হুমায়ুন আহমেদের কবর নুহাশ পল্লীতে হলেই মনে হয় সবচে বেশী ভাল হয়। তিনি নাকি নিজেই নুহাশে সমাধিস্থ হওয়ার ইচ্ছে পোষন করেছেন। তার এই ইচ্ছাকে সরকার আয়ের একটা উৎস হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন। নুহাশে যদি হুমায়ুন আহমেদের কবর হয় তাহলে একটা বিরাট সুবিধা পাওয়া যাবে। নুহাশের আয়ের টাকা দিয়ে একটা সেঁতু নির্মানও হয়ে যেতে পারে। গত কয়েকদিনে মিডিয়া যেভাবে হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যুকে দিয়ে মানুষের আবেগ বিক্রি করেছে তা যদি অব্যাহত থাকে তো কথাই নেই। ধরে নিই নুহাশে হুমায়ুন আহমেদের কবর হল। আর নুহাশে প্রবেশের জন্য যদি ৫০ টাকা ফি ও দিতে হয় বাংলাদেশে হুমায়ুন আহমেদের যে পরিমান ভক্ত আছে তাতে ১ মাসে কমপক্ষে কয়েক কোটি টাকা ইনকাম হবে। আর যদি মিডিয়া কোনভাবে এটা প্রচার করতে পারে যে নুহাশ পল্লীর ভেষজ পাতা চোতা খেলে মানুষের যে কোন রোগ বালাই ভাল হয়ে যাচ্ছে। তাহলে আর যাই কোথায় সারা বাংলার মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়বে। যত টাকাই লাগুক না কেন। আবার নুহাশে যদি হুমায়ুন আহমেদের একটি মাজার তৈরী করে বছর বছর উরস শুরু করা যায় তাও আয়ের একটা বড় উৎস হবে। সারাদেশের ভক্তরা পশুপাখি, টাকা পইসা নিয়ে হাজির হবে। অন্য কোথাও কবর দিলে এই সুবিধাগুলো পাওয়া যাবে না। তাই সরকার নুহাশ পল্লীকে সরকারের সম্পত্তি হিসেবে বাজয়োপ্ত করে (যেহেতু এই সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক ঝামেলা হতে পারে) এখানে আয়ের একটা উৎস সৃষ্টি করতে পারে। যা হুমায়ুন আহমেদকে অন্য কোথাও কবর দিলে সম্ভব হবে না।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১১:২১