সকল মুসলমান ভাইবোনদের জন্য রইল সালাম আর সহি সালামতে রামাদানের সকল আনুষ্ঠানিকতা- সিয়াম, সংযম, আল্লাহ সুবানাহুওয়াতায়ালার নৈকট্য আর সান্নিধ্যের লাভের জন্য যাতে বেশী থেকে বেশী নেক আমল করতে পারেন তার জন্য রইল অগ্রীম মোবারকবাদ।
রোযা রাখার পর ভাজা পোড়া খাওয়া আমাদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে, তাই এটা নিয়ে কিছু বলছি না। আমার আপত্তি দোকানের মিষ্টি নিয়ে। গতবারের রোযায় আমরা দেশে ছিলাম। তাই আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের নিমন্ত্রণ রাখতে মাঝে মাঝেই ইফতারের দাওয়াত গ্রহণ করতে হয়েছে। তারা ও খুব আদর করে নানান ধরনের মিষ্টি রাখতো খাবারের মেনুতে। আমার মিষ্টি একেবারেই পছন্দ না, তারপরও তাদের জোরাজুরীতে ৩ দিন খেয়েছি, ৩ দিনই ডায়রিয়া হয়েছে। আমার বন্ধুরা জানে না, তাদের ভালোবাসার মূল্য আমাকে দিতে হয়েছে খুব খারাপভাবে। আমি কারণ বের করার চেষ্টা করলাম।
বাসায় পেয়াজু, বেগুনী সবই বানানো হলেও মিষ্টি আমরা দোকান থেকে কিনি। স্বাভাবিকভাবেই রোযার মাসে মিষ্টি কম বিক্রি হয়, তাই দোকানদাররা একবার মিষ্টি বানানোর পর এইসব মিষ্টি দিনের পর দিন দোকানে তুলে রাখেন আর আপনার আমার মতো সাধারণ ভোক্তাদের সুযোগমতো গছিয়ে দেয়। আমরা রোযা থাকি বলে মিষ্টি চেখে দেখা বা পরীক্ষা করা সম্ভব না, আর এই সুযোগটাই দোকানদাররা নেয়।
যদিও ইফতারের অনেক আইটেমেই ভেজাল থাকে, তবুও আমার পরামর্শ হলো, দরকার না হলে এই রোযার সময় মিষ্টি কিনবেন না, আর একান্তই কিনতে হলে ইফতারের পরের সময়টুকুতে চেখে দেখে কিনে রাখবেন। আপনি হয়ত জানবেন ও না, আপনার কেনা মিষ্টি খেয়ে অন্য একজন মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।
পরিশেষে সবার জন্য শুভকামনা, আর সবাই আমাদের প্রাণের বাংলাদেশের জন্য দোয়া করবেন।