শুধু ঘন বন জঙ্গল আর নয়তো একপাশে খাড়া পাহাড় আর অন্য পাশে গভীর খাদ। মাইলের পর মাইল কোনো শহর বন্দর জনপদ নেই। এদিকে সময়ের সাথে সাথে ক্ষুধা তার অস্তিত্ব জানান দিতে শুরু করে। কিন্তু এ পথে হোটেল রেস্টুরেন্ট তো দূরের কথা, বনরুটি কলা ঝোলানো টং দোকানেরও দেখা মেলে না।
অবশেষে আরও অনেকটা পথ চলার পরে পাহাড়ের গায়ে ঘন অরণ্যের মাঝখানে একটা রেস্টুরেন্টে গাড়ি দাঁড় করালো বান্দারা। রেস্তোরার চেহারা ভালো, আশেপাশের দৃশ্য মনোরম এবং মালিক শ্রমিক সকলেই ব্যবহারে অমাইক। কিন্তু সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে জানা গেল এই মুহূর্তে এখানে কোনো খাবারের ব্যবস্থা নেই তবে আধা ঘণ্টা সময় দিলে ফ্রাইড রাইসের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। যেহেতু এই আধাঘণ্টা শেষপর্যন্ত এক ঘণ্টায় রূপান্তরিত হতে পারে এবং যেহেতু প্রায় কেউই ফ্রাইড রাইস খেতে আগ্রহী নয়Ñ সেই কারণে আমাদের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত হলো আধা ঘণ্টায় বরং যতটা এগিয়ে যাওয়া যায় সেই চেষ্টা করাই ভালো। পথের পাশে বিজন বনের এই রেস্তোরায় টুরিস্ট সমাগম খুবই কম বলে এরা আগে থেকে খাবার তৈরি করে রাখে না। তবে খাবার না থাকলেও সব ধরণের পানীয়ের ব্যবস্থা ছিল। প্রয়োজন না থাকলেও ভদ্রতা করে নয়ন কয়েকটা সফট্ ড্রিংকের বোতল কিনে গাড়িতে উঠে গেল।
আমি অনূঢ়াকে বললাম, ‘এ বেলা কি আমাদের উপোস করে কাটাতে হবে?’
‘আমি ভেবেছিলাম মাতুগামায় পৌঁছে একটা ভালো রেস্টুরেন্টে খাবার ব্যবস্থা করা যাবে, কিন্তু নুয়ারা ইলিয়া থেকে বের হতেই হলো বেলা দুপুর।’ সত্যিই তো, আমাদের দেরির জন্যে অনূঢ়ার দোষ দেয়া যায় না।
‘এ পথে আর কোথাও খাবার ব্যবস্থা নেই?’
অনূঢ়া একটু হিসাব নিকাশ করে বললো, ‘উই ক্যান গো টু কিতুল গালা... বাট ইট উইল বি এ বিট রাউন্ড এ্যাবাউট। কুড়ি পঁচিশ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হবে।’
‘থাক তাহলে এই অবেলায় আর তেতুল গোলায় গিয়ে এবং তেতুল গোলা খেয়ে কাজ নাই, পথের ধারে যা পাওয়া যায়
তাই সই।’
‘ইটস নট তিতুল গালা স্যার, ইটস কিতুল গালা। স্মল টাউন বাট ভেরি নাইস।’
শ্রীলঙ্কার দক্ষিণাঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা রেইন ফরেস্টের কোলে কল্যাণী-শ্রীলঙ্কানরা অবশ্য বলে কেলানি- নদীর তীরে তিতুল গালায় সাইক্লিং, হোয়াইট ওয়াটার র্যাফ্টিং এবং জঙ্গল ওয়াকিংসহ অবসর বিনোদনের নানা রকম আকর্ষণ ছড়িয়ে আছে। পশ্চিম দেশের এ্যাডভেঞ্চার প্রিয় ভ্রমণবিলাসিদের কাছে কিতুল গালা তাই এক রোমাঞ্চকর গন্তব্য। আমাদের হাতে সময় ও পকেটে ডলারের সংকট এবং তার সাথে ভ্রমণ সম্পর্কিত ধারণার ভিন্নতার জন্যে রহস্য রোমাঞ্চের অভিযান আমাদের টানে না। হলিউডের বিখ্যাত ছবি ডেভিড লিনের ‘ব্রিজ অন দ্য রিভার কাওয়াই’এর উল্লেখযোগ্য অংশের স্যুটিং হয়েছে এখানে এই কিতুল গালাতে। মূল কাহিনির ঘটনাস্থল থাই-বার্মা সীমান্তে কাঞ্চনবুড়িতে কাওয়াই নদীর ডেথ রেলওয়ে ব্রিজ। চলচ্চিত্রের প্রয়োজনে পুরো সেতুটি স্যুটিংএর উপযোগী করে পুনঃনির্মাণ করা হয়েছিল কেলানি নদীর উপরে।
আধাঘণ্টার পথ পাড়ি দেবার আগেই থামার মতো একটা জায়গা পাওয়া গেল। এবারে রেস্টুরেন্ট নয়- বেকারি, চায়ের দোকান এবং আমাদের দেশের মিনি চাইনিজের শ্রীলঙ্কান মিশ্র সংস্করণ। যারা এর আগে ফ্রাইড রাইসে আপত্তি জানিয়েছিলেন, দেখা গেল তারা প্রায় সকলেই চিকেন ফ্রাইড রাইচ নিয়ে বসে গেছেন। আমি আর নয়ন অবশ্য সত্যিই বনরুটি এবং কলা সহযোগে লাঞ্চ শেষ করলাম। এ ছাড়াও প্যান কেক-চিপস, চা-কফি-দই, অরেঞ্জজুস-চকলেট মিল্ক ইত্যাকার নানা রকম হাবিজাবি খাবার নেয়ার পরে কাউন্টারে বসা বৃদ্ধা মহিলার পক্ষে হিসাব মিলানো কঠিন হয়ে পড়লো। তাঁর ইংরেজি ভাষাজ্ঞান আমাদের সিংহলি ভাষাজ্ঞানের মতো। অনূঢ়ার সহায়তা নিয়ে দাম মিটিয়ে দেয়া হলো। কিন্তু তিনি শেষপর্যন্ত সন্তুষ্ট হয়েছেন বলে তার চেহারা দেখে মনে হলো না।
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সাউদার্ন এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার আগে পর্যন্ত তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেনি। মাতুগামা এবং বেলিপেন্নার মতো কয়েকটা ছোট ছোট শহর পেরিয়ে এসেছি। সম্ভবত মাতুগামা থেকে বেরোবার মুখে সামান্য ট্রাফিক জ্যামে পড়েছিলাম। ইচ্ছে করলেই সুযোগ মতো আমাদের গাড়িটা বেরিয়ে যেতে পারতো, কিন্তু বান্দারা সে চেষ্টা না করে রাস্তা খালি হওয়া পর্যন্ত ধৈর্য ধরে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলো। মাতুগামা থেকে সাত আট কিলোমিটার এসে প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বেলিপেন্নায় আর একবার থামতে হলো। বাইরে থেকে রেস্টুরেন্ট মনে হলেও এবারে ভেতরে সত্যি সত্যি একটা বেকারি। এখানে তৈরি হচ্ছে পাউরুটি কেক বিস্কুট। তন্দুর থেকে বেরিয়ে আসছে গরম গরম বনরুটি। তবে এখানকার টয়লেটের অবস্থা করুণ। ছিটকানি লাগাতে গেলে পুরো দরজাই খুলে আসতে চায়। উপরে তাকালে শুধু খোলা আকাশ নয়- একটু দূরে দোতলা তিনতলার ব্যালকনিতে দাঁড়ানো প্রতিবেশিদের সাথে কথাও বলা যেতে পারে। বের হবার সময় আমরা গোটা কয়েক গরম বনরুটি কিনে গাড়িতে উঠে গেলাম। ব্যাপারটা নেহায়েত সৌজন্যের কারণে নাকি গরম বনরুটির ঘ্রাণ আমাদের প্ররোচিত করেছিল বলা কঠিন।
শ্রীলঙ্কার প্রথম ‘ই-ক্লাস’ মহাসড়ক সাউদার্ন এক্সপ্রেসওয়ে চালু হয়েছে ২০১১ সালে। কলম্বো থেকে গল হয়ে মাতারা পর্যন্ত আগে যেখানে চার ঘণ্টা সময় লাগতো এখন এক্সপ্রেসওয়ের ১৬১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয়া যায় দেড় ঘণ্টায়, আর গল পর্যন্ত ১১৬ কিলোমিটার যেতে সময় লাগে মাত্র এক ঘণ্টা। এই শতাধিক কিলোমিটার পথে হাট বাজার কিংবা আড়ত মোকাম রাস্তার উপরে এসে হুমড়ি খেয়ে পড়েনি। বাড়ি ঘর স্কুল কলেজ থাকলেও এদের সাথে দ্রুতগড়ির এই রাজপথের কোনো সম্পর্ক নেই। ইচ্ছে করলেই সাইকেল ভ্যানগাড়ি বা নছিমন চালিয়ে রাস্তায় উঠে পড়া যাবে না। ১১৬ কিলোমিটোরে মাত্র আটটি নির্ধারিত ইন্টারচেঞ্জে এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠা এবং এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নামা যাবে।
বেলিপেন্না ইন্টারচেঞ্জে এসে সাউদার্ন এক্সপ্রেসওয়েতে উঠে যাবার পরে গলের দূরত্ব ষাট কিলোমিটারের মতো। সে হিসাবে গলে পৌঁছাতে আমাদের চল্লিশ মিনিটের বেশি লাগার কথা নয়। দু পাশে ছয় লেন বিশিষ্ট মহাসড়কে হু হু করে ছুটে চলেছে বান্দারার বাহন। রাস্তার দুপাশে জ্বলে উঠেছে সারি সারি নিয়ন বাতি। দেখতে মন্দ লাগছে না, কিন্তু তারপরও মনে হয় এই বিস্তৃত মসৃণ রাজপথ যতোটা আলোকোজ্জ্বল হবার কথা ছিল ততোটা ঝকঝকে নয়। হয়তো বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হবার কারণে এই নিষ্প্রভ দশা।
চল্লিশ মিনিটের মধ্যেই গল এক্সিটওয়েতে ঢুকে গেলাম। রাতের গল দেখে বোঝার উপায় নেই এটি শ্রীলঙ্কার চতুর্থ বৃহত্তম শহর। সড়ক মহাসড়ক ছেড়ে গলের গলি পথে দীর্ঘক্ষণ ঘোরা ফেরার পরেও গন্তব্যে না পৌঁছে শহর থেকে বেরিয়ে আবার যাত্রা শুরু হলে অনূঢ়াকে জিজ্ঞেস না করেই পারলাম না, ‘গল তো পেরিয়ে গেলাম, কোথায় যাচ্ছি আমরা।’
‘ইট উইল টেক ওনলি এ ফিউ মিনিটস স্যার, উই উইল বি স্টেইং এ্যাট অহনগামা এরিয়া। হোটেল ইনসাইট- বিউটিফুল হোটেল... ভরি নিয়ার টু দ্য বিচ।’
অহনগামাকে এরিয়া বললেও আসলে মূল নগর কেন্দ্র থেকে প্রায় পঁচিশ কিলোমিটার দূরে অগনগামা একটি ছোট্ট শান্ত স্নিগ্ধ শহর। এখানে সমুদ্রের কোল ঘেষে গড়ে উঠেছে অসংখ্য পান্থ নিবাস রিসর্ট এবং আবাসিক হোটেল। গল-এর চেয়ে অনেক কম খরচে থাকা যায় বলে অনেকেই পথের এই দূরত্বটা কিছু মনে করেন না। তাছাড়া এখানে শান্ত সমুদ্রের তীরে বসে দীর্ঘ অবসর কাটাতেও আসেন অনেকেই। আমরা নগর কেন্দ্রে অথবা উপশহরে যেখানেই থাকিনা কেন, হোটেলওয়ালাদের এতে লাভক্ষতির কোনো ব্যাপার নেই, আমাদের এককালীন হিসাব নিকাশ সবই ইউনিক ট্যুরস-এর সাথে। স্বাভাবিকভাবেই ইউনিক চেষ্টা করবে অতিথিদের কতো কম খরচে কতটা ভালো রাখা যায়! রাত আটটার দিকে অহনগামা পোস্ট অফিসের ঠিক উল্টো দিকে অহনগামা ইনসাইট এসে মনে হলো আমাদের সাধ্যের মধ্যে সবচেয়ে ভালো জায়গাতে রাত্রি যাপনের ব্যবস্থা করার ব্যাপারে শিহান তাহিরের আন্তরিকতায় কোনো কমতি ছিল না।
; খোলামেলা ডাইনিং হল পাশ কাটিয়ে পাথরের টুকরো বসানো উঠান পেরিয়ে আমরা আমাদের রাতের আবাসে পৌঁছে গেলাম। বেশ বড়সড় কক্ষের জানালা দিয়ে সমুদ্র দেখা যায়। ইনসাইটের প্রায় সীমানা বেষ্টনীর কাছে ভেঙে পড়ছে দূর থেকে ছুটে আসা তরঙ্গমালা। ব্যালকনিতে বসে রাতের সমুদ্রের সেই দৃশ্য স্পষ্ট চোখে না পড়লেও বিরতিহীন গর্জন আর ক্ষণে ক্ষণে ভেজা হাওয়ার আসা যাওয়ায় বুঝতে পারি আমরা আর কখনোই সাগরের এতো কাছাকাছি রাত্রি যাপন করিনি। মাহবুবা জানালায় দাঁড়িয়ে যতোটা উচ্ছসিত, আমাদের কন্যা ঠিক ততোটাই উদ্বিগ্ন। ‘সমুদ্রের এতো কাছে থাকাটা কি নিরাপদ? রাতে যদি জলোচ্ছ্বাস হয় কিংবা হঠাৎ করে ছুটে আসে সুনামি!’
গলের বিধ্বংসী স্যুনামির ইতিহাস খুব পুরোনো নয়। মাত্র দশ বছর আগে ভারত মহাসাগরের তলায় সৃষ্ট ভূমিকম্পের প্রভাবে পাঁচ থেকে ছয় মিটার উঁচু জলরাশি বিপুল বেগে ছুটে এসে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল গলসহ আশে পাশের বেশ কয়েকটি শহর নগর ও গ্রামীণ জনপদ। শ্রীলঙ্কার চারশ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ এই দুর্যোগে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত চল্লিশ হাজার মানুষ। ২০০৪ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষ রবিবার। বড়দিনের উৎসব আনন্দেন রেশ তখনো মিলিয়ে যায়নি। রোদ ঝলমলে সকালে রাস্তায় যানবাহন চলতে শুরু করেছে। অফিস আদালত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও দোকানপাট ও বাজার হাটে সবে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। অনেকেই ছুটির দিনের পোশাক পরে বেরিয়েছিলেন চার্চের পথে। সেই সময় শ্রীলঙ্কার বিস্তৃত উপকূল জুড়ে মৃত্যুদূতের মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো মহাশক্তিশালী স্যুনামি। প্রকৃতির এই ধ্বংসযজ্ঞ কয়েক মিনিটের মধ্যে ল-ভ- করে দিয়েছিল গলের বিশ্বখ্যাত ক্রিকেট স্টেডিয়ামসহ শত শত বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ মন্দির চার্চ, যানবাহন এবং রেলপথ। কলম্বো থেকে গলের পথে ‘সি কুইন’ নামের একটি চলমান যাত্রীবাহী ট্রেনকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছিল এই আকস্মিক আঘাত। শুধুমাত্র একটি বিধ্বস্ত রেলগাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল এক হাজার সাতশটিরও বেশি মৃতদেহ।
আনিকার আশঙ্কা অমূলক নয়। শতাব্দীর দ্বিতীয় ভয়াবহ স্যুনামি যদি সত্যিই ছুটে আসে আজ রাতে!
চলবে...
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:২৪