ঢাকা থেকে রাজশাহী যাওয়ার পথে শহরের ৩০ মিনিট আগেই পুঠিয়া । পুঠিয়া বাজার থিকে ভ্যানে ১০ টাকা নেয় এই রাজবাড়ীতে আসতে । পুঠিয়ার প্রায় অনেকটা জায়গা নিয়েই আছে বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় মন্দির আর রাজবাড়ী।
বিশাল রাজবাড়িটি তৈরি করেছিলেন “রানী হেমন্তকুমারি দেবী” ১৮৯৫ সালে, তাঁর শাশুরী “মহারানী শরৎসুন্দরী দেবীর” সৈজন্যে। প্রথমেই পরে শিবমন্দির যা প্রায় দুইতলা সমান বেদির উপরে তৈরি। অত্যন্ত সুন্দর কাজের ছাপ এই মন্দিরের প্রটিতি দেওয়াল ঘিরে। ১৯৭১ সালে এই মন্দিরকে ধংস করে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়। যার চিহ্ন আজও আছে দেওয়াল এর গায়ে। বিশাল এই রাজবাড়ীর সাথে আরও একটি মন্দির আছে যার নাম “পঞ্চরত্ন গোবিন্দ মন্দির”। এই মন্দিরে এখনও পুজো হয়। এই মন্দিরের ভিতরে আর বাহিরের অত্যন্ত সুন্দর কারুকাজ দেখে যে কেউ মুগ্ধ হবে । এই মন্দিরের সাথে দিনাজপুরের কান্তজি মন্দিরের অনেক মিল রয়েছে। পূজারী একজন অমায়িক মানুষ , নিজেই বিভিন্ন কারুকাজের ব্যাখ্যা দেন। পুরা এলাকা ভালমতো ঘুরে দেখতে ২ ঘণ্টা দরকার । কোথাও কোন টাকা দিতে হয়না। আসুন ছবিতে দেখে নেই এই রাজবাড়ীটি।
পুঠিয়া রাজবাড়ি
পঞ্চরত্ন গোবিন্দ মন্দির। রাজবাড়ীর ভিতরে রয়েছে।
পঞ্চরত্ন গোবিন্দ মন্দির।
পুঠিয়া রাজবাড়ির ভিতরে।
ডোলা মন্দির
ছোট গবিন্দ মন্দির
শিবমন্দির, রাজবাড়ীর আগেই এই মন্দির পরবে।
শিবমন্দিরের ভিতর। অসাধারণ একটি মন্দির।
সময় করে একদিন চলে যান। রাজবাড়ীর আর মন্দিরের দায়িত্বে রয়েছেন আলাদা আলাদা লোক। তাদের বললেই তালা খুলে সব কিছু দেখার সুযোগ করে দিবে। সময় থাকলে বাঘা মসজিদ দেখতে পারেন, যা ৩০/৪০ মিনিট দুরেই রয়েছে। ৩০ মিনিট দূরে রয়েছে নাটর রাজবাড়ী ও গণভবন, সাথে আরও পাবেন নাটোরের বিখ্যাত কাঁচাগোল্লা। ১ দিন সময় নিয়ে গেলে সব দেখাই সম্ভব।
পুঠিয়া রাজবাড়ি ও মন্দিরের সম্পূর্ণ অ্যালবাম দেখতে ক্লিক করুন
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:১৭