রাশিয়ার একটি টেলিভিশন চ্যানেল মঙ্গলবার জানিয়েছে, আরএস-সারমাট ক্ষেপণাস্ত্রকে সোভিয়েত আমলের আর-৩৬এম ক্ষেপণাস্ত্রের জায়গায় বসানো হবে। ন্যাটো সামরিক বাহিনী নতুন এ ক্ষেপণাস্ত্রকে ‘সাটান’ বা শয়তান বলে থাকে।
আন্তঃমহাদেশীয় এ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওজন হবে কমপক্ষে ১০০ টন বা ২,৭০০ মণ। ধারণা করা হচ্ছে এ পর্যন্ত যত পরমাণু অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হয়েছে আরএস-সারমাট ক্ষেপণাস্ত্র হচ্ছে তাদের মধ্যে আকারে সবচেয়ে বড়। এ ক্ষেপণাস্ত্র একসঙ্গে কয়েক ডজন পরমাণু ওয়ারডেহ বহন করতে সক্ষম হবে।
রুশ টেলিভিশন চ্যানেলটি জানিয়েছে, আরএস-সারমাট ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা হবে প্রায় ১০ হাজার কিলোামিটার এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে এটি টেক্সাস কিংবা ফ্রান্সের মতো পৃথিবীর একটি অংশ মুছে দিতে পারবে।
রুশ টিভির খবরে বলা হয়েছে- এ ক্ষেপণাস্ত্র স্টিলথ প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে এবং রাডারের সাহায্য ছাড়াই লক্ষ্যবস্তু ঠিক করে তাতে আঘাত হানতে পারবে।
চলতি গ্রীষ্মকালে রাশিয়া এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করবে বলে মস্কো আশা করবে। ২০০৯ সাল থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরির কাজ চলছে এবং ২০২০ সাল নাগাদ তা রুশ সামরিক বাহিনীতে যোগ করা হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:০৮