বাংলাদেশ..
বলা হয়ে থাকে ল্যান্ড অব অপরচুনিটি।
গভর্নমেন্ট থেকে শুরু করে ইয়ুথ ফোরামগুলো সবাই আপনাকে উদ্যোক্তা হতে বলবে। আপনিও অনার্স পাস করে শুরু করবেন লাখ টাকা ইনভেষ্টে আপনার পদযাত্রা। অতঃপর আসল চেহারাটা টের পাবেন। সবাই আপনাকে পুশ করবে উদ্যোক্তা হতে, অথচ কোন ষ্ট্রাকচার নেই এ দেশে উদ্যোক্তাদের।
তারা বলে থাকেন উদ্দেশ্য ঠিক থাকলে নাকি ইনভেষ্টর নিজে এসে আপনাকে ফান্ড দিবে। আশেপাশের উদ্যোক্তা ভাই-বোনদের একটু জিজ্ঞেস করে আসুনতো কথাটা কতটুকু সত্য!
এদেশে তরুন উদ্যোক্তারা জানেনা কিভাবে একটা বিজনেস প্লান বানাতে হয়, কিভাবে সোয়াট এনালাইসিস করতে হয়। কারন তাদেরকে এই শিক্ষাটা দেয়া হয়নি। অপরদিকে ইনভেষ্টররা নাকি ইনভেষ্ট করার মত জায়গা খুজে পাচ্ছেন না, পকেটে টাকা নিয়ে বসে আছেন, টাকা নাকি পচেও যাচ্ছে তবুও ভাল কোন উদ্যোগ পাচ্ছে না। সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে এক্সপো করে, বিভিন্ন সংস্থাগুলো নানান ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বলি তাদের এই কোটি টাকা থেকে কয়েক লক্ষ টাকা দিয়ে এমন একটা প্লাটফর্ম কি করা যায় না উদ্যোক্তাদের জন্যে যার মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের ফান্ড অপরদিকে ইনভেষ্টরদের ইনভেষ্ট করার মত স্কোপ তৈরি হয়ে যায়!
উদ্যোক্তা...আহ, নামটা শুনতেই কতটা ভাল লাগে, প্রান জুড়িয়ে যায়। মানুষ ৮ ঘন্টা অফিস আর ৬ঘন্টা ঢাকার জ্যামে বসে পার করে ঘরে এসে মেজাজ খিটখিটে থাকার চেয়ে নিজের কাজ নিজে কিছু একটা করতে চায়, কিন্তু অই পর্যন্তই...
কারন বাংলাদেশ এমন একটা দেশ, যে দেশটা নাকি ল্যান্ড অব অপরচুনিটি। অথচ সে দেশটার কোন ষ্ট্রাকচারই নাই, কোন কাঠামোগত পদ্ধতি নাই। উদ্যোক্তা, উদ্যোক্তা...বুলশিট.....পিকাবুর মত ই-কমার্স নাকি ফান্ডের অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সেখানে অনার্স পড়ুয়া সিএসই-বিবিএর স্বপ্নবাজরা স্বপ্ন দেখে উদ্যোক্তা হওয়ার।
হতে থাকুন...বাসায় আগেভাগে জানিয়ে রাখুন আগামী ৫-৭ বছর যেন আপনাকে টাকা-পয়সার জন্যে বিরক্ত না করে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৫