মৃত্যু মানে একটা জীবনের শেষ। পৃথিবী নামের রঙ্গমঞ্চ থেকে একটা চরিত্রের বিদায়, দীর্ঘ এক অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি। কিন্তু সবসময়, সব মানুষের ক্ষেত্রে, এই চলে যাওয়াটা কি ‘হ্যাপি এন্ডিং’ হয়?
ব্রুনি ওয়ের নামের এক অস্ট্রেলিয়ান লেখিকা বেশ গবেষণা করে একটা বই লিখেছেন কিছুদিন আগে। সেখানে তিনি দাবী করেছেন, সব মানুষই নাকি মৃত্যুর আগে ঘুরেফিরে একই রকম কয়েকটা ভুল নিয়ে আফসোস করে। ভদ্রমহিলা পেশায় একজন নার্স, মৃত্যুর আগে প্রচুর মানুষকে সেবা দিয়েছেন, তাদের সাথে কথা বলেছেন। তাদের সেসময়ের অনুভূতি বিশ্লেষন করে তিনি দেখিয়েছেন, জীবনের শেষ মুহুর্ত গুলোতে একটা মানুষ কিভাবে নিজেকে নিয়ে, প্রিয় মানুষদেরকে নিয়ে আরও কিছুটা সময় কাটানোর, সব অপূর্ণতাকে কাটিয়ে নিজের মতো করে বাঁচার তাগিদ বোধ করে।
ব্রুনি নিজের দীর্ঘ নার্সিং ক্যারিয়ারের সমস্ত অভিজ্ঞতা একসাথে করে নির্দিষ্ট করে কিছু অপূর্ণতার কথা উল্লেখ করেছেন, যেগুলো মৃত্যুর আগে মানুষকে সবচেয়ে বেশি পীড়া দেয়।
১। ..অন্যদের কথায় কান না দিয়ে নিজের মতো করেই যদি জীবনটা কাটাতাম, অন্যরা কি ভাবছে, তারা কি চায় সব কিছু অগ্রাহ্য করতাম..
২। ..সবসময় খালি অন্যদের ইচ্ছাগুলোই পূরণ করে এসেছি, নিজের ইচ্ছা-অনিচ্ছার দিকে কখনো নজর দেইনি। এসব না করে যদি নিজেকে নিয়ে পড়ে থাকতাম সবসময়..নিজের সব ইচ্ছাগুলোকে পূরন করতে পারতাম..সেটাই বোধহয় ভালো হতো..
৩। ..সারাটা জীবন এত খাটাখাটনি করে তো কিছুই পেলাম না, এর চেয়ে আরও বেশি সময় যদি পরিবারের সাথে কাটাতাম, প্রিয় মুখগুলোর সাথে.. কত ভালো হতো..!
৪। ..কত কথা অব্যাক্ত রয়ে গেলো..প্রিয়জনদের অজানা রয়ে গেলো কত অনুভূতি..কখনো মুখ ফুটে বলা হয়নি..যদি আর একটা বার সুযোগ পেতাম সবকিছু বলার..
৫। একটা আড্ডা..প্রিয় বন্ধুদের সাথে..আর মাত্র একটা বার যদি সেই মুহুর্তগুলো ফিরে আসতো..
এসবের কোনোটা কি আপনার মধ্যে এখন আছে? থাকলে আজই নিজেকে শুধরে নিন, মৃত্যুশয্যায় যেন এসব নিয়ে আফসোস করতে না হয়
আরেকটু বেশি পড়তে ক্লিকান