‘কোনো কোনো আলিঙ্গন বাধ্যবাধকতা’
আমচুর, সিঁদুর, কৌটোর গন্ধমাখা ঘর,
ঘ্রাণশক্তির দারিদ্র ঘোচানোর দুঃসাহস।
শতবছর আগের চেনা কাথাটি জড়িয়ে বুঝে উঠা যায়
কীভাবে চেনা সময়ের সাথে অচেনা সময় মিলে যার যার মতোন ইতিহাসে মেতেছে মানুষ।
যদি কাঁথা মুড়িতে ঘুমিয়ে পড়ি চিরতরে আর জেগে না উঠি?
… আকছার এমন লাঠিয়াল গোছের রাত নামে।
সবুজ কাঁথার সাদা ফোঁড়ে লেখা এমন পাহাড়ি কাঁপুনি কোথাকার কোন লোমশ আবছা সকাল থেকে ত্রিশ বছরের সর্বভূক ক্লান্ত চোখে এসে ফিরে যায়।
ণত্ব-ষত্ব জ্ঞান বলে যা বাহাদুরি ছিলো, ফক্কিকারি দুনিয়ায় তার আর্যবাক্য ভুল; গণিত ভুল।
একে একে দুই ভুল। ভুলে ভুলে সব ভুল।
কালের বুদ্বুদে দেখেছি কাঠ-খোদাইয়ের ফুটে ওঠা নকশা। হীনমন্য পুরাতন গাছ। তার চোখ বেয়ে বিষকাটালি ফল।
বলি সাক্ষ্য হও! অক্ষর। অক্ষর। অনর্থক কৈফিয়ত নয়।
শুচিতার অনুমাপক নেই।
বলি বিভ্রান্তিতে এসো। অন্তর। অন্তর্ভেদী অন্তর। জীবনযংযোগ।
বিচার-বিভ্রামহেতু ন্যাংটো দ্বন্দে চিতা জ্বলে উঠেও গেলো মিইয়ে। আর যা যা সহজলভ্য বিষ আছে ভীতিহীন ঢেলে দাও চিতায়। কেরোসিনে ফুল ফোটাবার খেয়ালে বন্ধু হলো চিতার খুন। কাঠ-খোদাইয়ে ফুটে ওঠা নকশার ঘুণ।
সাক্ষ্য হই বাজারিক সততা, আধুনিক নৈরাশ্যবাদীতা, নিশ্চিহ্ন হবার ঝুঁকি।
ভীতিহীন আঙ্গুল, চোখ, মননের এক চিতায় দাহ হয় না।
আপতিত, জ্যোতির্ময় দৃষ্টি জ্বালাতে কী কী চাঞ্চল্যকর খোরাকির সরবরাহ রয়েছে, ক্রমশ জ্বিভহীন মানুষ হতে ধারাবাহিক ছাগল হবার প্রতিযোগিতা পেরিয়ে, দক্ষিণমুখী বসে কবে কীভাবে প্রানময় স্বত্ত্বার আহ্নিক-গতি ভেঙে দেয়া যায়, তার হাতুড়ি-পেরেক জোগাড়ে মন দেয় লোকে।
আপাতত বাতিটি নিভিয়ে নিন।
আপনার জ্ঞাতার্থে জানানো গেলো যে ‘অতিরিক্ত’ বলে কোনো অপরাজিতা মেপে বাদ দেয়া যায় না।
বাতিটি বরং নিভিয়েই নিন। দরজা খুলে রাখতে পারেন।
ভীতিহীন আঙ্গুল, চোখ, মনন ছিটানো স্ফুলিঙ্গ থেকে আপনাকে সহ্যের অপারগতাহেতু নিরাপত্তা দেয়া হলো।
আপনার জ্ঞাতার্থে এটাও জানানো হলো যে ভীতিহীন আঙ্গুল, ভীতিহীন চোখ, ভীতিহীন মনন কাগজের দাসত্ব থেকে চিরকাল মুক্ত।