কিছু না কিছু তো অবশ্যই থাকে যা সাধারণ মানুষ থেকে পৃথক করে দেয় ধনী মানুষদের। ধনীরা বহু বিষয় সাধারণ মানুষ থেকে ভিন্নভাবে দেখে। এখানে সাধারন মানুষ বলতে আপনি মধ্যবিত্ত লেভেল পর্যন্ত যেতে পারেন ! আর এসব বিষয় ভিন্নভাবে দেখার কারণেই তাদের অনেকে হয়ে ওঠে ধনী। বলতে পারেন ধনী থেকে আরো ধনী !! সেসবের খুঁটিনাটি কিছুই এখানে বলছি,
স্বার্থপরতা একটা মহৎ গুণঃ বহু মানুষ স্বার্থপরতাকে একটা বদগুণ বলে মনে করলেও ধনীরা সে বিষয়টাতে কোনো দোষ পায় না। তারা নিজেদের সুখী হিসেবেই দেখতে চায় এবং বিশ্বকে রক্ষার কোনো উদ্দেশ্য তাদের থাকে না। এই কারণে মধ্যবিত্তরা স্বার্থপরতাকে বদগুণ বলে মনে করলেও ধনীরা মহৎ গুণ হিসেবেই বিবেচনা করে।
ধনীদের আগ্রাসী মনোভাব থাকেঃ সাধারণ বহু মানুষের মানসিকতা লটারির ওপর নির্ভর করে। তবে ধনীরা কখনোই এর সঙ্গে একমত হয় না। তারা তার বদলে নিজের পরিশ্রমের উপরেই নির্ভরশীল।
নির্দিষ্ট বিষয়ে জ্ঞানার্জনে বিশ্বাস করে তারাঃ বেশিরভাগ মানুষই যেখানে বিশ্বাস করে প্রাতিষ্ঠানিক সাধারণ শিক্ষা তাদের উন্নতি ঘটায়। কিন্তু বহু ধনী ব্যক্তিই এসব প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকে। তারা তাদের নির্দিষ্ট বিষয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী থাকে।
টাকা-পয়সার বিষয় যুক্তির সঙ্গে দেখেঃ বেশিরভাগ মানুষ টাকা-পয়সার বিষয়টা দেখে আবেগের সাথে। কিন্তু সফল ও ধনী মানুষ এসব দিক দেখে যুক্তির সাথে।
নিজের আগ্রহের বিষয়ে কাজ করে তারাঃ বহু মানুষই নিজের জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন অপ্রিয় বিষয় নিয়ে কাজ করে। কিন্তু ধনী মানুষ এসব অপ্রিয় বিষয় নিয়ে কাজ করে না। তারা নিজের আগ্রহের বিষয় বের করে শুধু তাই নিয়েই মেতে থাকে এবং সফলতা পায়।
তারা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেঃ সাধারণ মানুষ যেখানে কম মাত্রায় চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে এবং সে অনুযায়ী জীবনধারণ করে। মনোবিদরাও এই বিষয়টা সমর্থন করে। এতে মানুষের হতাশা কম হয়। কিন্তু ধনীরা এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। তারা বড় চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে এবং তাতে বিজয়ী হবার জন্য ক্রমাগত চেষ্টা করে।
ধনীরা অন্যদের অর্থ ব্যবহার করেঃ বেশিরভাগ সাধারণ মানুষই বিশ্বাস করে, আপনার কিছু টাকা থাকতে হবে টাকা বানানোর জন্য। তবে ধনীরা এই ধারণায় বিশ্বাসী না। তাদের নিজেদের পকেটে টাকা না থাকলেও তারা অন্য মানুষের টাকা ব্যবহার করে ধনী হতে পিছপা হয় না।
সন্তানকে ধনী হওয়া কৌশল শেখায়ঃ বেশিরভাগ মানুষ তাদের সন্তানকে শিক্ষা দেয়, কিভাবে টিকে থাকতে হয়। কিন্তু ধনী মা-বাবা তাদের সন্তানকে শেখায় কিভাবে আরো ধন-সম্পদ অর্জন করা যায়।
ধন সম্পদের কারণে বিচলিত হয় না তারাঃ সাধারণ মানুষ যেখানে অর্থবিত্তের মাঝে পড়লে মানসিক চাপের মধ্যে পড়ে সেখানে ধনীরা মোটেও তা হয় না। তারা মানসিকভাবে শান্ত থাকে এবং আরো অর্থ উপার্জনের চিন্তা করে।
তারা আশপাশে প্রিয় মানুষদের রাখেঃ বেশিরভাগ সাধারণ মানুষই মনে করে, ধনীরা নিচুদের অবজ্ঞার চোখে দেখে। কিন্তু বাস্তবে সবক্ষেত্রে তা হয় না। বেশিরভাগ সময় ধনী মানুষ আশপাশে তাদের প্রিয় মানুষদের রাখে। অন্য সবধরনের মানুষকেই তারা কিছুটা দূরে রাখে।
ধনীরা জানে কখন ঝুঁকি নিতে হবেঃ সাধারণ মানুষ অর্থ নিয়ে নিরাপদ থাকতে পছন্দ করে। কিন্তু ধনীরা এ বিষয়টাতে অনেক দক্ষ হয়। তারা জানে কখন অর্থ নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ করতে হয়।
অনিশ্চয়তায় আনন্দ পায়ঃ বেশিরভাগ সাধারণ মানুষই নিশ্চয়তাপূর্ণ জীবনে স্বাচ্ছন্দবোধ করে। কিন্তু ধনীরা অনিশ্চয়তার মধ্যেও আনন্দ খুঁজে পায়। তারা ঝুঁকি নেয় এবং তা থেকে লাভ তুলে নেওয়ার মাঝে আনন্দ পায়।
তারা বিশ্বাস করে, সবকিছু থাকা সম্ভবঃ সাধারণ মানুষ সব সময়ই বিশ্বাস করে, তাদের বিভিন্ন অপশন থেকে একটা করে বেছে নিতে হবে। কিন্তু ধনীরা এই ধারার বাইরে। তাদের মাথায় থাকে, তার পক্ষে সবকিছুই অর্জন করা সম্ভব।
আপনি কি আরো কিছু ভাবছেন ?! তো আমাকে কমেন্টে জানিয়ে দিন। আপনার মূল্যবান অর্থপূর্ণ ধারনা এই পোষ্টে আপডেট করে দেয়া হবে।
সূত্রঃ ঘাঁটাঘাটি, অনলাইন, অফলাইন
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৪৪