জন্ম থেকেই ছোট আমি। বয়স কত হলো?
বাস্তবতা আঠারো বলে, সনদ বলে ষোল!
হয়ত মানুষ হবার আশায়, হয়েছিলাম ছাত্র
তখন থেকেই বড় হওয়ার সীমানা শরীর-মাত্র।
ছোট থেকেই শুনছি এসব শিক্ষা পাওয়ার কথা,
শিক্ষা ছাড়া উন্নতি টা ঠুনকো রসিকতা !
চারপাশটা দেখেই যেন চোখ টা একটু খোলে
কল্প-আশায় মিটাই তখন দুধের স্বাদটা ঘোলে।
দিন যায় আর, বাস্তবতায় হচ্ছি আমি বড়
দেশে চলা হাজার ‘অকাজ’ হচ্ছে চোখে জড়!
হেথায় সেথায় অনেক শুনি, “আরে তুমি ছোট!
বয়স তোমার খেলার পড়ার, তার পিছনেই ছোটো!”
“দেশের জন্য পড়তে হবে হতে হবে বড়
নইলে চিন্তা দাম পাবেনা; যাও এখন পড়ো!”
আশা ছাড়ি। রাখব ধরে? বলবে, “তুমি ছোট”
শোনায় অনেক এই সমাজের সংঘ-দল বা জোট ও!
বুদ্ধি না হয় কম ই আমার, ছোটোই আমার মাথা
তাই তো কোনোই ‘বেল’ পায় না আধা-ভাঙ্গা কথা!
খারাপ কাজের বিরুদ্ধে যে করব গলা উঁচু,
লাভ হবেনা ওসব করে, দিনশেষে সব কচু!
এই দুটি চোখ খোলা রেখেই দেখি প্রশ্নফাঁস
জাতি দেখলো,”দেশ আগাচ্ছে! শতভাগ পাশ!”
এরকম কি একটি কথা? আছে হাজার আরো!
বলব যখন, সমাজ তখন বলবে , “তাকে মারো!”
তবুও আশায়, বলব কিছু, খুলতে যাব গলা
দেখা মাত্রই, (শোনার আগে) খেলাম কান মলা!
তোমরা যারা সমাজ চালাও, তোমরা যারা বড়
ওসব কিন্তু আমিও বুঝি, যা করছো করো!
এরই মাঝে বড় হব, চলব তোমার সাথে
আবার কেউ তো ছোট আসবে, দিনে কিংবা রাতে।
স্বপ্ন দেখি, পাল্টাবে সব! ফল- স্বপ্ন ভঙ্গ
বুঝিনা আমি এই সমাজের জটিল সব রঙ্গ।
ভেতর থেকেই বাড়ছি আমি, দেখছে সবাই ‘ছোট’
ভেতর অতি ছোট আশা, ভালো হবার মোটো।
ভেতর থেকে বড় সবাই, বাইরে ছোট’র নাটক,
উন্নতিটাও সবার মাথার জেল খানা তে আটক।