কিছু কথা না বলেই থাকতে পারছিনা।
১। হ্যা, ধর্ষণ মামলা ষড়যন্ত্রমুলক হয় এটা নতুন না। এমনও শুনেছি পরিবার থেকেই এই মামলা করে জমি জমা নিয়ে বিরোধের কারনে। আর এখন বর্তমানে অনেক উদাহরণ দেখা যায় যে প্রমের সম্পর্কে অবনতি ঘটলেই কিছু মেয়েরা মামলা ঠুকে দেয়। ইন্ডিয়াতে এই জাতীয় মামলা গ্রহন করা হয় না যেখানে ছেলে মেয়ে উভয়ের সম্মতিতে এমন কোন কর্ম সাধন হয়।
সুতরাং, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ মামলাগুলোর কোন মানেই হয়না।
এই কথাটি বলে আমি অপরাধ করিনি, বরং মেয়েদের সচেতন হতে বলছি ফালতু কথার প্রলোভনে না পরতে। ছেলে জাতি খারাপ, আসলেই খারাপ। তাই নারীদের এক্ষেত্রে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেয়া উচিৎ। কারন তার সম্মতিতে কিছু হলে তবে সেই ছেলেকে কোন বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করাবেন আপনি?
২। আমি আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি ওপারের একজন নারী একদিন ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করছেন এরপরেই আমাদের দেশের উচ্চ বুদ্ধির সমাজ এটা নিয়ে লাফিয়ে পরছেন। তাদের যুক্তি, ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলে নাকি ধর্ষণের স্বীকার নারীকে মেরে ফেলবে ধর্ষকরা।
আচ্ছা তাহলে আপনি বলেন ধর্ষণের শাস্তি কি দেয়া উচিৎ? ১০ বছরের জেল!
একজন ধর্ষক অপরাধ করার পর মৃত্যুদণ্ড শাস্তি হবে বলে নির্যাতিতাকে মেরে ফেলবে। আর ১০ বছরের শাস্তি+পুরো সমাজের কাছে ধর্ষক হিসেবে চিন্হিত হবে জেনে তাকে ছেড়ে দিবে!
কেন ছেড়ে দিবে!
*এটা ভেবে যে মাত্রতো দশ বছরই, জামিনে ছাড়া পেয়ে বের হয়ে যাবো! এক্ষেত্রে অপরাধ কমে যাচ্ছে!
*নাকি এটা ভেবে যে এটলিষ্ট মৃত্যুদণ্ড হচ্ছেনা। দশ বছর জেলে বসে রোজা-নামাজ পড়ে ভাল হয়ে যাবো। ছেড়ে দেই এই নারীকে, আমি আমার ইহজীবন জেলেই কাটিয়ে আসি!
*নাকি এটা ভেবে যে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা ভাল না, এই মামলা কাটিয়ে আসা যাবে। সেক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড শাস্তি থাকলেও তো একি চিন্তা করতে পারে!
অদ্ভুত লজিকরে ভাই। দুটো ক্ষেত্রেই প্রবাবিলিটি কাজ করে। হত্যা করতেও পারে, ছেড়ে দিতেও পারে। আপনি নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারবেন না একজন ধর্ষক মন কি চিন্তা করছে।
সর্বশেষ যদি ওপারের ভদ্রমহিলার মত ধর্ষকরাও মানুষ, তাদের বেচে থাকার অধিকার স্লোগান দেন তবে কিছু বলার নাই।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:০২