কখন যে ডুবে গেল আমার চঞ্চল প্রজাপতি
তোমার কার্ণিশের ঢেউয়ের জলে !
অংশুমানের পতিত রস্মি তখনও নির্বিকার তাকিয়ে,
আমি আঁধারে ধূপদীপ জ্বালালাম ,
সমর্পন করলাম আমার নিয়তির ঝরো মেঘ ,
ধ্রুপদ সুরালয়ে তোমাকে ডাকলাম
প্রেম পূজোঘরে স্বাগতম জলপিয়া !
তুমি হাতের উল্টো পিঠেও অংকন কর
কিংবা বিনির্মাণ করতে পার এই আমাকে ,
ইচ্ছে করলেই নামাতে পার আকাশ সিলিং গলে রোদ্রকণা
কিংবা সময়ের উল্টোপিঠের কোন বৃষ্টিধোঁয়া এই বর্ষণ বিষুবে ।
আমাকে অদৃশ্য করতে পার ; উড়াতে পার নক্ষত্রে ক্রমেই
অথবা আবদ্ধ করতে পার
তোমার বাহুডোরে আমার সময়ের প্রবাহন ,
তার চেয়ে চল ঘুমিয়ে পড়ি জলপাই পাতায় কিছূক্ষন
উদ্দিপ্ত যুগল মাংশে নিয়ে আনি প্রেম-বিদ্রোহের আগ্রাসন ।
নিয়ে নাও সোনালী ঘাস ফড়িং ,
মিশিয়ে দিলাম তোমার নূপুর নৃত্যে ,
মর্ত্যালোকের স্বর্গকে স্পস্টত স্তব্দ বানিয়ে
তোমাকে দিলাম ইথিওপিয়া রঙ !
তুমি ঈষৎ শীষ দিতে পার পৃথিবী জানালায়
কিংবা আমণ্রন জানাতে পার বাসন্তিক আহব্বানে এই আমাকে,
ইচ্ছে করলেই মোহাচ্ছন্ন কর হলদেটে টিপের মায়াজালে
কিংবা ছাঁই উড়াও আমার প্রার্থনালয়ের ।
আমকে নিঃস্ব করতে পার ; তুলে নিতে পার বিচ্ছিণ্ণ দ্বীপে
অথবা হাটূ গেড়ে বসিয়ে অনন্তকাল
রাখতে পার তোমার অপেক্ষার ক্ষন ,
তার চেয়ে বরং ঘুমিয়ে পড়ি জলপাই পাতায় কিছূক্ষন
উদ্দিপ্ত যুগল মাংশে নিয়ে আনি প্রেম-বিদ্রোহের আগ্রাসন ।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০৪