মানুষের চিন্তাগুলো বের হয়ে আসে খুবসহজাত প্রকৃতির ভেতর থেকে, খুবই সহজ সরল সাদামাটা মনের অভিলাষ থেকে কিন্তু মানুষ কি তা বুঝতে পারে? আমি মানুষটা আসলে সত্যিই কি মানুষ! নিজেকে কখনও জানতে চেয়েছি? কখন যে কি করে বসলাম, কেমন করে সম্পূর্ন্ উল্টা পথ ধরলাম! তা আবার অপরকে ছুয়ে ছুয়ে কান্নার হাতছানি দেয়, ঠিক অন্তরের রেখা ছুয়ে বেড়ে উঠা অতি মাত্রায় আকুল ছেড়া ছেড়া নাড়ীর কথার অংশ! সত্যিই সেই না বলা কথাগুলোর মনুষেরা কেমন করে অসম দিনের দুখ মাখা তীরের কুল হারিয়ে সাতরাচ্ছে? তা কি এই মানুষ নামের আস্ত অবয়বটা ভেবে দেখার সদিচ্ছায় পা তুলেছে।
সত্যি অবাক লাগে এই বিচিত্র পৃথিবীর মানুষের ভাবনার সাধারন সমীকরনগুলো নিয়ে, কেমন যেন আমরা হয়ে যাচ্ছি, চিন্তাগুলোকে সহজাত ভাষায় সমীরন করতে কোথায় যেন তালগোল পাকিয়ে ঠিক উল্টোটা করে বেড়াছেরা করে ফেলি। তখন যা হবার তা সহজাত সমীকরনে অণুচ্ছটা ঘটে। ভাবনাগুলোকে কদাচিত সরল রেখার ছুই ছুই করতে পারলেই আমরা মনে করি অনেক বড় মাপের মানুষের সমীকরনে আমি বেড়ে উঠেছি! ফলে সমােজ প্রকৃত ভাবনার মানুষের সংখ্যা নিম্নগামী।
আমরা যদি আমাদের ভাবনাগুলোকে প্রান্তিক পর্যায়ে বিবেকের কাছে ছেড়ে দেই, তাহলে ভাবনার বুনন গলো তৈরী করবে সুন্দরসোনালী সোপান, উচ্ছেসীত হবে মনের না বলা এলোমেলো অনুরণন। সুন্দর চিন্তার সঙ্গীরা তখন পাল্লা দিয়ে দাড়িয়ে একের পর এক সুসমাজ গড়ার আলিঙ্গন করতে করতে দৃড়পদে সকালের সোনামাখা রোদের আভায় প্রতিধ্বনী তুলবে।
(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৫:৪৬